জগলুল হুদা, রাঙ্গুনিয়া : ঈদের বাকী আর মাত্র ২ দিন। তাই ঈদকে সামনে রেখে শেষ সময়ে রাঙ্গুনিয়ার অন্যান্য বাজারের ন্যায় জমে উঠেছে উপজেলার সর্ববৃহৎ বাজার রোয়াজারহাটে ঈদের কেনাকাটা। ক্রেতাদের মন জয় করতে রমজানের শুরু থেকেই নানা রং আর ঢংয়ের কাপড়ে সেজেছে উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ এই বাজারটি। বিভিন্ন দূরদূরান্ত থেকে প্রিয়জনের জন্য ঈদ বস্ত্র সংগ্রহে আসছেন সকলেই। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে বিকিকিনি। কিন্তু এখন বর্ষাকাল তাই বর্ষার বর্ষনে বাজারে আসা ক্রেতাসাধারণের ভোগান্তির শেষ নেই। একদিকে বর্ষার ভারী বর্ষণ অন্যদিকে সড়ক জুড়ে দাড়িয়ে থাকা অবৈধ গাড়ির পার্কিং। তার উপর বাজারের বিভিন্ন গলিতে জলমগ্নতা। সব মিলিয়ে ক্রেতাদের চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ এই বাজারে অপরিকল্পিত গাড়ি পার্কি করে রাখার কারণে দীর্ঘ জানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়াও ত্র“টিপূর্ণ ড্রেনেজ ব্যবস্থার কারণে অল্প বৃষ্টিতেই বাজারের ভিতরের সড়কগুলো নোংরা পানিতে সয়লাব হয়ে গিয়েছে। জামাল হোসেন নামে এক পথচারী জানায়, রাস্তার উপর দাড়িয়ে থাকা গাড়িগুলো আইনের তোয়াক্কার করে না। রাস্তার উপরই গাড়ি পার্কি করে দাড়িয়ে থাকে। সাইটে দাড়াতে বললে জগড়া লাগিয়ে ফেলে। রোয়াজারহাটের এক বিক্রেতা জানান, বাজারের ভিতর দিয়ে বয়ে চলা খাল দখল গড়ে ওঠা বিভিন্ন স্থাপনা তার উপর খালটিতে প্রতিনিয়ত ফেলানো হচ্ছে বিভিন্ন বর্জ্য। যার কারণে এই খালের অপমৃত্যু হচ্ছে। তাই একটু বৃষ্টি হলেই নোংরা পানি সড়কের উপর ওঠে যায়। উপজেলার কুলকুরমাই থেকে আসা নাজিম উদ্দীন নামে এক ক্রেতা জানায়, ‘শুনেছি এই খালে আগে নৌকা চলত এখন নদীর উপরেই ঘর-বাড়ী দোকান-পাট। তাই পানির কী দোষ যে দিকে রাস্তা পেয়েছে সেদিকেই যাচ্ছে।’ রোয়াজারহাট সংলগ্ন মুরাদ নগর এলাকার সাজ্জাদ খাঁন নামে স্থানীয় এক লোক জানায়, জন্মের পর থেকেই এই প্রথম দেখলাম রোয়াজারহাট বাজারে গলিতে পানি ওঠছে। মোরাদ ও জসিম নামে বাজারের দুই কাপড় ব্যবসায়ী এই প্রতিবেদকে জানায, ক্রেতারা দূরদূরান্ত থেকে উৎসাহ নিয়ে ঈদের বিভিন্ন কেনাকাটা করতে আসে। এখানে এসে রাস্তার উপর জানজট, জলামগ্নতার ও জলকাদায় একাকার হওয়া পরিস্থিতিতে তীব্র ভোগান্তিতে পড়ে। তারা এই সমস্যা সমাধানে বাজার কমিটি ও পৌর কর্তৃপক্ষের সুনজর দিতে হবে বলে মত প্রকাশ করেছেন।
বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা সহ সংশ্লিষ্ট সকলের দাবী এই বাজারের বিভিন্ন জানবাহনের অবৈধ পার্কিং রোধ ও বাজারের মধ্যে দিয়ে বয়ে চলা খাল পূনরুদ্ধার করে জনদুর্ভোগ লাঘব করা হোক।