চট্টগ্রাম প্রতিনিধিঃ পারিবারিক কবরস্থানকে এলাকাবাসীর দেখিয়ে উন্নয়নের জন্য আনা সরকারি বরাদ্দ আত্মসাতের মামলায় লোহাগাড়া উপজেলার সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা ওমর ফারুককে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সরকারি বরাদ্দের এক লক্ষ ৭০ হাজার ৬৭২ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০১৫ সালের ১৯ আগস্ট ওমর ফারুকসহ চারজনের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেছিল দুদক।
শুক্রবার (০৪ নভেম্বর) রাতে নগরীর ষোলশহর ফরেস্ট গেইট এলাকা থেকে ওমর ফারুককে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে বাংলানিউজকে জানিয়েছেন দুদকের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহকারি পরিচালক এইচ এম আখতারুজ্জামান।
গ্রেফতার হওয়া ওমর ফারুক লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এবং চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী কমিটির সদস্য।
ওমর ফারুককে শনিবার আদালতে হাজির করা হবে বলে জানিয়েছেন আখতারুজ্জামান।
দুদকের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-সহকারি পরিচালক খন্দকার আখেরুজ্জামান বাদি হয়ে মামলা তিনটি দায়ের করেছিলেন। মামলা নম্বর ৩০(৮)১৫, ৩১(৮)১৫ ইং এবং ৩২(৮)১৫ ইং নম্বর।
ওমর ফারুক ছাড়া মামলার বাকি তিন আসামি হলেন, এলজিইডির লোহাগাড়া উপজেলার উপসহকারী প্রকৌশলী আবু তৈয়ব, পদুয়া ইউপির সাবেক সদস্য আয়ুব আলী এবং স্থানীয় গণ্যমান্য হিসেবে প্রকল্পের সভাপতি নুরুল কবির।
দুদক সূত্রে জানা গেছে, ২০১০-২০১১ অর্থবছরে পদুয়া ভিটি কবরস্থানের সীমানা প্রাচীর নির্মাণের জন্য ২২ হাজার ২৯৭ টাকা ও অভ্যন্তরীণ চলাচলের পথ তৈরির জন্য ৯৮ হাজার ৩৭৫ টাকা এবং পদুয়া মালিপাড়া কবরস্থানের সীমানাপ্রাচীর নির্মাণের জন্য ৫০ হাজার টাকার তিনটি বরাদ্দ আসে। কিন্তু চেয়ারম্যান ওমর ফারুক তার সহযোগীদের নিয়ে সেই টাকা আত্মসাৎ করেন বলে দুদক তদন্তে তথ্য পেয়ে মামলা দায়ের করে।