বদরুল আলম চৌধুরী(বিশেষ প্রতিনিধি) ” মধু হই হই মোরে বিষ খাওয়াইলা ” শিরনামের চট্রগ্রামের আঞ্চলিক ভাষার জনপ্রিয় ফোক গানেই পাল্টে দিল শিশু জাহিদের জীবন। হতদ্ররিদ পরিবারের ছেলে শিশু জাহিদ জীবন বাঁচানোর তাগিদে ভিক্ষা না করে বেছেনেয় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত গুরতে আশা ভ্রমন পিপাসু মানুষদের। টানা সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গুরে বেরায় সমুদ্র সৈকতে। কারো বডি মেসেজ করে ও কারো কে গান শুনায় যা পায় তাইদিয়ে চলে জাহিদের পরিবার। হটাৎ দেখা ঢাকার জনপ্রিয় গীটারিষ্ট ইমরান হোসাইনের সাথে তার হাত গীটার দেখেই বলে ওটে মামা গান শুনবেন। ইমরান বলল কি বলিস তুই গান গাইতে পারিস বলল হ্যা মামা। আমি কি এটা দেখতে পারি নে দেখ গীটার হাতে নিয়ে খুশি হয়ে গুন গুন করে গান গাচ্ছে ইমরান অবাক হযে বলল এটা আমার কাছে দে আমি বাজাই তুই গান গা। গানের সাথে তালদিয়ে গীটার বাজিয়েছেন জমে উঠল গান। তিনি গানটির ৩ মিনিটের একটি ভিডিও ধারণ করে ইউটেব ও ফেইসবুকে আপলোড করেন। তার পর থেকে গানটি ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। মাত্র ১ মাসে মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তার তুরঙ্গে উটে আসে ভিডিওটি সাড়া জাগে যোগাযোগের মাধ্যম গুলোতে। এই ভিডিওটি নিয়ে কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম ফিচার পর্যন্ত করেছে। ব্যাপক লাইক কমেন্ট ও শিয়ার হতে থাকে বিভিন্ন পেইজে। এসব দেখে হতবাক হয়ে যান ভিডিও ধারণ কারী গীটারিষ্ট ইমরান। ঘটনার শেষ এখানে নয় ছুটে যাই ইমরান সেই ক্ষুদে প্রতিভাকে খুজে বের করার জন্য। সেখানে গিয়ে দেখতে পান রিতিমত সবাই তাকে ইমরানের জাহিদ বলে সম্মধোন করছে। জাহিদ ইমরানকে দেখেই আনন্দে আত্নহারা তাকে বলে মামা আপনার জন্য আজ আমি স্কুলে যাই এবং একটা চাকরি পাইছি। ইমরান বলেন আমি তরেই খুজতেছি। এটাই ইমরানের জন্য একটি স্মরনীয় ঘটনা। এভাবেই মাত্র ৯ বছরের শিশু জাহিদের জীবনকে পাল্টে দিল। তার সাথে সাথে কক্সবাজারের নামকরা ৩ স্টার হোটেল সায়মনের বাউল সন্ধ্যার নিয়মিত গায়ক। এবং হোটেল কর্তপক্ষ জাহিদকে স্কুলে ভর্তি করে দেন এবং তার সমস্ত খরচ বহন করেন। এবং তাকে গান শিখার জন্য ব্যবস্তা করে দেয় হোটেল সায়মন। সেই সাথে ইমরান তাকে ঢাকায় নিয়ে এসে গান রেকড করিয়েছেন। গীটারিষ্ট ইমরান এখন সপ্ন দেখছেন তার এই ক্ষুদে প্রতিভাকে নিয়ে একটি এলবাম করার আশা ব্যাক্ত করেন।