খেলাধুলা ডেস্ক: ম্যানচেস্টার ডার্বিতে জিতলেই ৬ ম্যাচ হাতে রেখে লিগ চ্যাম্পিয়ন। প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসে এমন কীর্তি গড়তে পারেনি কোন দল। এমন সমীকরণকে সামনে রেখে ম্যানচেস্টার ডার্বিতে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের মুখোমুখি হয়েছিল নগর প্রতিদ্বন্দ্বী ম্যানচেস্টার সিটি। উত্তেজনাকর এই ম্যাচে প্রথমে ২-০ গোলে পিছিয়ে থেকেও ৩-২ গোলের অসাধারণ জয় পায় ইউনাইটেড।
লিভারপুলের বিপক্ষে ৩-০ গোলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ হারের পর এই ম্যাচে একাদশে অনেক পরিবর্তন আনেন গার্দিওলা। হেসুস-আগুয়েরো কাউকেই একাদশে রাখেননি। কিন্তু প্রথম হাফে সিটির তাণ্ডবে দিশেহারা হয়ে পড়ে ইউনাইটেড। একপর্যায়ে প্রথমার্ধ শেষে মনে হচ্ছিল সিটি হয়তো ৪-০ কিংবা ৫-০ গোলে এগিয়ে থাকবে। কিন্তু সেই সুযোগগুলো কাজে লাগাতে পারেনি তারা।
২৫ মিনিট সানের কর্নার থেকে গোল করে সিটিকে প্রথম লিড এনে দেন কম্পানি। এর ঠিক ৫ মিনিট পর আবারও সিটিকে আনন্দে মাতান গুন্দোগান। ডি বক্সের ভেতর স্টার্লিংয়ের কাছ থেকে বল পেয়ে গোল করেন গুন্দোগান। তারপরেই শুরু হয় স্টার্লিংয়ের গোল মিসের মহড়া। ৩৩ এবং ৩৬ মিনিটে গোলকিপারকে দুবার একা পেয়েও গোল করতে ব্যর্থ হন ইংলিশ ফরোয়ার্ড স্টার্লিং। ৪১ মিনিটে আরও একটি সহজ সুযোগ মিস করে গোল মিসের হ্যাটট্রিক করেন সাবেক এ লিভারপুল ফুটবলার। ঠিক এই সুযোগটাই দ্বিতীয়ার্ধে কাজে লাগায় ইউনাইটেড।
বিরতি থেকে ফিরে ম্যাচে ফিরতে মরিয়া হয়ে খেলতে থাকে ইউনাইটে। মাত্র তিন মিনিটের ব্যবধানে ২ গোল দিয়ে ইতিহাদ স্টেডিয়ামের ৫৫ হাজার দর্শককে একদম চুপ করিয়ে দেন পল পগবা। ৫৩ মিনিটে হেরার ক্রস থেকে প্রথম গোলটি করেন পগবা। এর ঠিক দু মিনিট পরেই এলেক্সিস সানচেজের ডি বক্সের বাইরে থাকে বাড়ানো বলটিকে হেডের মাধ্যমে গোলে পরিণত করেন ফ্রেঞ্চ মিডফিল্ডার পগবা। ৬৯ মিনিটে ইউনাইটেডকে প্রথমবারের মতো এগিয়ে দেন ক্রিস স্মালিং। এবারও গোলের কারিগর সেই এলেক্সিস সানচেজ।
ম্যাচে পিছিয়ে পড়ে শেষের দিকে ডি ব্রুয়েন এবং আগুয়েরোকে নামালেও তারা গোলের দেখা পাননি। ম্যাচে ম্যান সিটির অনেকগুলো যৌক্তিক পেনাল্টি আবেদন নাকচ করেন দেন রেফারি মার্টিন আটকিনসন। ফলে গার্দিওলা তার কোচিং ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো পরপর দুই ম্যাচে ৩ গোল হজম করলেন। এই জয়েও অবশ্য সিটির প্রিমিয়ার লিগ আশা শেষ হয়ে যায়নি। পরের ৬ ম্যাচে মাত্র ২টিতে জিতলেই লিগ জিতে নিবে ম্যান সিটি।