অগ্রদৃষ্টি ডেস্ক: ইরান এবছর হজ করতে তাদের কোন নাগরিককে পাঠাবে না জানানোর পর সৌদি আরব বলছে, হজের সময় বিক্ষোভ করার অধিকারসহ কিছু বিশেষ সুবিধা চেয়েছিল ইরান, যা গ্রহণযোগ্য মনে করেনি দেশটি।
আর সেসব না দেয়াতেই ইরান ঐ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বিবিসির একজন সংবাদদাতা বলছেন, সেক্ষেত্রে তিন দশকের মধ্যে এবারই প্রথম হজ বয়কট করতে যাচ্ছে ইরান।
সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রী আবদেল আল যুবায়ের বলেছেন, এবছর হজ বিষয়ক চুক্তিতে সই করার সময় ইরানিরা কিছু বাড়তি সুবিধা চাইছিল, যার মধ্যে রয়েছে হজের সময় কিছু বিক্ষোভ অনুষ্ঠান করার অনুমতি।
কিন্তু সে অনুমতি দিলে তা হজের সময় বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে পারে, এই যুক্তি মানা করা হয়েছে। সেজন্যই ইরান বলছে এবার হজ করতে তারা তাদের নাগরিকদের পাঠাবে না।
এছাড়া ঐ অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন ও পৃষ্ঠপোষকতা করার জন্য ইরানকে দায়ী করেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সাম্প্রতিক সময়ে নানা ঘটনায় দুদেশের সম্পর্কে অবনতি ঘটেছে।
এর আগে গত বছরও হজ পালনের সময় বহু মানুষের মৃত্যুর ঘটনাতে শত শত ইরানিও মারা গিয়েছিল, কিন্তু সে ঘটনায় সৌদি কর্তৃপক্ষের অবহেলাকে দায়ী করে তীব্র সমালোচনা করেছিলো ইরান।
এরপর, গত জানুয়ারিতে সৌদি আরবে এক শিয়া নেতাকে ফাঁসি দেওয়ার প্রতিক্রিয়ায় তেহরানে সৌদি দূতাবাসে আগুন দেয়ার ঘটনার পর থেকে দুইদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন রয়েছে।