স্টাফ রিপোর্টার : জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে সরকার। জনমনে আতঙ্ক বা ভয় তৈরি হয় এমন পরিস্থিতি ঠেকাতে সরকার বদ্ধপরিকর। এ জন্য জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) চিঠি দেয়া হচ্ছে। যাতে মাঠ প্রশাসন যেকোন নাশকতা ঠেকাতে আরও বেশি সর্তক থাকে। সরকার বিরোধী নাশকতার ছক বিবেচনায়
নিয়ে সরকার এই পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে। সূত্র জানায়, ব্লগারসহ আইন-শৃংখলা বাহিনী সদস্যদের ওপর হামলার ঘটনায় কঠোর আইনি পদক্ষেপের অংশ হিসেবে এ পদক্ষেপ নিচ্ছে সরকার। আইনশৃঙ্খলা-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্তের আলোকে দেওয়া হচ্ছে এই চিঠি। চিঠিতে বলা হয়েছে, দেশে একটি গোষ্ঠী নাশকতা ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পায়তারা করছে। তারা আইন-শৃংখলা বাহিনীর সদস্যসহ সাধারণ মানুষের ওপর হামলার অপচেষ্টা করছে। সরকার যেকোন ভাবে এসব প্রতিরোধ করতে তৎপর। তাই আপনাদের (ডিসি) সর্তক ও সজাগ ভাবে দায়িত্ব পালনে নির্দেশনা দেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, এটি নিয়মিত কার্যক্রম। আইন-শৃংখলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। উদ্বিগ্ন হওয়ার মতো কোনো ঘটনা নেই। তারপরও মাঠ প্রশাসনকে সজাগ থাকতে বলেছি।
এর আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে গত সপ্তাহে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।এতে সভাপতিত্ব করেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে নাশকতা, ব্লগারদের ওপর হামলা, সাধারণ মানুষকে হত্যা, বিমান বন্দরগুলোতে নাশকতা ও কারাগারগুলোতে নাশকতার ছক করেছে সরকার বিরোধী অংশ। মানবতাবিরোধীদের বিচার ইস্যুতে জামায়াত-শিবির এই পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বলে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এর প্রেক্ষিতে সরকার কারাগার ও বিমানবন্দরগুলোতে সর্তকতা জারি করে। এবার মাঠ প্রশাসককে সর্তক করা হলো।
সূত্র আরও জানায়, এসব ঘটনায়র পর যেসব মামলা হচ্ছে সেগুলোকে দ্রুত বিচার আইনের আওতায় নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া মামলাগুলো গোয়েন্দা পুলিশকে তদন্ত করতে উচ্চ মহলের নির্দেশ রয়েছে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার বলেন, জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার কঠোর অবস্থানে। আর সেই লক্ষ্যে মাঠ প্রশাসনকে চিঠি। এদিকে, রাজনৈতিকভাবে পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার বিএনপি জোটের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে চলমান মামলাগুলো সক্রিয় করছে। এসব মামলায় নেতা-কর্মীদের আটক করে আবারও জেলহাজতে পাঠানো হচ্ছে। সূত্র বলছে, বিএনপি ও এর জোটের বিরুদ্ধে সরকার পূর্বের দায়ের করা মামলাগুলো সক্রিয় করে নেতা-কর্মীদের আটক অব্যাহত রাখবে। যাতে আগামী ৫ জানুয়ারিতে বর্তমান সরকারের তৃতীয় বছরে পদার্পনে কোনো ধরনের নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে।