নিজস্ব প্রতিনিধি,মৌলভীবাজার থেকেঃ মৌলভীবাজার সদর থানাধীন শ্রীমঙ্গল রোডস্থ ব্রাদার্স টাইলস্ এন্ড মার্বেলের বিক্রেতা কামরুল ইসলাম শিপু, জয়নুল হক মুন্না, মিজানুল হক পান্না ও শাইদুল ইসলাম সাফি অভিযোগ করে বলেন আজ ০২.০২.২০১৬ ইং তারিখে তাদের একজন ক্রেতা নগদ প্রায় পঞ্চাশ হাজার টাকা পরিশোধ করেন;সেসময়য় ২হাজার টাকার দুটি জাল নোট পাওয়া যায়।
কালো টাকা, কালোবাজার, কালো অর্থনীতির কথা শুনে আসছি কয়েক যুগ ধরে। বেআইনি বা কালোবাজারে অর্জিত টাকাকে কালো টাকা বলা হয়। বেআইনি বাজার বা জগত্ হচ্ছে যে বাজার আইনগতভাবে স্বীকৃত নয়। চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ঘুষ ইত্যাদি এক রকম পদ্ধতি যার মাধ্যমে কালো টাকা অর্জিত হয়। বাংলাদেশের মতো দেশগুলোতে ঘুষ বিরাট একটা বাণিজ্য। সরকারি চাকরিতে প্রায় ৯৯ ভাগ লোক ঘুষ খায়। পুলিশের ঘুষ খাওয়াটা বহুল প্রচারিত। বোধ হয় ব্রিটিশ আমল থেকেই। ধীরে ধীরে ঘুষ খাওয়াটা সব সরকারি অফিসে ছড়িয়ে পড়ে। এখন ঘুষ খাওয়াটা তেমন লজ্জা বা শরমের বিষয় নয়। অর্থের লোভে মানুষ ওজনে কম দেয়, খাদ্যে ভেজাল মেশায়, ইমারত নির্মাণে ভেজাল দেয়, নিজের বাড়ি বানাতেও ভেজাল দেয় এবং পরে সে ঘর ভেঙে নিজেরাই মারা যায়। নিজের খাদ্যে ভেজাল দিয়ে নিজেই খেয়ে মারা যায়। জাল নোট ছাপিয়ে পরে নিজেই সেই জাল নোটের কবলে পড়ে সর্বস্বান্ত হয়।
দেশে প্রচলিত নোটগুলোর মধ্যে ৫০০ ও ১০০০ টাকা মূল্যমানের নোটই বেশি পরিমাণে জাল হচ্ছে। উচ্চমানের মুদ্রা বলে এসব নোট জাল করে বেশি মুনাফা পাওয়া যায়। জাল নোট তৈরির সরঞ্জাম ও নোটসহ যেসব প্রতারক চক্র ধরা পড়েছে সেগুলোর বেশির ভাগই ওইসব নোটের জালকারী। ৫০ ও ১০০ টাকা মূল্যমানের নোটগুলো এখন জাল হচ্ছে না বললেই চলে। বাংলাদেশ ব্যাংকের জাল নোট প্রচলন প্রতিরোধ বিষয়ক এক প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। তবে প্রতিবেদনে এও বলা হয়েছে, মুদ্রা জালকারীদের বিরুদ্ধে আইনশৃংখলা বাহিনীর ব্যাপক অভিযানের ফলে এখন নোট জালকারী চক্রটির তৎপরতা কিছুটা কমেছে। ফলে এখন ব্যাংকের ক্যাশ কাউন্টার, এটিএম বুথগুলোতে জাল নোট ধরা পড়ছে কম।
এদিকে মৌলভীবাজার সদর থানাধীন শ্রীমঙ্গল রোডস্থ ব্রাদার্স টাইলস্ এন্ড মার্বেলের বিক্রেতা যখন তাদের সঞ্চিত অর্থ ব্যাংকে জমা রাখার জন্যে যান; ঠিক তখন মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল রোডস্থ উত্তরা ব্যাংকের কেশ কাউন্টারে বসা এক অফিসার বলেন, জমা রাখার জন্যে নিয়ে আসা আপনাদের টাকার মধ্যে দুটি ২হাজার টাকার জাল নোট সনাক্ত করা হয়েছে।
ব্রাদার্স টাইলস্ এন্ড মার্বেলের বিক্রেতা অগ্রদৃষ্টিকে বলেন, এই জাল নোটের মাধ্যমে আমরা বা আমাদের এই বৃহৎ প্রতিষ্টান হয়তো খুবেকটা ক্ষতিগ্রস্থ হয়নি; কিন্তু এই ক্ষেত্রে মধ্যম আয়ের ক্রেতা এবং স্বল্প পুঁজির বিক্রেতারা নিশ্চিত বিরাট ক্ষতিগ্রস্থ হবেন।