ডেস্ক রিপোর্টঃ কুয়েতে বসবাসকারী বিপুল সংখ্যক প্রবাসীর জন্য সিভিল আইডি হাতে পাওয়া এখন এক দীর্ঘ অপেক্ষার নাম। রেসিডেন্সি নবায়ন সম্পন্ন হওয়ার পরও অনেকের কার্ড এখনও ‘প্রক্রিয়াকরণের অধীনে’ রয়ে গেছে, যা প্রবাসীদের মধ্যে বড় ধরনের উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বর্তমানে সিভিল আইডি হাতে পেতে ৩০ দিন বা তার বেশি সময় লাগছে বলে কমিউনিটির সদস্যরা বলছেন।
পাবলিক অথরিটি ফর সিভিল ইনফরমেশন (PACI) এই দীর্ঘসূত্রিতা নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেয়নি। তবে বিভিন্ন সূত্র ও প্রবাসীদের অভিযোগ থেকে জানা যায়, মূলত তিনটি কারণে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে।
রেসিডেন্সি নবায়নের পর কার্ড প্রিন্টিং ও চূড়ান্ত যাচাই প্রক্রিয়ায় একটি বড় ধরনের ব্যাকলগ বা জট তৈরি হয়েছে। এর ফলে কার্ডের স্ট্যাটাস পরিবর্তন হতে এবং তা হাতে আসতে অস্বাভাবিক দেরি হচ্ছে।
কুয়েত সরকার ডিজিটাল ‘মাই আইডি’ অ্যাপের ওপর নির্ভরতা বাড়ালেও, কিছু প্রতিষ্ঠান এখনও হার্ডকপি সিভিল আইডি কার্ডের ওপর জোর দিচ্ছে। বিশেষত, কিছু বিদেশি দূতাবাস ভিসার আবেদনের সময় এবং বেসরকারি স্কুলগুলি শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে মূল সিভিল আইডি দেখতে চাইছে।
যারা প্রথমবার কুয়েতে রেসিডেন্সি পেয়েছেন, তারা কার্ডের সিরিয়াল নম্বর ছাড়া মোবাইল আইডি অ্যাপটি ডাউনলোড বা সক্রিয় করতে পারছেন না। ফলে হার্ডকপি সিভিল আইডি কার্ড না পাওয়া পর্যন্ত তাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ আটকে যাচ্ছে।
বিলম্বের বিষয়ে PACI-এর পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক কারণ বা সমাধানের ঘোষণা না আসায় প্রবাসীরা আরও বেশি হতাশ। এই পরিস্থিতিতে, অনেকেই অস্থায়ীভাবে পরিচয় নিশ্চিত করতে Mobile ID অ্যাপের উপর নির্ভর করছেন, কিন্তু যেখানে হার্ডকপি সিভিল আইডি কার্ড প্রয়োজন, সেখানে তারা অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। প্রবাসীরা আশা করছেন, কর্তৃপক্ষ দ্রুত এই সমস্যা সমাধানে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে।











