নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কালচক্রে বিশ্বনিখিলে অবশ্যম্ভাবী পরিবর্তন নিয়ে সৃষ্টি ও সংহারের কঠিন বাস্তবতায় আসে দুঃখ-বেদনা, আসে উৎসব আনন্দ, আসে চার হাজার বছরের পুরনো রীতিরেওয়াজ অনুসারে- নববর্ষের উৎসব। পুরাতন বৎসরের জীর্ণতা ও ক্লান্তির অবসান ঘটিয়ে আসে নতুন দিন। জীবনে নতুন এক অধ্যায়ের সূচনায়। বাংলা নববর্ষের এ দিনটিতে সবকিছু যেন আবার নতুন করে দেখা দেয়। আসে পহেলা বৈশাখ। বঙ্গাব্দের প্রথম দিন।
রঙে হোক রঙ্গিন, নতুন বছরের প্রতিদিন এই প্রতিপাদ্যে প্রতি বছরের মতো এবারো বাঙালীর প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখ পালন করেছে কুয়েতে বসবাসরত ১০৪টি প্রবাসী বাংলাদেশী পরিবার।
বাঙ্গালীর ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতি নবান্ন উৎসব ১৪২৫ বাংলাদেশের ন্যায় প্রবাসেও পালিত হচ্ছে। এবার কুয়েতে পহেলা বৈশাখ বাঙ্গালীর প্রাণের উৎসব বিভিন্ন সংগঠনের ব্যানারে ও বাংলাদেশী ফ্যামিলিদের সম্মিলিত প্রয়াসে পালিত হচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় কুয়েতে বসবাসরত ১০৪টি কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশীদের উপস্থিতিতে কুয়েতের জাহরা নামক এলাকায় বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে বাঙ্গালীর এই প্রাণের উৎসবটি উদযাপিত হয়েছে।
বাংলার হাজার বছরের এ সংস্কৃতি,কৃষ্টি চর্চায় ও আয়োজনে যেমন ব্যস্ত দেশ প্রেমিক বাংলাদেশীরা, ঠিক তেমনই এসব উৎসব, আয়োজনে প্রবাসী দেশ প্রেমিকদেরও ব্যস্ততার শেষ নেই।
বৈশাখী উৎসবে কুয়েতের জাহরা এলাকায় প্রবাসী ১০৪ পরিবারের মিলন মেলায় মরুর বুকে ফুটে উঠে এক খণ্ড লাল-সবুজের বাংলাদেশ।
বিশিষ্ট সংগঠক আতাউল গনি মামুনের পরিচালনায় এসময় উপস্থিত উল্লেখযোগ্য পরিবার গুলোর মধ্যে ছিল,মুখাই পরিবার, পাটুয়ারি পরিবার, ফারুক পরিবার, শিল্পী পরিবার, মনির পরিবার, সাগর পরিবার, কাজী মনির পরিবার, আতা পরিবার, তুর্কি পরিবার, রুবিনা পরিবার, লাজু পরিবার, নাজিম পরিবার, রমজান পরিবার, ডালিয়া পরিবার, রুপা পরিবার, আকবর পরিবার, আকরামুজ্জামান পরিবারসহ ১০৪টি কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশী পরিবার।
প্রবাসে যেকোনো আয়োজনে বাংলাদেশীদের সমাগম, উৎসব মানে এক টুকরো প্রস্ফুটিত বাংলাদেশ।
তেমনই কুয়েতের জাহরা নামক এলাকার মরু প্রান্তরে পহেলা বৈশাখের নানা আয়োজনে মুগ্ধ কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশীরা এবং উক্ত স্বদেশ সংস্কৃতির উৎসবস্থল-ও রূপ নিয়েছিল এক টুকরো বাংলাদেশে।
পান্তা ইলিশ আর হরেক রকমের বাহারি পিঠা নিয়ে স্বতস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন কুয়েতে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশী পরিবারের গৃহিণীরা।
মহিলা, শিশু ও বয়স্কদের অংশগ্রহণে ছিল বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন খেলাধুলা এবং পুরস্কার বিতরণী।
পহেলা বৈশাখের আয়োজক ও অংশগ্রহণ কারীরা বলেন, প্রবাস মানে ব্যস্ততা, হাজারো ব্যস্ততার মাঝেও আমরা চেষ্টা করি স্বদেশ কৃষ্টি বিদেশের মাটিতে শক্ত হাতে ধরে রাখতে।
এভাবেই বাঙ্গালীর প্রাণের উৎসব বছরের পর বছর প্রবাসে উদযাপন হোক, স্বদেশ কৃষ্টি বিদেশের মাটিতে চর্চা হোক এবং বিশ্বকে বাংলার সংস্কৃতি জানান দিতে বাঙ্গালীরা কাজ করুক, এটাই প্রত্যাশা করেন কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশীরা।