দেশে ঢালাও মামলার প্রবণতা দেখা দিয়েছে, যা বিব্রতকর বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। আইনগত উপায়ে বিষয়টি সামাল দিতে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের পরামর্শ চাওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিকালে রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের সভাকক্ষে বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
আসিফ নজরুল বলেন, ‘দুটি ব্যাপারে ওনাদের (বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন) কাছে নির্দিষ্টভাবে সহায়তা চেয়েছি। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে গায়েবি মামলা হতো। সরকারের পক্ষ থেকে গায়েবি মামলা দিতো। আর এখন আমরা সরকারের পক্ষ থেকে কোনও মামলা দিচ্ছি না। সাধারণ লোকজন, ভুক্তভোগী লোকজন, রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, তারা অন্যদের ব্যাপারে ঢালাও মামলা দিচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘ঢালাও মামলার একটা খুব মারাত্মক প্রকোপ দেশে দেখা দিয়েছে, এটি আমাদের অত্যন্ত বিব্রত করে। আমরা অনেক ধরনের আইনি সংস্কারের কথা ভাবছি। আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবছি। …ওনাদের কাছে আমাদের একটা প্রত্যাশা যে ওনারা আইনগতভাবে কীভাবে বিষয়টি সামাল দেওয়া যায়— পরামর্শ নিতে এসেছি। ওনারা পরামর্শ দেবেন, কাজ করে, রিসার্চ করে জানাবেন।’
আইন উপদেষ্টা বলেন, ‘পরবর্তীতে উচ্চ আদালতে যে বিচারক নিয়োগ হবে, সেটি আমরা একটা আইনের মাধ্যমে করতে চাচ্ছি। আইনের মাধ্যমে করার দাবি সমাজে বহুদিন যাবৎ আছে। ২০০৮ সালে এ রকম একটা আইন হয়েছিল। পরে তা আইনে রূপান্তরিত হয়নি। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার এসে ওটাকে আইনে রূপান্তরিত করেনি। ওই আইনটা আরও বেশি যুগোপযোগী করার জন্য ওনাদের (বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন) সহায়তা চেয়েছি, যাতে নেক্সটে যে নিয়োগ হবে সেটি যাতে আমরা আইনের মধ্য দিয়ে করতে পারি।’
গত ৩ অক্টোবর আট সদস্যের ‘বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশন’ গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার।