অবৈধ অভিবাসীদের জন্য সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা দেয়ার পর, যেসব অবৈধ অভিবাসী কুয়েতে রয়েছেন; তাদের কাছ থেকে প্রত্যাশিত সাড়া পেয়ে নিজ সন্তুষ্টির কথা প্রকাশ করেছেন, কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আনাস আল-সালেহ।
কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আনাস আল-সালেহ এর টুইটারে দেয়া এক স্ট্যাটাসের বরাত দিয়ে স্থানীয় ইংরেজি দৈনিক আরব টাইমস এ খবর জানায়।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বলেন, অবৈধ অভিবাসীদের কুয়েত ত্যাগের প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য তাদের দূতাবাস গুলো যথাযথ সহযোগিতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।
এজন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আনাস আল-সালেহ তার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে দূতাবাস গুলোকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
অবৈধ অভিবাসীদের কুয়েত সরকার সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার তৃতীয় দিন আজ।
পহেলা এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত অবৈধ অভিবাসীদের কুয়েত ত্যাগের জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করেছে কুয়েত সরকার।
দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, অবৈধ অভিবাসীরা জরিমানা ছাড়াই কুয়েত ত্যাগ করতে পারবেন, পাশাপাশি কুয়েত সরকারের খরচে আকামা ছাড়া প্রবাসীদের তাদের স্ব স্ব দেশে পাঠানো হবে।
এছাড়াও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, পহেলা এপ্রিল থেকে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন দেশের অবৈধ অভিবাসীদের সাধারণ ক্ষমার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।
অন্যদিকে, এ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে অবৈধ অভিবাসী বাংলাদেশীদের জন্য ১৬ই এপ্রিল থেকে ২০শে এপ্রিল সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
কুয়েত সরকারের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কুয়েত ত্যাগ করতে অবৈধদের আহ্বান জানান,কুয়েতের বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলর ও দূতালয় প্রধান মোহাম্মদ আনিসুজ্জামান।
দূতাবাসের জ্যেষ্ঠ এ কর্মকর্তা বলেন, অবৈধদের জন্য একটি ভালো সুযোগ দিয়েছে কুয়েত সরকার।
সাধারণ ক্ষমার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে অবৈধ অভিবাসীরা কুয়েত ত্যাগ করলে, ফের নতুন ভিসা নিয়ে কুয়েতে প্রবেশ করতে পারবেন, বলেও জানান তিনি।
এছাড়াও অবৈধদের অবগতির জন্য কুয়েত দূতাবাসের পক্ষ থেকে একটি ”জরুরী বিজ্ঞপ্তি” দূতাবাসের ফেসবুক পেইজে পোস্ট করা হয়।
এদিকে কুয়েতে বৈধ হয়ে প্রবেশ করা প্রবাসীরা অবৈধ হওয়ার কারণ তার সরকার খতিয়ে দেখছে উল্লেখ করে, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আনাস আল-সালেহ বলেন, যেসব কোম্পানি বা ব্যক্তি ভিসা ব্যবসার সাথে সংশ্লিষ্ট, তাদের নামের তালিকা তৈরি করতে এরই মধ্যে তার মন্ত্রণালয় কাজ শুরু করে দিয়েছে।
আ হ জুবেদ
সম্পাদক, অগ্রদৃষ্টি