ডাক্তার ফারহানা মোবিন(স্কয়ার হাসপাতাল ঢাকা, বাংলাদেশ):
কখনো বা মেঘ-বৃষ্টির পালা। এভাবে গরম-ঠান্ডাতে অনেকের জ্বর
হচ্ছে, ঘাম জমে হচ্ছে কাশি, টনসিলে ইনফেকশন, গলা ব্যথা। এ
অবস্থা থেকে পরিত্রাণের জন্য কমলালেবু হতে পারে উপকারী বন্ধু।
এতে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভিটামিন ‘সি’। যেকোনো বয়সের
মানুষের জন্য ভিটামিন ‘সি’ প্রতিদিন প্রয়োজন হয়। এই ভিটামিন
পানিতে দ্রবণীয়। দেহে জমা হয়ে থাকে না। তাই এর প্রয়োজন
মেটাতে প্রতিদিন ভিটামিন ‘সি’জাতীয় খাবার বা ফল খাওয়া উচিত।
ভিটামিন ‘সি’ ইনফেকশনজনিত সমস্যা, ঘা, ভাইরাস জ্বর, মাম্পস
(একধরনের অসুখ), জলবসন্ত, ত্বকের কাটা-ছেঁড়ার বিরূদ্ধে অবদান
রাখে। ত্বক, চুল, নখকে করে উজ্জ্বল ও রোগমুক্ত। লেবুর রস চিনির
সঙ্গে খাওয়াতে পারেন। এতে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে।
যাদের ক্রনিক টনসিলাইটিস হয় বেশি অর্থাৎ যাদের বারবার ও খুব
দ্রূত টনসিল ফুলে যায়, ব্যথা হয় তাদের জন্য জরূরি পথ্য
কমলালেবু। হূদেরাগের রোগী, উ‛চরক্তচাপ, ডায়াবেটিসের রোগীরাও
খেতে পারবেন এই ফল। তবে হালকা টক হওয়াই ভালো। বেশি
মিষ্টি হলে পরিহার করূন।
গর্ভাবস্থা থেকে মাতৃদুগ্ধ দান পর্যন্ত এই ফল ভীষণ উপকারী। তবে
গর্ভাবস্থায় যেসব মায়ের গ্যাসট্রিকের সমস্যা হয় বেশি তারা নিজেদের
হজমক্ষমতা বুঝে পরিহার করূন। কিন্তু দেহে (মা ও শিশু) ভিটামিন
‘সি’র ঘাটতি পূরণের জন্য বাতাবি লেবু, পাকা কলা, মিষ্টিকুমড়া ও
সব রকম হলুদ রঙের সবজি খাবেন। কমলালেবুতে আরও রয়েছে
দেহের জন্য জরূরি ভিটামিন ও পুষ্টি। সব বয়সের জন্য এ ফল
উপযোগী। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে তাই কমলালেবু যাঁরা কিনতে
পারবেন না তাঁরা ভাতের সঙ্গে খান এক টুকরা কাগজি লেবু। এই
লেবুও যথেষ্ট পুষ্টিকর।