আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিড়ালের ময়নাতদন্তের নির্দেশ দিয়েছে পাকিস্তানের এক আদালত। চলতি বছর মে মাসে বিড়াল হত্যার অভিযোগে পশু চিকিৎসক ওয়েস আনিসের বিরুদ্ধে মামলা করেন বিড়ালের মালিক আতিয়া মাসুদ চৌধুরী। এ মামলার শুনানিতে লাহোর হাইকোর্টের বিচারক আনোয়ারুল হক মঙ্গলবার নির্দেশে বলেছেন, ‘বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ওই বিড়ালের মৃতদেহ কবর থেকে উত্তোলন করে ময়নাতদন্ত করতে হবে।’ খবর আইএএনএস’র।
এতে বলা হয়, আতিয়া তার বিড়াল মুনকে চিকিৎসা করাতে নিয়ে গিয়েছিলেন চিকিৎসক ওয়েস আনিসের কাছে। কিন্তু তিনি ভুল চিকিৎসা দিয়ে তার বিড়ালকে হত্যা করেছেন। এ মর্মে পাকিস্তানের দ-বিধির ৪২৯ ধারার অধীনে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা করেন আতিয়া। এই ধারায় পশু হত্যাকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে।
আতিয়া মাসুদ পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন এসিসট্যান্ট প্রফেসর। তিনি মামলায় বলেছেন, গত ১৮ জানুয়ারি তার ১৮ মাস বয়সী বিড়ালটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। তিনি ওই সময় ডাক্তার ওয়েসকে বাসায় ডাকেন তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে।
কিন্তু প্রতিবার ভিজিট হিসেবে ওই চিকিৎসক তার কাছে ৬ হাজার রুপি দাবি করেন। আতিয়া তাকে এ অর্থ পরিশোধও করেছেন। তবে জানুয়ারির ওই কলের জন্য ওই চিকিৎসক তার কাছে একবারে ২৫০০০ রুপি দাবি করেন। তবে তিনি তাকে এবার ১০০০০ রুপি দেন। বলেন, ‘বাকি অর্থ পরের বার চেকআপের সময় দেবেন।’ আতিয়া অভিযোগ করেন, ‘বাকি ১৫০০০ রুপি তাৎক্ষণিকভাবে দিতে না পারায় ওই চিকিৎসক তার বিড়ালকে ৫টি ইঞ্জেকশন দেন। এতে তার বিড়াল মারা যায়।’ পরে তিনি বিড়ালটিকে বাড়ির পাশে সমাহিত করেন।