টিআইবির আর্থিক বিষয়ের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয়ের প্রশ্ন তোলার প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে এক সাংবাদিক প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে একথা বলেন তিনি।
পানামা পেপার্স কেলেঙ্কারিতে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল চিলির প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি দুর্নীতিবিরোধী সংগঠনটির বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের কর্মকর্তাদের সম্পদের বিবরণ প্রকাশের দাবি তোলেন জয়।
তিনি ফেইসবুকে লেখেন- “আমরা কী করে জানি যে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের সদস্যরা দুর্নীতিগ্রস্ত নয়, তাদের কোনো লুকানো সম্পদ নেই এবং তারা তাদের সব ট্যাক্স পরিশোধ করেছে?”
প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টার প্রশ্ন তোলাকে স্বাগত জানিয়ে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “সম্পদের হিসাব নিয়ে প্রশ্ন ওঠাটা আমাদের জন্য ভালো। এটাও স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার লক্ষণ।
“বিদেশে থেকে টিআইবির যে অর্থ আসে তা সরকারের অনুমোদন ছাড়া উত্তোলন করা যায় না। আমাদের কাছে কত টাকা আসে, তা সরকার ভালো করেই জানে। এখনও কয়েকটি প্রকল্পের জন্য আসা অর্থ উত্তোলনের আবেদন সরকারের কাছে আছে।”
“আর আমাদের ওয়েবসাইটে ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য এবং উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব দেওয়া আছে। যে কেউ ওয়েবসাইট থেকে এ হিসাব দেখে নিতে পারেন,” বলেন তিনি।
ধানমণ্ডিতে টিআইবির নিজস্ব কার্যালয়ে পোশাক শিল্পখাত নিয়ে এক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে একথা বলেন ইফতেখারুজ্জামান।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রানা প্লাজার ধসের পর বিভিন্ন অংশীজনের নেওয়া ১০২টি উদ্যোগের মধ্যে ৭৭ শতাংশ বাস্তবায়ন ও সন্তোষজনক অগ্রগতি আছে। বাকি ২৩ শতাংশ উদ্যোগ ধীরগতিতে এগোচ্ছে বা স্থবির হয়ে আছে।