
বড়লেখা উপজেলার হরিপুর গ্রামে সন্ত্রাসী হামলায় আপন ভাগ্নেসহ পর্তুগাল প্রবাসী দুলাল আহমদ গুরুতর আহত হয়েছেন। হামলার ঘটনায় পুলিশ প্রধান অভিযুক্ত মাসুক আহদমকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে।
অন্যান্য আসামিরা গ্রেফতার না হওয়ায় মামলা তোলে নিতে তারা বাদীকে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদিকে আহত প্রবাসীর নির্ধারিত সময়ে পর্তুগাল ফেরা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এতে তিনি চাকুরি হারানোর শঙ্কায় ভোগছেন।
জানা গেছে, উপজেলার হরিপুর গ্রামের মৃত আশরাফ আলীর ছেলে পর্তুগাল প্রবাসি দুলাল আহমদ সেখানকার একটি রেস্টুরেন্টে চাকরি করেন। ছুটি নিয়ে গত ৩১ জানুয়ারি তিনি বাড়ি ফিরেন। পরিবারের সাথে ঈদ করে মধ্য এপ্রিলে তার পর্তুগাল ফেরার কথা। প্রতিবেশি মাসুক আহমদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক বিরোধ চলছিল।
পূর্ব-বিরোধের জেরে গত ২৯ মার্চ বিকেলে প্রতিবেশি মাসুক আহমদ (৪৫), তার ছেলে মাসুম আহমদ (২৬), মিনহাজ আহমদ (২৫), নাসিম আহমদ (২৭), মনজ্জির আলী (৬০), আতিক আহমদ (৪৫), ইমান উদ্দিন (৩০) প্রমুখ সঙ্গবদ্ধভাবে দেশিয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে পর্তুগাল প্রবাসী দুলাল আহমদ ও তার ভাগ্নে মাজহারুল ইসলাম খানের উপর অতর্কিত হামলা চালান। এতে মামা ও ভাগ্না গুরুতর আহত হন। এসময় হামলার শিকার প্রবাসী ৯৯৯ নম্বরে ফোন করায় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে এবং তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে সন্ত্রাসী হামলার মুল হোতা মাসুক আহমদকে গ্রেফতার করে পরদিন কারাগারে পাঠিয়েছে।
আহত প্রবাসী দুলাল আহমদ অভিযোগ করেন, তিনি ও তার ভাগ্না ৯ দিন চিকিৎসা নিয়ে মঙ্গলবার বাড়ি ফিরেছেন। হামলার ঘটনায় তিনি ৭ জনের নাম উল্লেখ ও আরো কয়েকজনকে অজ্ঞাত আসামি করে বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। পুলিশ প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করলেও অন্য আসামিদের এখনও গ্রেফতার করেনি। চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি আসার পর আসামিরা মামলা তোলে নিতে নানাভাবে হুমকি ধমকি দিচ্ছে। এতে তিনি ও তার ভাগ্নে নিরাপত্তাহীনতায় ভোগছেন। তিনি আহত হওয়ায় নির্ধারিত সময়ে বিদেশে ফেরায় অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এতে তার চাকুরিচ্যুতির আশংকা রয়েছে।
থানার ওসি আবুল কাশেম সরকার জানান, হামলার ঘটনায় আহত প্রবাসী ৭ জনের নাম উল্লেখ ও আরো ৫/৬ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে থানায় মামলা করেন। তাৎক্ষণিক পুলিশ এক নম্বর আসামি মাসুক আহমদকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।