ব্রিটেনে এক কিশোর তার সহপাঠিকে নগ্ন সেলফি পাঠানোর ঘটনাকে পুলিশ অপরাধ হিসেবে বিবেচনায় নিয়েছে।
কিন্তু সেই কিশোরকে পুলিশ আটক করেনি কিংবা তার বিরুদ্ধে কোন মামলা করেনি। তবে তার নাম পরিচয় আগামী দশ বছর পর্যন্ত পুলিশের ডাটাবেইজে অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
এমনকি পুলিশ যদি মনে করে, তাহলে ভবিষ্যতে এই কিশোর যেখানে চাকুরী করতে যাবে সেই প্রতিষ্ঠানকে তার এই ঘটনা জানানো হতে পারে।
১৪ বছর বয়সী সেই কিশোরের ইংল্যান্ডের উত্তরে বসবাস করে। কিন্তু এই মুহূর্তে পুলিশ তার নাম প্রকাশ করেনি।
সেই কিশোর বিবিসি’র রেডিও ফোর-এ টুডে অনুষ্ঠানে এ সাক্ষাৎকারে বলেছে, সে তার শোবার ঘরে নিজের নগ্ন ছবিটি তুলেছে। এরপর সে তার স্কুলের আরেক কিশোরীকে ‘স্ন্যাপচ্যাট’ নামের একটি এ্যাপের মাধ্যমে সেই ছবিটি পাঠায়।
এই এ্যাপের মাধ্যমে কোন ম্যাসেজ পাঠানো হলে সেটি ১০ সেকেন্ডের মধ্যেই মুছে যায়। কিন্তু ছবিটি মুছে যাবার আগেই কিশোরী ছবিটিকে তার মোবাইল ফোনে সেভ করে নেয় এবং তারপর সেই ছবিটি স্কুলের অন্য ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে পাঠায়।
এরপর এই বিষয়টি স্কুল পুলিশের নজরে আনা হয়। স্কুল পুলিশ ইতোমধ্যে বিষয়টি সেই কিশোরের মা কে জানিয়েছে। তিনি বলেছেন তার ছেলে ‘না বুঝে’ এ কাজ করেছে।
অভিযুক্ত সেই কিশোর বলেছে,যেভাবে পুলিশ এবং স্কুল কর্তৃপক্ষ এই ঘটনাটি বিবেচনায় নিয়েছে তাতে সে ‘বিব্রত এবং ভীত’।
তবে স্কুল কর্তৃপক্ষ বলছে এই ঘটনা নিয়ে অভিযুক্ত কিশোরকে প্রশ্ন করার ক্ষেত্রে ভয়ভীতি দেখানো হয়নি।
‘সেক্স ম্যাসেজ’ পাঠানোর বিষয়ে সকল শিক্ষার্থীকে আরো আগেই সতর্ক করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
তবে সেই কিশোরের মা বলেছে ‘সেক্স ম্যাসেজ’ পাঠানো যে একটি অপরাধ সেটি তার ছেলে জানতো না।