নবীগঞ্জ প্রতিনিধি: নবীগঞ্জে অস্ত্রের মুখে ভূমিহীন যুবতীকে অপহরণ করে নিজের বাড়িতে ও বিভিন্ন স্থানে আটকে রেখে ধর্ষণ করেছে আব্দুর রহিম (২৫) নামে এক যুবক। সে নবীগঞ্জ উপজেলার শৈলা গ্রামের মনু মিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় ভিকটিমের ভাই হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলা দায়ের করেছে।
অভিযোগে জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার বড় ভাকৈর (পূর্ব) ইউনিয়নের শৈলা গ্রামের মনু মিয়ার লম্পট ছেলে প্রায়ই একই যুবতিকে উত্ত্যক্ত করতো। ঘটনাটি গ্রামের মুরুব্বীয়ানদের জানালে লম্পট আব্দুর রহিম ক্ষিপ্ত হয় এবং মেয়েটির সর্বনাশ করার জন্য ফন্দি আঁটে। এক পর্যায়ে মেয়ের ভাই বাড়িতে না থাকার সুযোগে গত ১৪ আগস্ট গভীর রাতে আব্দুর রহিম তার সঙ্গীয় লোকদের নিয়ে ঘরের বাঁশের দরজা কৌশলে খোলে। পরে মেয়েটিকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে তার বাড়িতে নিয়ে আটকে রাখে। সেখানে ধর্ষণ করে। পরদিন রাতে স্থানীয় ভূমিপাড়ার উত্তরের হাওরে নিয়েও ধর্ষণ করে। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে গ্রামবাসী এগিয়ে গেলে লম্পট রহিম পালিয়ে যায় এবং ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন গ্রামবাসী। এ ঘটনায় ধর্ষিতার ভাই বাদী হয়ে হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে মামলা দায়ের করেন। বিজ্ঞ বিচারক এফআইআর গণ্যে মামলাটি রুজু করার জন্য নবীগঞ্জ থানা পুলিশকে নির্দেশ প্রদান করেন।