এম এস ইসলাম, বিশেষ প্রতিনিধিঃ ব্রিটিশ আমলের জমিদারি প্রথা উঠে গেলেও ভুমি অফিসের তহশিলদাররা একেকজন জমিদার হয়ে বসে আছেন। জমির মালিকরা যেন অসহায় প্রজা। দেশের ভূমি অফিসগুলোতে দুর্নীতির দৌরাত্ম্য নতুন নয়। কোনো কোনো ক্ষেত্রে পরিস্থিতির উন্নতি হলেও ঘুষ বাণিজ্য দূর হয়নি।
নামজারি, দলিল তোলা, বিভিন্ন ধরনের ফরম নিতে ভূমি অফিসে ঘুষ দিতে হয়। আর এ হয়রানির ভয়ে বছরের পর বছর খাজনা দিতে ভুমি অফিস মুখো হন না অনেক জমির মালিক। থানায় যেতে রাজি হলেও ভুমি অফিসে সহজে কেউ যেতে চান না।
ভূমি কর্মকর্তা এবং বাইরের দালালদের সমন্বয়ে অফিসগুলোতে তৈরি হয়েছে শক্তিশালী সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেটের কাছে জিম্মি সাধারণ মানুষ। একটি ছোট কাজও ঘুষ ছাড়া করা যায় না। সিন্ডিকেটগুলো সংগঠিতভাবে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে অর্থ আদায় করে থাকে।
নরসিংদী শহর ভুমি অফিস, চিনিশপুর ভুমি অফিস, ম্যানচেষ্টার খ্যাত বাবুরহাটস্থ শীলমান্দী ভুমি অফিস, মাধবদী ভুমি অফিসে বদলী হতে হলে বদলী সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে ভুমিঅফিস গুলোর গুরুত্ব বেধে পাঁচলাখ থেকে দশলাখ টাকা উৎকোচ দিতে হয় এমন দাবি ভুক্তভোগী ভুমিকর্মকর্তার।
ভূমি অফিসে আসা অধিকাংশ ভুক্তভোগীর মুখে একই কথা, হয়রানি আর ভোগান্তি কী তা এখানে না এলে বোঝা যায় না। অফিস নিয়মে প্রত্যেক ধাপে ঘুষ দিয়েই ফাইল এসিল্যান্ডের টেবিল পর্যন্ত পৌঁছানো হয়। এতে সহযোগিতা করে অফিসের কর্মচারী-দালাল সিন্ডিকেট।
অবিলম্বে এসব জন হয়রানী বন্ধ করে দুর্নীতিবাজ তহশিলদারদের হাত থেকে জমির মালিকদেরকে রক্ষা করার দাবি সচেতন মহলের।
অগ্রদৃষ্টি.কম // এমএসআই