অপূর্ব লাল সরকার, আগৈলঝাড়া (বরিশাল) থেকে : বরিশালের আগৈলঝাড়া এনজিও পরিচালিত একটি ক্লিনিকে চিকিৎসকের পরিবর্তে আনাড়ী নার্সের অপচিকিৎসায় এক নবজাতক পুত্র সন্তানের মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অপচিকিৎসার শিকার হওয়া উপজেলার রাংতা গ্রামের আজিজুল আকন জানান, প্রসব বেদনা নিয়ে তার স্ত্রী এক কন্যাসন্তানের মা শাহিনুর বেগমকে উপজেলার রাজিহার গ্রামের আলোশিখা এনজিও পরিচালিত মারিয়া মাদার চাইল্ড কেয়ার ক্লিনিকে বৃহস্পতিবার বিকেলে ভর্তি করান। সেখানে একজন প্রশিক্ষিত চিকিৎসক থাকলেও ক্লিনিকের আনাড়ী নার্স গীতা রানী চিকিৎসকের কোন পরামর্শ ছাড়াই নিজে ডেলিভারীর দায়িত্ব নেন। হতভাগী শাহিনুর আক্তার অভিযোগে জানান, অযোগ্য অদক্ষ নার্স গীতা রানীর কারণেই ডেলিভারীর সময় তার নবজাতক পুত্র সন্তানটি মেরে ফেলেন। এ ঘটনায় ক্লিনিকে হৈচৈ শুরু হলে ক্লিনিকের পরিচালক বেনজামিন হালদার বিপুল ওই দম্পত্তিকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে মৃত নবজাতককে তাদের হাতে দিয়ে ক্লিনিক ত্যাগে বাধ্য করেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, ক্লিনিকের অপচিকিৎসায় কয়েক বছর যাবৎ বহু রোগী মারা গেলেও তাদের টাকার কাছে প্রশাসনও ম্যানেজ হয়ে যায়। ওই দম্পত্তির অভিযোগ, তারা অসহায় ও গরীব হওয়ায় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে আইনগত কোন ব্যবস্থা নিতে পারছেন না। এ ব্যাপারে হতভাগ্য দম্পত্তি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উর্ধতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি কামণা করেছেন।
এব্যাপারে ওই এনজিও পরিচালক জেমস মৃদুল হালদার বলেন, এরকম কোন বিষয় তাকে কেউ জানায়নি। সাংবাদিকদের মাধ্যমে তিনি বিষয়টি শুনেছেন। পরে নার্স গীতা রানীকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে গীতার বরাত দিয়ে তিনি জানান, রোগী ভর্তির সময় বাচ্চার অবস্থা খারাপ থাকায় তাকে সিজারিয়ান অপারেশন করতে বলা হয়েছিল। তারা তা না করিয়ে নরমাল ডেলিভারী করানোর জন্য নবজাতকটি মৃত অবস্থায় প্রসব করে। পরে তারা তাদের ভাগ্য মেনে নিয়ে ক্লিনিক ত্যাগ করেন। গীতার নার্সিং এর উপর প্রশিক্ষন রয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।