রাজশাহীর দুর্গাপুরে পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় শিশুপুত্রের সামনে বালিশ চাপা দিয়ে স্ত্রীকে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনার পর স্বামীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।
নিহত গৃহবধুর নাম রওশন আরা (২৫)। তিনি দুর্গাপুর উপজেলার সাহাবাজপুর গ্রামের আবু বাক্কারের কন্যা।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, ১০ বছর আগে নরসিংদী জেলা সদরের বাসিন্দা আব্দুল বাতেনের পুত্র আমজাদ আলীর সাথে দুর্গাপুর উপজেলার সাহাবাজপুর গ্রামের আবু বাক্কারের কন্যা রওশন আরার বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শ্বশুর বাড়ীতেই ঘরজামাই থাকতেন আমজাদ আলী।
নিহত গৃহবধূর মা সেলিনা বেগম বলেন, গত ৩ বছর থেকে ঢাকায় গার্মেন্টসের এক মেয়ের সাথে আমজাদ আলী পরকীয়ার সম্পর্ক গড়ে তোলে। আমার মেয়ে এর প্রতিবাদ করে। এ নিয়ে সব সময় কারণে-অকারণে আমজাদ আমার মেয়েকে নির্যাতন করতো।
নিহতের মামা সাখাওয়াত হোসেন জানান, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে নিহতের স্বামী আমজাদ আলী বাড়ীতে বসে মোবাইল ফোনে ওই গার্মেন্টসের মেয়ের সাথে দীর্ঘ সময় ধরে কথা বলতে থাকে। এক পর্যায়ে রওশন আরা তাকে কথা বলতে নিষেধ করেন। এনিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়।
এরপর শুক্রবার ভোররাতে নিজ শয়ন কক্ষে বালিশ চাপা দিয়ে রওশন আরাকে হত্যা করে তার স্বামী আমজাদ আলী। এ সময় তাদের ছেলে রাশেদুল ইসলাম (৯) কান্নাকাটি শুরু করলে প্রতিবেশীরা এসে আমজাদ আলীকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।
দুর্গাপুর থানার ওসি পরিমল কুমার চক্রবর্তী শুক্রবার যুগান্তরকে জানান, অভিযুক্ত আমজাদকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।