আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সানজোয়ান সেনা ক্যাম্পে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় পাঁচ সৈন্যসহ অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন। এটিকে ২০১৬ সালের উড়ি সেনাঘাঁটিতে হামলার পর সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসবাদী ঘটনা বলা হচ্ছে।
শনিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ভোরে কয়েকজন বন্দুকধারী ওই ক্যাম্পে ঢুকে নির্বিচারে গুলি ছোড়ে এ হত্যাকাণ্ড চালায়। প্রাথমিকভাবে এতে এক জুনিয়র কর্মকর্তা নিহত হওয়ার খবর মিললেও রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, অন্তত পাঁচ সেনা কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। প্রাণ গেছে এক বেসামরিক নাগরিকেরও। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও নয়জন।
ভারতীয় সেনাবাহিনীর সূত্রে বলা হচ্ছে, হামলাকারী জয়শ-ই-মোহাম্মদের চার সদস্যও নিহত হয়েছে। তবে সেনা ক্যাম্পের ভেতরে আরও দু-তিনজন সন্ত্রাসী লুকিয়ে থাকতে পারে। তাদের ধরার জন্য এখনও অভিযানে রয়েছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী।
সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, হামলার খবর পেয়ে সকালে ঘটনাস্থলে ছুটে গেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল বিপিন রাওয়াত। কাশ্মীরের ওই ক্যাম্প সংলগ্ন স্কুলসহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
কাশ্মীরের পুলিশ কর্মকর্তা এসডি সিং জামওয়াল সংবাদমাধ্যমকে জানান, ভোর ৪টা ৫৫ মিনিটে ক্যাম্পে সন্দেহভাজন কয়েকজনের গতিবিধি নজরে পড়ে। কিছুক্ষণের মধ্যেই একটি সেন্ট্রি বাংকার লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে হামলাকারীরা।
সানজোয়ান সেনা ক্যাম্পটি কাশ্মীরের একেবারে প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত। এর আশেপাশে অনেক আবাসিক স্থাপনা ও স্কুল রয়েছে। অভিযান চলতে থাকায় ক্যাম্পের ৫০০ মিটার পর্যন্ত এলাকার সব স্কুল-কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।
২০১৬ সালে উড়ি সেনাঘাঁটিতে হামলায় অন্তত ১৯ সৈন্য নিহত হয়। এই হামলার জন্য পাকিস্তান থেকে আসা সন্ত্রাসীদের দায়ী করে ভারত। এর জেরে পাকিস্তান ভূ-খণ্ডে গিয়ে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক (নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে হামলা) চালায় ভারতীয় কমান্ডোরা। তারপর দু’দেশের সীমান্তেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়।