মৌলভীবাজার প্রতিনিধিঃ পাওনা টাকা পরিশোধ না করে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত সদস্যকে মিথ্যা অপপ্রচার করে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে এক ঠিকাদারের বিরুদ্ধে।
আওয়ামীলীগে’র সদস্য না হলেও নিজেকে নেতা পরিচয় দিয়ে এলাকায় চাঁদাবাজি,জোর জবরদস্তিসহ নিজের প্রভাব বিস্তার করে জনপ্রতিনিধিসহ সাধারণ মানুষকে হয়রানি করছে আমিন উদ্দিন নামের এই ব্যাক্তি।
এলাকাবাসী ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, আমিন উদ্দিন নিজেকে আওয়ামীলীগের নেতা দাবি করে প্রভাব খাটিয়ে মাটি কাটার ভারী ক্রেন দিয়ে মাটি কেটে অবৈধ ভাবে বিক্রি করায় এলাকাবাসী ও খছরু মেম্বার বাধা দেয়ায় বিভিন্নভাবে সে হয়রানি ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করে আসছে।
ভুকশিমইল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আজিজুর রহমান মনির বলেন,৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য খছরুজজামানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।সে সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পরে মাত্র একটি কাজ পেয়েছে এবং সুষ্ঠু ভাবে রাস্তার কাজ সম্পন্ন করেছে। মুলতঃ তাদের টাকা- পয়সার লেনদেন নিয়ে বিরোধ। এজন্য মিথ্যা অভিযোগ ও অপপ্রচারে লিপ্ত হয়েছে।
সংরক্ষিত মহিলা সদস্য নেহার আক্তার মালা বলেন, শুনেছি পাওনা টাকা না দিতে মিথ্যা অভিযোগ তোলা হচ্ছে। যেসব আত্মসাৎ অভিযোগ করা হচ্ছে এগুলোর বরাদ্দ হয়েছে আমি জানিনা।
এব্যাপারে এলাকাবাসী আবু জাফর সাইদুল ও নাজমুল ইসলাম জানান,মেম্বার যখন আমিনকে টাকা দেয় আমরা উপস্থিত ছিলাম। এবং সে টাকা পরিশোধ করবে বলে আমিন অনেক তারিখ করেও পরিশোধ করেনি।
এব্যাপারে এলাকাবাসী সবাই জানেন, কিন্তু পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ দেখে আমরা অবাক হয়েছি,অন্য ওয়ার্ডের অধিভুক্ত এলাকা ৫ নং ওয়ার্ডে স্থিত বলে সংবাদে বরাদ্দসহ মিথ্যা তথ্য প্রমাণ করে প্রভাবিত হয়ে এসব সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে।
এব্যাপারে ইউপি সদস্য খছরুজ্জামান খছরু বলেন আমাকে জড়িয়ে গত ১৯ আগস্ট ২০২২ দৈনিক যুগান্তরে ও কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে ‘কুলাউড়ার দুই প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ’ এই শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। যা আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এই সংবাদে দাবি করা হয় কাবিটা প্রকল্পের টাকা আমি আত্মসাৎ করেছি অথচ এই প্রকল্প আমার ওয়ার্ডে বরাদ্দ পায়নি । দারুলউলুম মাদ্রাসা সংলগ্ন রাস্তার বরাদ্দ আত্মসাৎ অভিযোগ সংবাদে উপস্থাপন হলেও এই এলাকা ৫ নং ওয়ার্ডভুক্ত নয়।সংবাদে বটেরতল ব্রিজের দুই পাড়ে মাটি ভরাট না করে টাকা আত্মসাৎ অভিযোগ তোলা হয়েছে,অতএব ব্রিজের দুপাশে মাটির ভরাটের জন্য বরাদ্দ হয়েছে আমার জানা নেই। মনগড়া ভুয়া তথ্য দিয়ে দৈনিক যুগান্তরের মতো দায়িত্বশীল গণমাধ্যমকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে অপব্যবহার করা হয়েছে। উন্নয়ন ও বরাদ্দ সংক্রান্ত সংবাদে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার বক্তব্য এবং বক্তব্য না নেয়ায় প্রমাণ করে কার ও দ্বারা প্রভাবিত হয়ে মিথ্যা সংবাদ উপস্থাপন করা হয়েছে। আমিন উদ্দিনের কাছে আমার ৬লাখ টাকা পাওনা রয়েছে। এলাকার মুরব্বিগন ও আমার সাক্ষীগন অবগত আছেন।
ভূকশিমইল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক আহবায়ক ডা. মুহিবুল হোসেন বাবুল জানান, আমিন উদ্দিনের নিকট ইউপি সদস্য খছরুজ্জামান খছরু দীর্ঘদিন যাবত পাওনা টাকা দাবি করে আসছে। এবিষয়ে আমি শালিসি বৈঠক আহবান করি।কিন্তু আমিন উদ্দিন আসবে বলে বৈঠক কালে উপস্থিত হয়নি। পত্র পত্রিকায় যেসব আত্মসাৎ অভিযোগ করা হয়েছে তা পড়ে এলাকাবাসী হিসেবে শুধু হতবাক হইনি দুঃখও পেয়েছি।
কুলাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহামুদুর রহমান খন্দকার বলেন, যুগান্তর,অনলাইন মিডিয়া ও ফেসবুকে ভুকশিমইল ইউনিয়নের ৫ নং ওয়র্ডের সদস্য খছরুজ্জামানকে জড়িয়ে প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ সংবাদ আমিও দেখেছি। এরকম কোনও অভিযোগ আমার জানা নেই।এছাড়া এ বিষয়ে লিখিত কোন অভিযোগ কেউ করেনি।