Menu |||

বিশ্বকাপ ২০১৮: কোন গ্রুপে কোন দেশ

এবারের বিশ্বকাপে মোট ৩২টি দেশকে আটটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে, প্রতি গ্রুপ থেকে দুটি করে দেশ রাউন্ড অব সিক্সটিন বা নকআউট পর্বে উঠবে।

সেখান থেকে জয়ী দলগুলো ক্রমে কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল এবং ফাইনালের দিকে এগুবে।

গ্রুপগুলোর দিকে ভালো করে নজর দিন, কারণ যত নামী দলই হোক না কেন, বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব পেরোনো কিন্তু সহজ কথা নয়।

মনে রাখবেন – গত দুটি বিশ্বকাপেই কিন্তু ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন দেশ গ্রুপ পর্বেই ছিটকে গেছে।

২০১০ সালের বিশ্বকাপে ছিটকে যায় তার আগের বারের চ্যাম্পিয়ন ইতালি, আর সেবারের চ্যাম্পিয়ন স্পেনও চার বছর পর ২০১৪-র বিশ্বকাপে এসে গ্রুপ পর্ব পেরুতে পারে নি।

এর আগে ১৯৯৮ সালে বিশ্বকাপ জয়ী জিনেদিন জিদানের ফ্রান্স পরের বার অর্থাৎ ২০০২ সালে গ্রুপ পর্বে ছিটকে গিয়েছিল। তিনটি খেলায় একটিও গোল করতে পারে নি তারা, আর খেয়েছিল তিনটি গোল।

বিশ্বকাপের গ্রুপ তালিকা দেখে ফুটবল পন্ডিতরা একটা-দুটো গ্রুপকে নাম দেন ‘গ্রুপ অব ডেথ’ বলে। কিন্তু আসলে মাঠে নামার পর দেখা যায় – যে কোন গ্রুপই যে কোন দলের জন্য গ্রুপ অব ডেথ হয়ে উঠতে পারে । এটাই বিশ্বকাপের বাস্তবতা।

গ্রুপ এ

গ্রুপ এ-তে আছে স্বাগতিক রাশিয়া, সৌদি আরব, মিশর, আর উরুগুয়ে।

এ গ্রুপে বড় তারকাদের অন্যতম অবশ্যই উরুগুয়ে এবং বার্সেলোনার লুইস সুয়ারেজ। কিন্তু এবার তারকাখ্যাতিতে তার সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছেন মিশরের ফুটবলার মোহাম্মদ সালাহ।

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে লিভারপুলের হয়ে তার চোখ-ধাঁধানো খেলা এবং ৪৪টি গোল এবারের মৌসুমের অন্যতম বড় চমক ছিল।

বিশ্বকাপে নিশ্চয়ই সালাহর গোল করার ক্ষমতার দিকে সবার নজর থাকবে। তিনি কি একার ক্ষমতায় মিশরকে নাটকীয় কিছু উপহার দিতে পারবেন?

দেখা যাক।

বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৮

মিশর ১৯৯০ সালের পর এই প্রথম বিশ্বকাপ খেলছে – তাদের বিশ্ব র‍্যাংকিং ৩০তম।

আর তাদের রাশিয়ার টিকিট এনে দিয়েছিলেন এই মোহাম্মদ সালাহই – কোয়ালিফাইং পর্বে কঙ্গোর বিরুদ্ধে ৯৪তম মিনিটে এক পেনাল্টিতে জয়সুচক গোল করে।

৫৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে এ পর্যন্ত ৩২টি গোল করেছেন মোহাম্মদ সালাহ – মিশরের সবচেয়ে বড় তারকা।

উরুগুয়ে হচ্ছে এই গ্রুপে সবচেয়ে অভিজ্ঞ দল। তারা ১৯৩০এর প্রথম বিশ্বকাপ এবং এর পর ১৯৫০এর বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।

বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৮

গ্রুপ বি

এই বিভাগে আছে পর্তুগাল, স্পেন, মরক্কো এবং ইরান।

ইউরোপের দুই ‘হেভিওয়েটের’ লড়াই এ গ্রুপে।

পর্তুগালেল সবচেয়ে বড় তারকা রেয়াল মাদ্রিদের ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো। তিনি তার দেশকে গত ২০১৬ সালে ইউরো জিতিয়েছেন, চার বার বিশ্বের সেরা ফুটবলারের পুরস্কার পেয়েছেন।

তিনি হচ্ছেন বিশ্বের মাত্র চারজন খেলোয়াড়ের একজন – যারা তিনটি বিশ্বকাপে গোল করেছেন।

বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৮

আর স্পেন হচ্ছে ২০১০-এর বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন। এখন তাদের বিশ্ব ফুটবল র‍্যাংকিং হচ্ছে ১১তম, যদিও তারা ২০০৮ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত বিশ্বে এক নম্বর ছিল।

তাদের দলে তারকার কোন অভাব নেই, এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের দিয়েগো কস্তা, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের গোলরক্ষক দাভিদ দা হে (যাকে অনেকেই বলেন বিশ্বের এক নম্বর) আর হুয়ান মাতা, ম্যানচেস্টার সিটির দাভিদ সিলভা, চেলসির আলভারো মোরাতা, আর আছেন রেয়াল মাদ্রিদের ইসকো – যিনি এবার দারুণ ফর্মে। স্পেনের গত ৭টি ম্যাচে ৬টি গোল করেছেন এই মিডফিল্ডার।

স্পেনের দলটি এমনই যে চেলসি’র সেস ফ্যাব্রেগাসের মত খেলোয়াড়েরও জায়গা হয় নি এ দলে।

এই গ্রুপের সেরা ম্যাচ নি:সন্দেহে হতে যাচ্ছে পর্তুগাল আর স্পেনের মধ্যে – যা হবে ১৫ই জুন।

বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৮

গ্রুপ সি

গ্রুপ সি-তে আছে ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, পেরু আর ডেনমার্ক।

জিনেদিন জিদানের ফ্রান্স ১৯৯৮ সালে বিশ্বকাপ জিতেছিল, স্বাগতিক দেশ হিসেবে। তবে পরের বার গ্রুপ পর্বেই বিদায় নিয়েছিল – যা আগেই বলেছিল।

তারা এ পর্যন্ত দু’বার ফাইনাল খেলেছে, সেমিফাইনালে খেলেছে পাঁচ বার। ব্রাজিলে গতবারের বিশ্বকাপে ফ্রান্স কোয়ার্টার ফাইনালে ছিটকে যায়।

তাদের দলেল সবচেয়ে বড় তারকা এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের আঁতোয়াঁ গ্রিজম্যান। ২০১৬-র ইউরোতে যেবার ফ্রান্স ফাইনাল খেলেছিল – সেবার ৬টি গোল করে টপ স্কোরার হয়েছিলেন গ্রিজম্যান।

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ৮৯ মিলিয়ন পাউন্ডে কেন মিডফিল্ডার পল পগবা তাদের আরেক বড় তারকা।

তার সাথে আছেন বার্সেলোনা ওসমান দেম্বেলে আর পিএসজি-র কাইলিয়ান এমবাপ্পি – যারা ইউরোপিয়ান ফুটবলের উঠতি তারকা।

বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৮

গ্রুপ ডি

গ্রুপ ডি-তে আছে আর্জেন্টিনা, আইসল্যান্ড, ক্রোয়েশিয়া আর নাইজেরিয়া।

আর্জেন্টিনা গত বারের রানার্স আপ। কিন্তু এবারের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা কোয়ালিফাই করতে পারবে কিনা তা নিয়ে গ্রুপ পর্বে বহুদিন পর্যন্ত সমর্থকদের এক চরম উৎকণ্ঠায় থাকতে হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত আর্জেন্টিনা রাশিয়ার টিকিট পেয়েছে বেশ কষ্ট করে।

আর্জেন্টিনার সবচেয়ে বড় শক্তি তাদের বিশ্বখ্যাত তারকা লিওনেল মেসি, যিনি বিশ্বসেরা ফুটবলারের পুরস্কার জিতেছেন পাঁচ বার।

কিন্তু শুধুই কি মেসি? সেরজিও এগুয়েরো (ম্যানচেস্টার সিটি), গনজালো হিগুয়াইন আর পাওলো দিবালা (জুভেন্টাস), এ্যানজেল ডি মারিয়া (প্যারিস সঁ-জারমেইন) – তারকার অভাব নেই আর্জেন্টিনার।

ক্রোয়েশিয়ার সবচেয়ে বড় তারকা রেয়াল মাদ্রিদের সৃষ্টিশীল মিডফিল্ডার লুকা মডরিচ।

বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৮

তবু প্রশ্ন – আর্জেন্টিনা কি বিশ্বকাপ জিততে পারবে?

লিওনেল মেসির ফুটবলে সবই পাওয়া হয়ে গেছে, কিন্তু এই একটি অপ্রাপ্তি যেন কোথায় খচখচ করে তার ভক্তদের মনে – অলিম্পিকে ছাড়া তার দেশের হয়ে তেমন কিছু জিততে পারেন নি মেসি। পেলে আর ম্যারাডোনার মত বিশ্বকাপও জেতা হয় নি তার।

এ না হলে যেন ফুটবলের ‘হল অব ফেমে’ তার নাম পাকা হচ্ছে না।

গতবার মেসি আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে নিয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু জার্মানির বিরুদ্ধে ফাইনালে জ্বলে উঠতে পারেন নি তিনি।

মেসির সামনে এবারই শেষ সুযোগ।

বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৮

গ্রুপ ই

গ্রুপ ই-তে আছে ব্রাজিল, সুইৎজারল্যান্ড, কোস্টারিকা, সার্বিয়া।

ব্রাজিলকে নিয়ে সব সময়ই বিশ্বকাপে একটা উচ্ছাস, এবং সমর্থকদের আশা-প্রত্যাশা দেখা যায়। তার নান্দনিক শৈলীর ফুটবলের ভক্ত বিশ্বজোড়া। গত বিশ্বকাপে তারা ছিল স্বাগতিক দেশ, দলে ছিলেন নেইমারের মতো তারকা। কিন্তু সেই দলের জার্মানির বিপক্ষে ৭ গোল খাওয়ার দু:স্বপ্নের স্মৃতি এখনো নিশ্চয়ই ভক্তদের মন থেকে মুছে যায় নি।

নেইমার এবারের দলেও আছেন, পরিবর্তন এটাই যে এখন তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে দামি ফুটবলার। তাকে ২০ কোটি পাউন্ডে কিনেছে প্যারিস সঁ-জার্মেইন।

আছেন বার্সেলোনার ফেলিপ কুতিনিও – তিনিও এখন পৃথিবীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দামি খেলোয়াড়। এছাড়াও আছেন উইলিয়ান (চেলসি), ফার্মিনো (লিভারপুল), গ্যাব্রিয়েল ইয়েসুস, এডারসন, দানিলো, ফার্নান্দিনিওর (এর সবাই ম্যানচেস্টার সিটির) মতো তারকারা। এবার শিরোপা জেতার লড়াইয়ে ব্রাজিল কত শক্তিশালী দাবিদার?

বোঝা যাবে টুর্নামেন্ট শুরু হলেই।

তবে বলে রাখা দরকার – নেইমারের পায়ে মার্চ মাসেই একটি অপারেশন হয়েছে, তখনই বলা হয়েছিল তিন মাস তিনি খেলতে পারবেন না। আশা করা হচ্ছে তিনি বিশ্বকাপের আগেই ফিটনেস ফিরে পাবেন, তবে প্রস্তুতির সময় খুব বেশি পাবেন না।

ভুলে যাবেন না ব্রাজিল বিশ্বকাপ জিতেছে সবচেয়ে বেশি, মোট পাঁচ বার – ১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৭০, ১৯৯৪, আর ২০০২ সালে।

বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৮

গ্রুপ এফ

জার্মানি আছে গ্রুপ এফ-এ। এ গ্রুপে আরো আছে মেক্সিকো, সুইডেন আর দক্ষিণ কোরিয়া।

বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানির বিশ্বকাপের জন্য ঘোষণা করা ২৭ জনের দলে কয়েকজন বড় তারকা নেই। নেই লিভারপুলের এমরে চ্যান, আর আর্সেনালের স্কোদরান মুস্তাফি। তা ছাড়াও নেই মারিও গোৎসা – যিনি আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে গতবারের ফাইনালে গোল করে জার্মানিকে জিতিয়েছিলেন।

তারকাসমৃদ্ধ জার্মান দলে আছেন বায়ার্ন মিউনিখের টমাস মুলার, ম্যাট হামেলস এবং ম্যানুয়েল নোয়ার, রেয়াল মাদ্রিদের টনি ক্রুস, ম্যানচেস্টার সিটির ইলকে গুন্ডোগান, জুভেন্টাসের স্যামি খেদিরা, আর্সেনালের মেসুত ওজিল, এবং চেলসির এ্যান্টোনিও রুডিগার।

তাদের ম্যানেজারও থাকছেন আগের বারের মতোই জোয়াকিম লো।

জার্মানির প্রথম খেলা ১৭ই জুন। মনে রাখবেন ব্রাজিলের পরই সবচেয়ে বেশি – মোট চার বার – বিশ্বকাপ জিতেছে জার্মানি, ১৯৫৪, ১৯৭৪, ১৯৯০ আর ২০১৪ সালে।

ইতালিও মোট চার বার বিশ্বকাপ জিতেছে – কিন্তু সবাইকে অবাক করে এবার তারা বিশ্বকাপের চুড়ান্ত পর্বে কোয়ালিফাই করতেই পারে নি।

বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৮

সুইডেন দলে এবার সেদেশের সবচেয়ে বিখ্যাত তারকা স্লাতান ইব্রাহিমোভিচ থাকবেন কিনা তা নিয়ে অনেক জল্পনা চলছিল – কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি ডাক পান নি।

দলে আছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ডিফেন্ডার ভিক্টর লিন্ডেলফ।

গ্রুপ জি

গ্রুপ জি-তে আছে বেলজিয়াম, পানামা, তিউনিসিয়া, আর ইংল্যান্ড।

এ গ্রুপে নিশ্চয়ই কাগজে-কলমে সবচেয়ে শক্তিশালী দল বেলজিয়াম।

বেলজিয়াম তার ফুটবল কাঠামো এমনভাবেই গড়ে তুলেছে যে এই দেশটি থেকে এখন বহু তারকা ইউরোপের প্রথম সারির ক্লাবগুলোতে খেলছেন।

চেলসির থিবো কুর্তোয়া আর এডিন হ্যাজার্ড, ম্যানচেস্টার সিটির ভিনসেন্ট কোম্পানি আর কেভিন ডি ব্রাইনা, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের রোমেলু লুকাকু, টটেনহ্যামের ইয়ান ভের্টোঙ্গেন, – এরা সবাই বেলজিয়ান।

বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৮

ইংল্যান্ড যে বিশ্বকাপে কি করবে কেউ বলতে পারেন না। তাদের ব্যাপারে সাধারণত বলা হয়: ‘কোয়ার্টার ফাইনাল এ্যান্ড আউট’ – এই ইংল্যান্ডের নিয়তি।

তবে হ্যারি কেইন বা ডেলি আলির মতো খেলোয়াড়দের আবির্ভাবের পর ইংলিশ ভক্তরা এবার অপেক্ষাকৃত ভালো কিছুর আশা করতে চাইছেন।

 

 

 

সূত্র, বিবিসি

Facebook Comments Box

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» কুয়েতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন কমিউনিটির নেতৃবৃন্দরা

» ভেঙে ফেলা হবে ইটনা-মিঠামইন-অষ্টগ্রাম সড়ক!

» জামায়াত ‘বাধ্য হয়ে’ পাকিস্তানের পক্ষে ছিল: শফিকুর

» এক যুগ পর সেনাকুঞ্জে খালেদা, বসলেন ইউনূসের পাশের চেয়ারে

» আজকের দিনটি গোটা জাতির জন্য আনন্দের: ফখরুল

» তারেক মনোয়ার একজন স্পষ্ট মিথ্যাবাদী

» কুয়েতে নতুন আইনে অবৈধ প্রবাসীদের কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে

» সোশ্যাল প্লাটফর্মে লন্ডনী মেয়েদের বেলেল্লাপনা,চাম্পাবাত সবার শীর্ষে

» ফারুকীর পদত্যাগের বিষয়টি সঠিক নয়

» পাকিস্তান থেকে সেই আলোচিত জাহাজে যা যা এল

Agrodristi Media Group

Advertising,Publishing & Distribution Co.

Editor in chief & Agrodristi Media Group’s Director. AH Jubed
Legal adviser. Advocate Musharrof Hussain Setu (Supreme Court,Dhaka)
Editor in chief Health Affairs Dr. Farhana Mobin (Square Hospital, Dhaka)
Social Welfare Editor: Rukshana Islam (Runa)

Head Office

UN Commercial Complex. 1st Floor
Office No.13, Hawally. KUWAIT
Phone. 00965 65535272
Email. agrodristi@gmail.com / agrodristitv@gmail.com

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
,

বিশ্বকাপ ২০১৮: কোন গ্রুপে কোন দেশ

এবারের বিশ্বকাপে মোট ৩২টি দেশকে আটটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে, প্রতি গ্রুপ থেকে দুটি করে দেশ রাউন্ড অব সিক্সটিন বা নকআউট পর্বে উঠবে।

সেখান থেকে জয়ী দলগুলো ক্রমে কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমিফাইনাল এবং ফাইনালের দিকে এগুবে।

গ্রুপগুলোর দিকে ভালো করে নজর দিন, কারণ যত নামী দলই হোক না কেন, বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব পেরোনো কিন্তু সহজ কথা নয়।

মনে রাখবেন – গত দুটি বিশ্বকাপেই কিন্তু ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন দেশ গ্রুপ পর্বেই ছিটকে গেছে।

২০১০ সালের বিশ্বকাপে ছিটকে যায় তার আগের বারের চ্যাম্পিয়ন ইতালি, আর সেবারের চ্যাম্পিয়ন স্পেনও চার বছর পর ২০১৪-র বিশ্বকাপে এসে গ্রুপ পর্ব পেরুতে পারে নি।

এর আগে ১৯৯৮ সালে বিশ্বকাপ জয়ী জিনেদিন জিদানের ফ্রান্স পরের বার অর্থাৎ ২০০২ সালে গ্রুপ পর্বে ছিটকে গিয়েছিল। তিনটি খেলায় একটিও গোল করতে পারে নি তারা, আর খেয়েছিল তিনটি গোল।

বিশ্বকাপের গ্রুপ তালিকা দেখে ফুটবল পন্ডিতরা একটা-দুটো গ্রুপকে নাম দেন ‘গ্রুপ অব ডেথ’ বলে। কিন্তু আসলে মাঠে নামার পর দেখা যায় – যে কোন গ্রুপই যে কোন দলের জন্য গ্রুপ অব ডেথ হয়ে উঠতে পারে । এটাই বিশ্বকাপের বাস্তবতা।

গ্রুপ এ

গ্রুপ এ-তে আছে স্বাগতিক রাশিয়া, সৌদি আরব, মিশর, আর উরুগুয়ে।

এ গ্রুপে বড় তারকাদের অন্যতম অবশ্যই উরুগুয়ে এবং বার্সেলোনার লুইস সুয়ারেজ। কিন্তু এবার তারকাখ্যাতিতে তার সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছেন মিশরের ফুটবলার মোহাম্মদ সালাহ।

ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে লিভারপুলের হয়ে তার চোখ-ধাঁধানো খেলা এবং ৪৪টি গোল এবারের মৌসুমের অন্যতম বড় চমক ছিল।

বিশ্বকাপে নিশ্চয়ই সালাহর গোল করার ক্ষমতার দিকে সবার নজর থাকবে। তিনি কি একার ক্ষমতায় মিশরকে নাটকীয় কিছু উপহার দিতে পারবেন?

দেখা যাক।

বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৮

মিশর ১৯৯০ সালের পর এই প্রথম বিশ্বকাপ খেলছে – তাদের বিশ্ব র‍্যাংকিং ৩০তম।

আর তাদের রাশিয়ার টিকিট এনে দিয়েছিলেন এই মোহাম্মদ সালাহই – কোয়ালিফাইং পর্বে কঙ্গোর বিরুদ্ধে ৯৪তম মিনিটে এক পেনাল্টিতে জয়সুচক গোল করে।

৫৬টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে এ পর্যন্ত ৩২টি গোল করেছেন মোহাম্মদ সালাহ – মিশরের সবচেয়ে বড় তারকা।

উরুগুয়ে হচ্ছে এই গ্রুপে সবচেয়ে অভিজ্ঞ দল। তারা ১৯৩০এর প্রথম বিশ্বকাপ এবং এর পর ১৯৫০এর বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।

বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৮

গ্রুপ বি

এই বিভাগে আছে পর্তুগাল, স্পেন, মরক্কো এবং ইরান।

ইউরোপের দুই ‘হেভিওয়েটের’ লড়াই এ গ্রুপে।

পর্তুগালেল সবচেয়ে বড় তারকা রেয়াল মাদ্রিদের ক্রিস্টিয়ানো রোনাল্ডো। তিনি তার দেশকে গত ২০১৬ সালে ইউরো জিতিয়েছেন, চার বার বিশ্বের সেরা ফুটবলারের পুরস্কার পেয়েছেন।

তিনি হচ্ছেন বিশ্বের মাত্র চারজন খেলোয়াড়ের একজন – যারা তিনটি বিশ্বকাপে গোল করেছেন।

বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৮

আর স্পেন হচ্ছে ২০১০-এর বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন। এখন তাদের বিশ্ব ফুটবল র‍্যাংকিং হচ্ছে ১১তম, যদিও তারা ২০০৮ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত বিশ্বে এক নম্বর ছিল।

তাদের দলে তারকার কোন অভাব নেই, এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের দিয়েগো কস্তা, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের গোলরক্ষক দাভিদ দা হে (যাকে অনেকেই বলেন বিশ্বের এক নম্বর) আর হুয়ান মাতা, ম্যানচেস্টার সিটির দাভিদ সিলভা, চেলসির আলভারো মোরাতা, আর আছেন রেয়াল মাদ্রিদের ইসকো – যিনি এবার দারুণ ফর্মে। স্পেনের গত ৭টি ম্যাচে ৬টি গোল করেছেন এই মিডফিল্ডার।

স্পেনের দলটি এমনই যে চেলসি’র সেস ফ্যাব্রেগাসের মত খেলোয়াড়েরও জায়গা হয় নি এ দলে।

এই গ্রুপের সেরা ম্যাচ নি:সন্দেহে হতে যাচ্ছে পর্তুগাল আর স্পেনের মধ্যে – যা হবে ১৫ই জুন।

বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৮

গ্রুপ সি

গ্রুপ সি-তে আছে ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, পেরু আর ডেনমার্ক।

জিনেদিন জিদানের ফ্রান্স ১৯৯৮ সালে বিশ্বকাপ জিতেছিল, স্বাগতিক দেশ হিসেবে। তবে পরের বার গ্রুপ পর্বেই বিদায় নিয়েছিল – যা আগেই বলেছিল।

তারা এ পর্যন্ত দু’বার ফাইনাল খেলেছে, সেমিফাইনালে খেলেছে পাঁচ বার। ব্রাজিলে গতবারের বিশ্বকাপে ফ্রান্স কোয়ার্টার ফাইনালে ছিটকে যায়।

তাদের দলেল সবচেয়ে বড় তারকা এ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের আঁতোয়াঁ গ্রিজম্যান। ২০১৬-র ইউরোতে যেবার ফ্রান্স ফাইনাল খেলেছিল – সেবার ৬টি গোল করে টপ স্কোরার হয়েছিলেন গ্রিজম্যান।

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ৮৯ মিলিয়ন পাউন্ডে কেন মিডফিল্ডার পল পগবা তাদের আরেক বড় তারকা।

তার সাথে আছেন বার্সেলোনা ওসমান দেম্বেলে আর পিএসজি-র কাইলিয়ান এমবাপ্পি – যারা ইউরোপিয়ান ফুটবলের উঠতি তারকা।

বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৮

গ্রুপ ডি

গ্রুপ ডি-তে আছে আর্জেন্টিনা, আইসল্যান্ড, ক্রোয়েশিয়া আর নাইজেরিয়া।

আর্জেন্টিনা গত বারের রানার্স আপ। কিন্তু এবারের বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা কোয়ালিফাই করতে পারবে কিনা তা নিয়ে গ্রুপ পর্বে বহুদিন পর্যন্ত সমর্থকদের এক চরম উৎকণ্ঠায় থাকতে হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত আর্জেন্টিনা রাশিয়ার টিকিট পেয়েছে বেশ কষ্ট করে।

আর্জেন্টিনার সবচেয়ে বড় শক্তি তাদের বিশ্বখ্যাত তারকা লিওনেল মেসি, যিনি বিশ্বসেরা ফুটবলারের পুরস্কার জিতেছেন পাঁচ বার।

কিন্তু শুধুই কি মেসি? সেরজিও এগুয়েরো (ম্যানচেস্টার সিটি), গনজালো হিগুয়াইন আর পাওলো দিবালা (জুভেন্টাস), এ্যানজেল ডি মারিয়া (প্যারিস সঁ-জারমেইন) – তারকার অভাব নেই আর্জেন্টিনার।

ক্রোয়েশিয়ার সবচেয়ে বড় তারকা রেয়াল মাদ্রিদের সৃষ্টিশীল মিডফিল্ডার লুকা মডরিচ।

বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৮

তবু প্রশ্ন – আর্জেন্টিনা কি বিশ্বকাপ জিততে পারবে?

লিওনেল মেসির ফুটবলে সবই পাওয়া হয়ে গেছে, কিন্তু এই একটি অপ্রাপ্তি যেন কোথায় খচখচ করে তার ভক্তদের মনে – অলিম্পিকে ছাড়া তার দেশের হয়ে তেমন কিছু জিততে পারেন নি মেসি। পেলে আর ম্যারাডোনার মত বিশ্বকাপও জেতা হয় নি তার।

এ না হলে যেন ফুটবলের ‘হল অব ফেমে’ তার নাম পাকা হচ্ছে না।

গতবার মেসি আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে নিয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু জার্মানির বিরুদ্ধে ফাইনালে জ্বলে উঠতে পারেন নি তিনি।

মেসির সামনে এবারই শেষ সুযোগ।

বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৮

গ্রুপ ই

গ্রুপ ই-তে আছে ব্রাজিল, সুইৎজারল্যান্ড, কোস্টারিকা, সার্বিয়া।

ব্রাজিলকে নিয়ে সব সময়ই বিশ্বকাপে একটা উচ্ছাস, এবং সমর্থকদের আশা-প্রত্যাশা দেখা যায়। তার নান্দনিক শৈলীর ফুটবলের ভক্ত বিশ্বজোড়া। গত বিশ্বকাপে তারা ছিল স্বাগতিক দেশ, দলে ছিলেন নেইমারের মতো তারকা। কিন্তু সেই দলের জার্মানির বিপক্ষে ৭ গোল খাওয়ার দু:স্বপ্নের স্মৃতি এখনো নিশ্চয়ই ভক্তদের মন থেকে মুছে যায় নি।

নেইমার এবারের দলেও আছেন, পরিবর্তন এটাই যে এখন তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে দামি ফুটবলার। তাকে ২০ কোটি পাউন্ডে কিনেছে প্যারিস সঁ-জার্মেইন।

আছেন বার্সেলোনার ফেলিপ কুতিনিও – তিনিও এখন পৃথিবীর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দামি খেলোয়াড়। এছাড়াও আছেন উইলিয়ান (চেলসি), ফার্মিনো (লিভারপুল), গ্যাব্রিয়েল ইয়েসুস, এডারসন, দানিলো, ফার্নান্দিনিওর (এর সবাই ম্যানচেস্টার সিটির) মতো তারকারা। এবার শিরোপা জেতার লড়াইয়ে ব্রাজিল কত শক্তিশালী দাবিদার?

বোঝা যাবে টুর্নামেন্ট শুরু হলেই।

তবে বলে রাখা দরকার – নেইমারের পায়ে মার্চ মাসেই একটি অপারেশন হয়েছে, তখনই বলা হয়েছিল তিন মাস তিনি খেলতে পারবেন না। আশা করা হচ্ছে তিনি বিশ্বকাপের আগেই ফিটনেস ফিরে পাবেন, তবে প্রস্তুতির সময় খুব বেশি পাবেন না।

ভুলে যাবেন না ব্রাজিল বিশ্বকাপ জিতেছে সবচেয়ে বেশি, মোট পাঁচ বার – ১৯৫৮, ১৯৬২, ১৯৭০, ১৯৯৪, আর ২০০২ সালে।

বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৮

গ্রুপ এফ

জার্মানি আছে গ্রুপ এফ-এ। এ গ্রুপে আরো আছে মেক্সিকো, সুইডেন আর দক্ষিণ কোরিয়া।

বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানির বিশ্বকাপের জন্য ঘোষণা করা ২৭ জনের দলে কয়েকজন বড় তারকা নেই। নেই লিভারপুলের এমরে চ্যান, আর আর্সেনালের স্কোদরান মুস্তাফি। তা ছাড়াও নেই মারিও গোৎসা – যিনি আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে গতবারের ফাইনালে গোল করে জার্মানিকে জিতিয়েছিলেন।

তারকাসমৃদ্ধ জার্মান দলে আছেন বায়ার্ন মিউনিখের টমাস মুলার, ম্যাট হামেলস এবং ম্যানুয়েল নোয়ার, রেয়াল মাদ্রিদের টনি ক্রুস, ম্যানচেস্টার সিটির ইলকে গুন্ডোগান, জুভেন্টাসের স্যামি খেদিরা, আর্সেনালের মেসুত ওজিল, এবং চেলসির এ্যান্টোনিও রুডিগার।

তাদের ম্যানেজারও থাকছেন আগের বারের মতোই জোয়াকিম লো।

জার্মানির প্রথম খেলা ১৭ই জুন। মনে রাখবেন ব্রাজিলের পরই সবচেয়ে বেশি – মোট চার বার – বিশ্বকাপ জিতেছে জার্মানি, ১৯৫৪, ১৯৭৪, ১৯৯০ আর ২০১৪ সালে।

ইতালিও মোট চার বার বিশ্বকাপ জিতেছে – কিন্তু সবাইকে অবাক করে এবার তারা বিশ্বকাপের চুড়ান্ত পর্বে কোয়ালিফাই করতেই পারে নি।

বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৮

সুইডেন দলে এবার সেদেশের সবচেয়ে বিখ্যাত তারকা স্লাতান ইব্রাহিমোভিচ থাকবেন কিনা তা নিয়ে অনেক জল্পনা চলছিল – কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি ডাক পান নি।

দলে আছেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের ডিফেন্ডার ভিক্টর লিন্ডেলফ।

গ্রুপ জি

গ্রুপ জি-তে আছে বেলজিয়াম, পানামা, তিউনিসিয়া, আর ইংল্যান্ড।

এ গ্রুপে নিশ্চয়ই কাগজে-কলমে সবচেয়ে শক্তিশালী দল বেলজিয়াম।

বেলজিয়াম তার ফুটবল কাঠামো এমনভাবেই গড়ে তুলেছে যে এই দেশটি থেকে এখন বহু তারকা ইউরোপের প্রথম সারির ক্লাবগুলোতে খেলছেন।

চেলসির থিবো কুর্তোয়া আর এডিন হ্যাজার্ড, ম্যানচেস্টার সিটির ভিনসেন্ট কোম্পানি আর কেভিন ডি ব্রাইনা, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের রোমেলু লুকাকু, টটেনহ্যামের ইয়ান ভের্টোঙ্গেন, – এরা সবাই বেলজিয়ান।

বিশ্বকাপ ফুটবল ২০১৮

ইংল্যান্ড যে বিশ্বকাপে কি করবে কেউ বলতে পারেন না। তাদের ব্যাপারে সাধারণত বলা হয়: ‘কোয়ার্টার ফাইনাল এ্যান্ড আউট’ – এই ইংল্যান্ডের নিয়তি।

তবে হ্যারি কেইন বা ডেলি আলির মতো খেলোয়াড়দের আবির্ভাবের পর ইংলিশ ভক্তরা এবার অপেক্ষাকৃত ভালো কিছুর আশা করতে চাইছেন।

 

 

 

সূত্র, বিবিসি

Facebook Comments Box


এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



Exchange Rate

Exchange Rate EUR: Tue, 3 Dec.

সর্বশেষ খবর



Agrodristi Media Group

Advertising,Publishing & Distribution Co.

Editor in chief & Agrodristi Media Group’s Director. AH Jubed
Legal adviser. Advocate Musharrof Hussain Setu (Supreme Court,Dhaka)
Editor in chief Health Affairs Dr. Farhana Mobin (Square Hospital, Dhaka)
Social Welfare Editor: Rukshana Islam (Runa)

Head Office

UN Commercial Complex. 1st Floor
Office No.13, Hawally. KUWAIT
Phone. 00965 65535272
Email. agrodristi@gmail.com / agrodristitv@gmail.com

Bangladesh Office

Director. Rumi Begum
Adviser. Advocate Koyes Ahmed
Desk Editor (Dhaka) Saiyedul Islam
44, Probal Housing (4th floor), Ring Road, Mohammadpur,
Dhaka-1207. Bangladesh
Contact: +8801733966556 /+8801316861577

Email Address

agrodristi@gmail.com, agrodristitv@gmail.com

Licence No.

MC- 00158/07      MC- 00032/13

Design & Devaloped BY Popular-IT.Com
error: দুঃখিত! অনুলিপি অনুমোদিত নয়।