ডেস্ক নিউজ: প্রখ্যাত সঙ্গীতকার আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলকে সরকারের নির্দেশে ২০১২ সালে আমাকে যুদ্ধাপরাধীর ট্রাইব্যুনালের কাঠগড়ায় সাক্ষী হিসাবে দাঁড়াতে হয়েছিল। পরে এই সাক্ষীর কারণে তার ছোট ভাই মিরাজ খুন হয়। বর্তমানে ২৪ ঘন্টা পুলিশ পাহারায় গৃহবন্দী আছেন, একমাত্র সন্তানকে নিয়ে। এই ঘটনাকে এক অভূতপূর্ব করুণ অধ্যায় বলে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলেন গুণী এই সঙ্গীত পরিচালক। সেখানে তিনি এও লিখেছিলেন তার হার্টে ব্লক ধরা পড়েছে তিনি অস্ত্রোপচার করাতে যাচ্ছেন, সকলের দোয়া চান।
আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের এই স্ট্যাটাসের পর দেশের সংগীত জগতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা দ্রুত নিজেদের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। ফেসবুকে অনেকেই এই গুণী মানুষটির চিকিৎসার জন্য এখনই সরকারকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। পাশাপাশি সবাই আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন।
পরে স্ট্যাটাসটি ভাইরাল হলে মিডিয়া অঙ্গনে এ নিয়ে শোরগোল শুরু হয়। যার আওয়াজ চলে যায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কানে। এরপরই মুক্তিযোদ্ধা, গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের চিকিৎসার যাবতীয় দায়িত্ব নিয়ে নেন প্রধানমন্ত্রী। তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ বুধবার রাতে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
প্রধানমন্ত্রীর বরাত দিয়ে জুনাইদ আহমেদ বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা ও দেশবরেণ্য গীতিকবি, সুরকার ও সংগীত পরিচালক আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল ভাইয়ের ফেসবুকে দেওয়া পোস্ট প্রধানমন্ত্রীর নজরে আসে। সঙ্গে সঙ্গে এই পোস্ট নিয়ে তিনি গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। এরপর স্বপ্রণোদিত হয়ে তিনি দেশের গুণী এই ব্যক্তিত্বের খোঁজখবর নেন। তিনি এও জানিয়েছেন, আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল ভাইয়ের চিকিৎসাসেবা এবং যাবতীয় দায়িত্ব নিজে গ্রহণ করেছেন। তার চিকিৎসায় যা যা করণীয় তিনি সবই করবেন।’