ছাত্রলীগ ও থানা পুলিশ মিলে হতদরিদ্র পরিবারের ১৭ বছরের এক নিরীহ কলেজ ছাত্রকে থানা হাজতে আটকে রেখে নির্যাতন করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে । এ ঘটনায় সুনামগঞ্জে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে ।”
জানা গেছে , তাহিরপুর উপজেলার বাদাঘাট সরকারি ডিগ্রী কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের রাজু মীর নামের এক কলেজ ছাত্রকে শুক্রবার সকালে প্রথমে ছাত্রলীগ নামধারি কয়েকজন দুর্বত্ত আটক করে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনসহ মারধর করে বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে হস্তান্তর করে । পরে সেখান থেকে তাকে নেওয়া হয় তাহিরপুর থানা পুলিশের হেফাজতে । সেখানে নিয়ে চালানো হয় তার উপরে ষ্টিম রোলার । এর নেতৃত্ব দেন তাহিরপুর থানার এস আই রফিক । চর,তাপ্পর,কিল ও ঘুষি মেরে স্বীকারোক্তি জবানবন্দি নিতে চাপ প্রয়োগ করেন । একপর্যায় প্রাণ বাঁচাতে ওই কলেজ ছাত্র পুলিশকে উদ্দেশ্য করে বলে আমি আদালত থেকে জামিনে ফিরে নির্যাতনের বিচার চেয়ে উচ্চ আদালতে মামলা করবো ।’ তখন এসআই রফিক ভয়ে তাকে নির্যাতন করা থেকে বিরত হন ।”
এদিকে বিশ্বস্থ একটি সূত্র জানায়, এসআই রফিক রাজধানী ঢাকায় দীর্ঘদিন পুলিশি চাকুরী করে ৭-৮মাস পূর্বে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর থানায় এসে যোগদান করেন। রাজধানী এলাকায় চাকুরীজীবনে তিনি বিভিন্ন ধরনের অসামাজিক কার্য্যকলাপের স্পট থেকে বড় অংকের টাকা হাতিয়ে নিতেন এমনকি ঢাকার ওলিতে গলিতে থাকা ছিনতাইকারীদের সাথেও ছিল তার গভীর সখ্যতা। এসব অভিযোগের প্রমাণ পেয়ে পুলিশের হেডকোয়ার্টার থেকে তাকে সাময়িক শাস্তি হিসেবে বদলী করে হাওরা ল এলাকায় । কিন্তু তাহিরপুর সীমান্তবর্তী ও হাওড় অ ল এলাকায় আসার পরেও পরনো নেশার টানে বাদ দেননি তিনি তার সেই অবৈধ ধান্দাবাজি । ইতিমধ্যে মরণব্যাধী ইয়াবা ও ফেন্সিডিল ব্যাবসায়ীদের সাথে গড়ে তোলেছেন গভীর সখ্যতা । এসব আসামীদের সাথে থাকা ইয়াবা উদ্ধারের পর অল্পপরিমান জব্দ দেখিয়ে বাকিটা নিজের হেফাজতে রেখে বিক্রয় করে ও ঘুষ বাণিজ্য সহ হাতিয়ে নেন তিনি টাকা কাড়ি কাড়ি টাকা । তার সাথে রয়েছে উপজেলার বাদাঘাট বাজার এলাকার দাপুট বেশ ক’জন হত্যামামলার আসামী, সন্ত্রাসী দুর্বত্ত ও বিতর্কিত ফ্রিলেন্স সংবাদকর্মী ও সীমান্তের ইয়াবা ব্যবসায়ীরা । তাদের সহযোগীতায় কৌশলে সীমান্ত এলাকার চোরাকারবারিদের সঙ্গে নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি রমরমা চাঁদা আদায় বাণিজ্য । নিজের ফায়দা লুটতে থানার ওসি বা জেলা পুলিশ সুপারকেও বেকায়দায় ফেলতে দ্বিধাবোধ করেননা ওই এসআই । ভূল তথ্য দিয়ে এসিড মামলার পলাতক আসামী মোজাম্মেলর আলম ভুইয়া ও তার ভাই জাহাঙ্গির আলম ভূইয়া নামক দু’কলম কেরানি খ্যাত সংবাদকর্মীকে দিয়ে পুলিশ সুপার ও ওসির বিরুদ্ধে সংবাদও প্রেরণ করে থাকেন এস আই রফিক । এমনকি তাদের সাথে থাকা সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ হত্যা মামলার আসামী ও দুর্বত্তদের বিরুদ্ধে কোন সংবাদ প্রকাশ করা মাত্রই ফুসে ওঠেন তিনি ও তার লালিত সন্ত্রাসীরা । বিভিন্ন ধরণের ষড়যন্ত্রমূলক হামলা,মামলা মোকাদ্দমার জাল তৈরী করে থাকেন । যাতে তাদের সিন্ডিকেট চক্রের থলের বিড়াল জনসম্মুখে বেড়িয়ে আসার আগেই জেল পুড়তে পানের সাংবাদিকদেরকে।’
সরেজমিন খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এসিড মামলার পলাতক আসামী উপজেলার তাহিরপুর হাসপাতালের কলকি রব ও আয়া আরৈানা দম্পতির গুণধর ছেলে মোজাম্মেল আলম ভুইয়া ওরফে বিলকিস মোজাম্মেল ভূল তথ্য সংগ্রহ করে তারই সহোদর জাহাঙ্গির আলম ভূইয়াকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে জাতীয় দৈনিক মানবজমিন পত্রিকা, দৈনিক নয়াদিগন্ত, সিলেটের স্থানীয় দৈনিক জালালাবাদ সহ দেশের বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টলে সংবাদ পাঠিয়ে থাকেন ।’ প্রতিনিয়ত সকাল হলেই তাদের একটাই লক্ষ্য মিথ্যাকে পুজি করে ও স্থানীয় এলাকায় গ্রুপ সৃষ্টি করে বিশৃংখলা ও সন্ত্রাসীকমকান্ডে উস্কানি দিয়ে নানা ভাঙ্গিমাখায় টাকা উপার্জন করা এবং প্রতিদিন অন্তত বার কয়েক তাহিরপুর থানায় আড্ডা জমায় ওই জাহাঙ্গির আলম । এমনটি সত্যতা নিশ্চিত করেছেন তাহিরপুর থানা পুলিশের কয়েকজন সদস্য । ’
অতি উৎসাহী এসআই রফিক জাহাঙ্গির আলম ভূইয়াকে দিয়ে শুক্রবার ভূয়া তথ্য দিয়ে সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারকে জড়িত করে দশ হাজার টাকা চাঁদা হাতিয়ে নেওয়ার একটি সংবাদ প্রেরণ করিয়েছেন। সংবাদে মাসোহারা ১০হাজার টাকা এক ব্যাক্তির কাছ থেকে পুলিশ সুপার হারুনুর রশিদ হাতিয়ে নেন বলে ওই সংবাদে উল্লেখ করেছেন জাহাঙ্গির আলম ভূইয়া ।’ ওই সংবাদে পুলিশ সুপারের বক্তব্য ছাড়াই সংবাদটি প্রেরণ করেছেন তিনি । এছাড়াও উল্লেখ করেছেন তাহিরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শ্রী নন্দন কান্তি ধর জাহাঙ্গীরের নিকট স্বীকারোক্তি দিয়েছেন যে,কলেজ ছাত্র রাজু ঘটনার সাথে জড়িত বলে প্রাথমিকভাবে বলেছে । কিন্তু এবিষয়ে থানার ওসি শ্রী নন্দন কান্তি ধর গণমাধ্যকে শুক্রবার রাত ১১টা ৫৯মিনিটে মুটোফোনে বলেন, জাহাঙ্গির আলম ভূইয়া আমাকে রাজুর ব্যাপারে কোন কিছু জিঞ্জাসা করেনি বা আমি তাকে কিছু বলিও নি। এটা নিজে থেকে সে বানিয়ে লিখেছে ।’ ব্যাপারটি আমি আমার উর্ধ্বতন কতৃপক্ষকে অবহিত করছি। শুধু তাই নয় কলেজ ছাত্রকে রাতে হাজত থেকে বের করে ওই জাহাঙ্গীর এসআই রফিকের সহযোগীতায় ছবি তুলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রেরণ করে তাকে মানসিক চাঁপ ও সামাজিক ভাবে প্রশ্ন বিদ্ধ করতেও পিছপা হয়নি। তাহলে প্রশ্ন থেকে যায়, একজন পুলিশ সুপারকে চাঁদাবাজ ও ওসিকে নিয়ে উস্কানীমূলক সংবাদ প্রেরণ(প্রকাশ)’র পরেও কী কারনেই বা পুলিশ প্রশাসন হাটু ঘেরে বসে আছে থানায় ? একর পর এক অপকর্ম ও ত্রাস সৃষ্টি করে থাসার দালালি করা সহ নানা জনবিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকার পরও কিভাবে পার পেয়ে যাচ্ছে ওই সংবাদকর্মী নামধারী ও তার সহোদর এসিড মামলার পলাতক আসামী মোজাম্মেল ও ? বলির পাঠা বানাতে ও নিজেরা এসিড মাম লা থেকে রেহাই পেতে নামে বেনামে অভিযোগের পাহাড় তুলে শেষ পর্য়্যন্ত জামায়ত শিবীর কর্মী সাংবাদিক নামধারী মোজাম্মেল ও জাহাঙ্গীর দু সহোদও মিলে গত কয়েকদিন ধরেই উস্কানি দিয়ে কলেজ ছাত্র রাজু,সাংবাদিক হাবিব সারোয়ার আজাদ ও আলম শেখ’কে ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় ফাঁসিয়েছেন সংবাদকর্মীনাদঅরী দু’ ভূইয়া । অন্যএকটি সূত্র জানায়, সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপারকে বির্তকিত ও ওসি নন্দনকে চাপে ফেলতে কৌশলে সংবাদে তাদের নাম টুকিয়ে দেয় বাচাল দু’ সহোদর ভূইয়া । প্রেরণকৃত সংবাদে কোন সময় জাহাঙ্গীরের মোবাইল ফোনের নং আবার কখনো মোজাম্মেলের মোবাইল ফোনের নং ও দেয়া হয়ে থাকে।’
এব্যাপারে তাহিরপুর থানার এস আই রফিকের সাথে শুক্রবার রাতে মুটোফোনে আলাপকালে তিনি গণমাধ্যকর্মীদের বলেন, রাজুকে ছাত্রলীগের কয়েকজনকর্মী ধরে নিয়ে এসে বাদাঘাট পুলিশ ফাঁড়িতে দিয়ে যায় । ফাঁড়ি থেকে আমি মামলার তাকে থানায় নিয়ে আসি । আমি তাকে কোন নির্যাতন করিনি । তবে শুনেছি তাকে নাকি তারা মারধর করেছে । অপরএক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হাবিব সরোয়ার আজাদের সাথে এসিড মামলার পলাতক আসামী মোজাম্শের আলম ভুইয়া ও তার ভাই জাহাঙ্গির আলমের বিরোধ রয়েছে তাই সে সাংবাদিক হাবিব সরোয়ার আজাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে বলেও মনে হয় আমার । তবে আমার সাথে জাহাঙ্গিরের আবার খুব ভালো মিল ঢাকার রাজধানীতে কোন ছিনতাকারীদের সাথে তার কোন সর্ম্পক নেই বলেওদাবি করেন তিনি ।’
এবিষয়ে তাহিরপুর থানার অফিসার ওসি শ্রী নন্দন কান্তি ধর’র সাথে আলাপকালে তিনি জানান, আসামীকে কোন মারধর করা হয়নি বা আমি বলতে পারবোনা । অপরএক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার জানামতে হাবিব সারোয়ার আজাদ একজন সাংবাদিক তিনি কেন পুলিশ সুপারকে চাঁদা দিতে যাবেন । এটা কিভাবে সম্ভব ?। এদিকে জাহাঙ্গির আলমের ভূল তথ্য প্রেরনের (প্রকাশের) ডকুমেন্ট থাকায় তার বক্তব্য নেওয়ার কোন প্রয়োজন পড়েনি ।”
এদিকে সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মো. হারুনুর রশীদের বক্তব্য নিতে সরকারি মুঠোফোনে শুক্রবার ও শনিবার কয়েকদফা যোগাযোগ করলেও ফোন ব্যস্ত থাকায় উনার কোন বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি ।
হাবিবুর রহমান, সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা -১১.০২.১৭।
যে সংবাদটি বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে মোজাম্মেল আলম ভুইয়া ও তার সহোদর জাহাঙ্গীর আলম ভুইয়া প্রেরণ (প্রকাশিত)হয়েছে তা ডকুমেন্টস্বরুপ নিম্নে তুলে ধরা হলো :-
তাহিরপুরে প্রধানমন্ত্রীর পোষ্টার আগুনে পুরানোর মামলায় এক সন্ত্রাসী
গ্রেফতার :২ জন ধরাচোয়ার বাহিরে
সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পোষ্টার আগুনে পুরানোর ঘটনায় মামলা দায়েরের ১২দিন পর রাজু মিয়া (২৫) নামের এক সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার সকাল ৭টায় তাকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। সন্ত্রাসী রাজু মিয়া উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের বাদাঘাট গ্রামের শহিদ উল্লাহর ছেলে। এই মামলার অন্য আসামীরা হলেন-উপজেলার বাদাঘাট ইউনিয়নের কামড়াবন্দ গ্রামের মৃত বদ মিয়ার ছেলে চিহ্নিত সন্ত্রাসী হাবিব সারোয়ার আজাদ(৩৭) ও একই গ্রামের আব্দুর রহিম শেখের ছেলে আলম শেখ(২২)। তারা প্রকাশ্যে এলাকায় বুক ফুলিয়ে গুরাফেরা করলেও পুলিশ কিছুই করছে না। ফলে জেলা ও উপজেলা ছাত্রলীগ নেতাকর্মীসহ সর্বস্থরের জনসাধারণের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানাযায়,গত ৩০শে জানুয়ারী সোমবার রাত ১০টায় বাদাঘাট বাজারে প্রকাশে ৩ সন্ত্রাসী বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৬৯তম প্রতিষ্টা বার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ও সজিব ওয়াজেদ জয় এর ফটো সংযুক্ত পোষ্টার ও বিলবোর্ড এলাকার বিভিন্ন হাট-বাজার থেকে নামিয়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এসময় বাদাঘাট বাজারের দুই পাহারাদার তাদেরকে বাঁধা দিলে তাদের কে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় সন্ত্রাসীরা। এঘটনার প্রেক্ষিতে গত পহেলা ফেব্রুয়ারী রাত ৯টায় ঐ ৩জন সন্ত্রাসীকে আসামী করে তাহিরপুর থানায় মামলা নং-৫ দায়ের করেন জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি ঝুমুর কৃষ্ণ তালুকদার। এই মামলা দায়েরের কারণে সন্ত্রাসীরা ক্ষেপে গিয়ে গত ২রা ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার রাত ২টায় পৈলনপুর সার্বজনিন কালি মন্দিরের ২টি কালি মূর্তি ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয় এবং সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম ফেসবুকে তাদের নিজের আইডিসহ বিকাশ ফকির,বাদাঘাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগ,শারমিন চৌধুরী ও রাশেদ হাসান মুন্না সহ প্রায় ২০-৩০টি ফেইক আইডি তৈরি করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জেলা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি ঝুমুর কৃষ্ণ তালুকদারসহ আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মাদকসেবী,ইয়াবা ব্যবসায়ী,কলকি বাবা ও আওয়ামীলীগ,ছাত্রলীগকে কুলাংকারলীগ আখ্যায়িত করে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করে। এসব ঘটনার পরও পুলিশ কোন ভূমিকা না নেওয়ায় ফুঁসে উঠে জেলা ও উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাসহ সর্বস্থরের জনসাধারণ। প্রতিদিন দিন জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শুধু হয় বিক্ষোভ প্রতিবাদ মিছিল ও মানববন্ধন। সেই সাথে গত ৬ই ফেব্রুয়ারী সোমবার রাত ১০টায় জেলা ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি ঝুমুর কৃষ্ণ তালুকদার ৩জন সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে আবার থানায় জিডি নং-২০৫ দায়ের করেন। এছাড়া একটি সূত্রে জানাযায়,এসিড মামলার প্রকৃত আসামীকে গ্রেফতার না করে গোপন রাখার জন্য সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার হারুনুর রশিদকে প্রতি মাসে ১০হাজার টাকা উৎকোচ দেয় সন্ত্রাসী হাবিব সারোয়ার আজাদ। এছাড়া ওই পুলিশ সুপারের বাসার হাট-বাজারও করে দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
এব্যাপারে তাহিরপুর থানার ওসি নন্দন কান্তি ধর বলেন,গ্রেফতার হওয়া আসামী রাজু মিয়া স্বীকারোক্তি দিয়েছে সে নিজে এবং হাবিব সারোয়ার আজাদ ও আলম শেখ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পোষ্টার আগুনে পুরানোসহ মন্দিরের ২টি কালি মূতি তারা ভেঙ্গেছে। আমরা বাকি ২আসামীকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছি।’
উল্লেখ্য,এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী হাবিব সারোয়ার আজাদের বিরুদ্ধে থানায় ও আদালতে ৬টি চাঁদাবাজি মামলা ও ৮টি জিডি এন্টিসহ বিভিন্ন দফতরে একাধিক সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ রয়েছে।