চলতি বছর কঙ্গোতে ১৮ হাজারের বেশি সন্দেহভাজন এমপক্স সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে এবং ৬২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
এমপক্সের টিকা নিশ্চিত করতে জরুরি দরপত্র ইস্যু করেছে জাতিসংঘ শিশু তহবিল (ইউনিসেফ) ।
গ্যাভি ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স, আফ্রিকা সিডিসি ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সহযোগিতায় সংকটে পড়া দেশগুলোকে সহায়তার জন্য এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে শনিবার এক যৌথ বিবৃতিতে জানিয়েছে সংস্থাটি।
বিবৃতিতে বলা হয়, দরপত্রের আওতায় ইউনিসেফ টিকা প্রস্তুতকারকদের সঙ্গে শর্তসাপেক্ষে সরবরাহ চুক্তি করবে।
অর্থায়ন, চাহিদা, প্রস্তুতি ও নিয়ন্ত্রণের প্রাসঙ্গিক সব শর্তগুলো মানা নিশ্চিত হলেই ইউনিসেফ সময় মত টিকা ক্রয় ও সরবরাহ করতে সক্ষম হবে।
রয়টার্স জানায়, বিবৃতি অনুযায়ী নির্মাতাদের উৎপাদন সক্ষমতার ওপর নির্ভর করে ২০২৫ সালের মধ্যে এক কোটি ২০ লাখ ডোজ টিকা তৈরি করার চুক্তি হতে পারে।
ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স এবং প্যান আমেরিকান হেলথ অর্গানাইজেশনের পাশাপাশি গ্যাভি, আফ্রিকা সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন এবং ডব্লিউএইচওর সহযোগিতার ফলে উচ্চ আয়ের দেশগুলোতে বিদ্যমান মজুদ থেকে ভ্যাকসিন দান সহজতর হবে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ডব্লিউএইচও ভ্যাকসিন নির্মাতাদের ২৩ অগাস্ট তারিখে জমা দেওয়া তথ্য পর্যালোচনা করছে এবং সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি নাগাদ জরুরি ব্যবহারের তালিকা সম্পন্ন করা হবে বলে আশা করছে।
সংস্থাটি বাভারিয়ান নর্ডিক এবং জাপানের কেএম বায়োলজিক্সের তৈরি দুটি ভ্যাকসিনের উৎপাদনের অনুমতির আবেদন পর্যালোচনা করছে।
এর আগে গত অগাস্টে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে এমপক্স সংক্রমণের প্রাদুর্ভাব প্রতিবেশী দেশগুলোতে ছড়িয়ে পড়ার পর এমপক্সকে বৈশ্বিক জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে ডব্লিউএইচও।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক তেদ্রোস আধানম গেব্রেইয়েসুস জানিয়েছেন, চলতি বছর এখন পর্যন্ত
কঙ্গোতে ১৮ হাজারের বেশি সন্দেহভাজন এমপক্সের ঘটনা ঘটেছে এবং ৬২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।
গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো ও প্রতিবেশী দেশগুলির বাইরে সুইডেন এবং থাইল্যান্ড ক্লেইড আইবি ধরণের ভাইরাসের সংক্রমণ নিশ্চিত করেছে।