অগ্রদৃষ্টি ডেস্ক: নিকলীতে ধর্ষণের পর শ্যালিকা হত্যায় অভিযুক্ত দুলাভাই শাহীনকে (২৮) প্রায় তিন মাস পর গ্রেফতার করেছে পুলিশ। করিমগঞ্জ উপজেলার জয়কার একটি বাড়িতে মঙ্গলবার ৮ আগস্ট ভোরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে নিকলী থানা পুলিশ।
গত ১১ মে রাতে সংঘটিত ওই হত্যাকাণ্ডের পর সে পলাতক ছিলো। গ্রেফতার হওয়া শাহীন নিকলী উপজেলার সিংপুর ইউনিয়নের ভাটি বরাটিয়া গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে। শাহীনকে বুধবার ৯ আগস্ট আদালতের মাধ্যমে কিশোরগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, গত ১১ মে রাতে নিকলী উপজেলার দামপাড়া ইউনিয়নের দ্বীপগ্রাম শেখ নবীণপুরের বাসিন্দা ফাইজুল মিয়ার মেয়ে রোকসানা ওরফে রসু নিজ ঘর থেকে নিখোঁজ হয়। রোকসানা টেংগুরিয়া হাজী আহাম্মদ আলী দাখিল মাদরাসার ৫ম শ্রেণির ছাত্রী ছিলো। পরের দিন ১২ মে ভোরে বাড়ির পাশের একটি পাট ক্ষেত থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় রোকসানার লাশ উদ্ধার করে নিকলী থানা পুলিশ। প্রাথমিক আলামতে রোকসানাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে বলে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।
রোকসানা ওরফে রসুর বাবা ফাইজুল ইসলাম নিকলী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। আসামি করা হয় তারই মেজো মেয়ে সুহেলার স্বামী একই উপজেলার ভাটি বরাটিয়া গ্রামের মানিক মিয়ার ছেলে মো. শাহীনকে। শাহীন তার গর্ভবতী স্ত্রী সুহেলাকে নিয়ে ঘটনার মাসতিনেক আগে থেকে শ্বশুরালয়ে থেকে দিনমজুরের কাজ করতেন। থাকতেন শ্বশুরের দুই কক্ষের একটি ঘরের এক কক্ষে। পাশের কক্ষে দুই শ্যালিকা সাগরিকা ও রোকসানা ঘুমাতো। পরিবারের ধারণা, ঘটনার দিন রাতের কোনো এক সময় ঘুমন্ত শ্যালিকা রোকসানাকে তুলে নিয়ে দুলাভাই শাহীন বাড়ির পার্শ্ববর্তী পাট ক্ষেতে ধর্ষণের পর হত্যা করে পালিয়ে যায়।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিকলী থানার এসআই জামাল উদ্দিন আসামি শাহীনকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অগ্রদৃষ্টি.কম // এমএসআই