আ হ জুবেদ: প্রাচীনকাল থেকেই সুগন্ধি ব্যবহার করে আসছে মানুষ। পারফিউম বা সুগন্ধি অভিজাত মানুষের প্রথম পছন্দ হলেও সুগন্ধি ব্যবহারে আরব দেশের নাগরিকরা উপার্জিত আয়ের বড় একটি অংশ খরচ করেন, কাজেই সুগন্ধি ক্রয়-বিক্রয়ের ঐতিহ্যবাহী ও নির্ভরযোগ্য বাজার মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো।
পারস্য উপসাগরের উত্তর-পশ্চিম তীরে অবস্থিত প্রায় ৩০ লাখ নাগরিকদের একটি দেশ কুয়েত। এদেশে বাংলাদেশের উৎপাদিত সুগন্ধি আগর, বখর ও আতরের চাহিদা বেশ ভালো বলে জানান দেশটিতে এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত একজন তরুণ ব্যবসায়ী।
কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশি সুহেল আহমেদ কুয়েতের ফাহাহিল শহরে পারফিউম, বখর, আতরসহ নানা ধরনের সুগন্ধির ব্যবসা করেন।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, ফলে সুগন্ধি ক্রেতাদের চাহিদা সম্পর্কে বেশ ধারণা আছে এ প্রবাসী ব্যবসায়ীর।
সুহেল বলেন, “কুয়েতের আরবরা বখর, আতরসহ সুগন্ধি বিশেষ দিনে একটু বেশিই ব্যবহার করে থাকেন। কুয়েতে বিভিন্ন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত আছেন বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা, তবে বখর ব্যবসা করছেন ৫ থেকে ৬ ভাগ কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশি।”
আগর-বখর উৎপাদনকারী দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে তেমনভাবে উল্লেখ করার মতো না হলেও মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার সুজানগর ইউনিয়নে প্রচুর পরিমাণে আগর-বখর উৎপাদিত হচ্ছে।
যেহেতু এ আগর-বখরের প্রতি আরবদের চাহিদা বেশি, সে হিসেবে মৌলভীবাজারের উৎপাদিত আগর বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বৈধপথে রপ্তানির বিষয়টির কথা জানালেন সুহেল।
তিনি বলেন, “সুগন্ধি পাইকারি বিক্রেতা মাত্র ২ থেকে ৩টি কোম্পানি বৈধপথে বখর আমদানি করছে, তবে এক্ষেত্রে যদি সরকার নিজস্ব উদ্যোগে বখর-আতর মধ্যপ্রাচ্যে রপ্তানি করতে পারতো, তাহলে বাংলাদেশের রাজস্ব ভাণ্ডার আরো সমৃদ্ধ হতো।”
সুহেল আরও বলেন, “আমরা বখর ব্যবসায়ীরা চাই স্বাবলম্বী হতে, ঠিক তেমনি চাই আমাদের প্রিয় মাতৃভূমিও এগিয়ে যাক। এজন্য বৈধপথে বখর রপ্তানি করলে একটু হলেও দেশের অর্থনৈতিক উন্নতির অগ্রযাত্রা বেগবান হবে।”