জগলুল হুদা, রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি : মৃত জেসমিন জীবিত ফিরে এসে রাঙ্গুনিয়া থানায় ধর্ষন মামলা করল প্রেমিক রাহাতের বিরুদ্ধে। সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাতে জেসমিন আকতার নিজে বাদী হয়ে রাঙ্গুনিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা (মামলা নং- ১৫ ) দায়ের করেন। মঙ্গলবার জেসমিনকে আদালতে প্রেরণ করে। আদালত তাকে ডাক্তারী পরীক্ষা শেষে মায়ের জিম্মায় দেয়ার আদেশ প্রদান করেন। এর আগে রোববার রাতে মৃত জেসমিন জীবিত অবস্থায় এলাকায় ফিরে আসলে ব্যাপক চা ল্য সৃষ্টি হয়। মঙ্গলবার বিভিন্ন দৈনিকে এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় এলাকায় ব্যাপক আলোচনা হয়।
মামলার বিবরণে জানা যায়, উপজেলা হোছনাবাদ ইউনিয়নের ঘাগড়া খীল মোগল গ্রামের নুর মোহাম্মদ নুনুর মেয়ে জেসমিন আক্তার(১৮) এর সাথে একই গ্রামের সুলতান আহমদ মাষ্টারের সাথে এহেছানুল নেয়াজ রাহাতের(২৫) সাথে দীর্ঘ আড়াই বৎসর ধরে প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছিল। এর মধ্যে বিভিন্ন সময় রাহাত জেসমিনকে বিয়ের প্রলোভন দেখাত। তাদের মধ্যে ঘনিষ্ট সম্পর্ক গড়ে উঠায় গত ১৬ আগষ্ট দুজনে বিয়ের করার উদ্দেশ্যে ঘর থেকে পালিয়ে যায়। রাহাত জেসমিনকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে পাশ্ববর্তী ইউনিয়নের চন্দ্রঘোনা বনগ্রাম লাল পাহাড় এলাকার জনৈক সোহেল চৌধুরী খোকনের ৭ নম্বর কক্ষটি ভাড়া নেয় । বাসা ভাড়া নেয়ার ৪/৫ দিন পর রাহাত তার বাড়িতে চলে যায়। প্রতিদিন দিনের বেলায় রাহাত ভাড়া বাসায় এসে শারিরীক মেলামেশা করে সন্ধ্যায় চলে যেত। এর মধ্যে রাহাতকে জেসমিনকে বিয়ের প্রস্তাব দিলে সে বিয়ের বিষয়টি এড়িয়ে যেত। বিয়ের বিষয়ে তর্ক বির্তক হলে সে বিভিন্ন সময়ে জেসমিনকে শারিরীক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করত। বাড়ির মালিক বিষয়টি বুঝতে পেরে ২৫ সেপ্টেম্বর তাদেরকে ভাড়া বাসা থেকে বের করে দেয়। পরে রাহাত স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নের বক্ষ্রোত্তর গ্রামের জনৈক জাফরের বাসায় নিয়ে রাখে। হঠাৎ রাহাত যোগাযোগ বন্ধ করে দিলে নিরুপায় হয়ে জেসমিন আতœীয় স্বজনের সহায়তায় রাঙ্গুনিয়া থানায় গিয়ে সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাতে নিজে বাদী হয়ে রাহাতকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন।
রাঙ্গুনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. হুমায়ুন কবির জানান, রাঙ্গুনিয়া থানায় মামলা দায়েরের পর ভিকটিমকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আদালত ভিকটিমকে মায়ের জিম্মায় দেয়।