বাংলাদেশে প্রায় তিন সপ্তাহ আগে দেশব্যাপী কোটা সংস্কার আন্দোলনের শুরু হয়।এর মূল ভূমিকা পালন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
সময় যতই গড়িয়েছে এই আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে বাংলাদেশের সীমাহীন। বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী কোটা সংস্কার আন্দোলনে প্রাণ হারিয়েছেন ১৪৭ ছাত্র-পুলিশসহ সাধারণ মানুষ। রাজধানীসহ সারা দেশে নজিরবিহীন জ্বালাও-পোড়াও এবং ভাঙচুর চালানো হয়।
বাংলাদেশের সহিংসতায় মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের ন্যায় কুয়েতেও প্রবাসী বাংলাদেশিদের মাঝে এর মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়।
বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন- সহিংসতা, এতে প্রবাসীদের কোনো সম্পৃক্ততা না থাকলেও অন্তহীন দুশ্চিন্তায় সময় কাটাচ্ছেন তারা। প্রাণহানি, জ্বালাও পোড়াও ও ভাংচুর এর কোনোটাই মেনে নিচ্ছেন না প্রবাসীরা।
এ পরিস্থিতিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশীরা দেশ,জাতি ও পরিবার নিয়ে উৎকণ্ঠা ও উদ্বিগ্নতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।
মধ্যপ্রাচ্যের কুয়েতেও প্রবাসী বাংলাদেশীরা দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতিতে চরম চিন্তিত নিজ আত্মীয়স্বজনের নিরাপত্তার কথা ভেবে।
কাজ শেষে ঘরে ফিরে প্রবাসীরা যখন বাংলাদেশের গণমাধ্যমে প্রচারিত সংবাদ দেখেন, তখনই তাদের দুশ্চিন্তা হয়।
কোটা আন্দোলন নিয়ে সহিংসতা, এতে যেমন কারো প্রাণহানি হোক কিংবা দেশের ক্ষতি হোক,এর কোনটাই চান না কুয়েত প্রবাসীরা।
দেশের ক্রান্তিলগ্নে সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় বাংলাদেশে সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশ ফিরে আসার প্রত্যাশা করছেন প্রবাসীরা।
জীবন আর জীবীকার তাগিদে প্রায় তিন লক্ষ প্রবাসী বাংলাদেশীরা মধ্যপ্রাচ্যের কুয়েতে কর্মরত রয়েছেন।
দেশের ভালো কিছুতে যেমন তারা খুশি হন,আবার দেশের কঠিন সংকট ও দুরবস্থায় কষ্ট পান।
বর্তমান বাংলাদেশের কোটা সংস্কার ইস্যুর সমাধানের পাশাপাশি সব ধরনের সহিংসতা বন্ধে সংশ্লিষ্টদের কার্যকরী ভূমিকা নিতে অনুরোধ জানান কুয়েত প্রবাসীরা।