আমেরিকায় বিগত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারাভিযানের সময় ওবামা প্রশাসন ক্ষমতার অপব্যবহার করেছিল কিনা, মার্কিন কংগ্রেসকে তা পরীক্ষা করে দেখতে বলেছে হোয়াইট হাউস কর্তৃপক্ষ।
এর আগে শনিবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প অভিযোগ করেন যে নির্বাচনের ঠিক আগে আগে মি. ওবামা তার ফোন ট্যাপ করিয়েছিলেন বা ফোনে আড়ি পেতেছিলেন – কিন্তু এর পক্ষে কোন প্রমাণ দেন নি।
হোয়াইট হাউস বলছে, এ ব্যাপারে যেসব রিপোর্ট বেরিয়েছে তা খুবই উদ্বেগজনক।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ওবামার একজন মুখপাত্র বলেছেন, তিনি কখনো কোন মার্কিন নাগরিকের ওপর নজরদারির নির্দেশ দেন নি।
মার্কিন আইনে শুধু মাত্র বিদেশি শক্তির সাথে জড়িত এজেন্টের ক্ষেত্রেই ফোন ট্যাপিং এর অনুমোদন দেয়া যায়।
নির্বাচনের আগে প্রেসিডেন্ট ওবামা তার টেলিফোন ট্যাপিংয়ের নির্দেশ দিয়েছিলেন, এই অভিযোগের স্বপক্ষে মি. ট্রাম্প এখনো কোনও প্রমাণ হাজির করেন নি।’
কিন্তু তিনি মার্কিন কংগ্রেসকে আহ্বান জানিয়েছেন এই অভিযোগ তদন্ত করতে।
প্রেসিডেন্টের প্রেস সেক্রেটারি শন স্পাইসার বলেছেন সেই তদন্তে এটাও দেখা উচিৎ যে সাবেক প্রেসিডেন্ট তার ক্ষমতার অপব্যবহার করেছিলেন কিনা।
শনিবার একাধিক টুইটার বার্তায় মি. ট্রাম্প তার পূর্বসূরির বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেন।
সাথে সাথে এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন মি. ওবামার একজন মুখপাত্র কেভিন লুইস।
তিনি বলেন, এই অভিযোগ মিথ্যা। মি. ওবামা কখনোই কোনও মার্কিন নাগরিকের ওপর নজরদারির নির্দেশ দেননি।
বেশ কজন রিপাবলিকান এবং ডেমোক্রেট রাজনীতিক প্রমাণ হাজির করতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
কিন্তু এখনও পর্যন্ত তিনি বা তার কোনও মুখপাত্র কোনও প্রমাণ দেননি।
তবে আমেরিকান কিছু মিডিয়ায় খবর বেরিয়েছে নির্বাচনী প্রচারণার সময় মি. ট্রাম্পের শিবিরের কিছু সদস্যের সাথে রুশ কর্মকর্তাদের গোপন যোগাযোগ নজরদারি করতে এফবিআই আদালতের অনুমতি চেয়েছিল।
সেই অনুরোধ প্রথমে প্রত্যাখ্যান করলেও অক্টোবরে এফবিআইকে সেই অনুমতি দেয়া হয়।
তবে সংশ্লিষ্ট আদালত বা এফবিআই এই ধরণের অনুমতির কথা নিশ্চিত করেনি।
ডেমোক্র্যাটিক পার্টির লোকজন বলছে, রাশিয়ার সাথে তার যোগসাজশের কেলেঙ্কারি থেকে নজর ঘোরাতে মি. ট্রাম্প বারাক ওবামার বিরুদ্ধে মনগড়া এ অভিযোগ এনে হাজির করেছেন।