দীর্ঘদিন পর টেস্ট ক্রিকেটে ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। ইনজুরি আক্রান্ত হাঁটুতে ভর করে একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে জাতীয় দলকে সার্ভিস দিয়ে গেলেও ক্রিকেটের দীর্ঘতম ফরম্যাটে বল হাতে নেননি দীর্ঘ ছয়টি বছর।
সর্বশেষ ২০০৯ সালের জুলাই মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সাদা জার্সি গায়ে বোলিং করেন মাশরাফি। মাত্র ৬.৩ ওভার বল করেই হাঁটুর ইনজুরিতে আক্রান্ত হন তিনি। এরপর তিন মাস সব ধরনের ক্রিকেটের বাইরেই চলে যান নড়াইল এক্সপ্রেস। ফিরে এসে টি-টোয়েন্টি ও একদিনের ক্রিকেটে রঙিন বল নিয়ে দেশের পক্ষে লড়াই করলেও টেস্ট ক্রিকেটের লাল বল আর তার হাতে ওঠেনি।
সম্প্রতি মাশরাফি টেস্ট ক্রিকেটে ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করে সংবাদ মাধ্যমকে বলেছিলেন, আগামী ১০ অক্টোবর খুলনার হয়ে রংপুরের বিপক্ষে জাতীয় লিগের ম্যাচটি খেলব। আরও একটি ম্যাচে খেলতে চাই তবে পরপর দুই ম্যাচে না, একটু বিরতি দিয়ে আবার নামব। এখন আমার ফিটনেস বেশ ভালো তাই খেলার সাহস পাচ্ছি। এমনকি টেস্ট ক্রিকেটেও ফেরার কথা ভাবছি। এখন আমাকে দেখতে হবে জাতীয় লিগে কি হয়।
মাশরাফির টেস্ট ক্রিকেটে ফেরার ঘোষণায় বাংলাদেশের ক্রিকেটপ্রেমীরা একদিকে যেমন আনন্দিত হয়েছেন অন্যদিকে হয়েছেন চিন্তিত। বার বার চিকিৎসকের ছুরির নিচে যাওয়া মাশরাফির দুই হাঁটু কি পারবে টেস্ট ক্রিকেটের ধকল সামলাতে? একটি টেস্টের জন্য আবার কি মাঠের বাইরে চলে যেতে হবে প্রিয় ক্যাপটেনকে? এই চিন্তা এখন সব বাংলাদেশি ক্রিকেটপ্রেমীর মনে।
কিন্তু ক্রিকেটার মাত্রই টেস্ট খেলতে উন্মুখ হবেন তাই স্বাভাবিক। ক্রিকেটের অভিজাত ফরম্যাটে খেলতে না পারার আক্ষেপ তাই নড়াইল এক্সপ্রেসকেও কাঁদায়। সময় স্বল্পতা, খেলায় টানটান উত্তেজনার বিচারে বর্তমান সময়ে টি-টোয়েন্টি ও একদিনের ক্রিকেট তুমুল জনপ্রিয় হলেও মাশরাফির মতো জাত ক্রিকেটার কি শুধু বিনোদন নির্ভর ক্রিকেটে সন্তুষ্ট থাকতে পারেন!