অস্ট্রেলিয়া ফুটবল দল বাংলাদেশে আসার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে, তবে বলেছে যে তারা খুব অল্প সময় বাংলাদেশে অবস্থান করতে চায়।
আগামী ১৭ই নভেম্বর ঢাকার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে বিশ্বকাপরে বাছাই পর্বের এই ম্যাচটি হওয়ার কথা রয়েছে।
ফুটবল ফেডারেশন অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী ডেভিড গ্যালপ সকারুদের বাংলাদেশ সফরের ঘোষণা দিয়ে বেশ কিছু সতর্কতামূলক পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, শুরু থেকেই তাদের এক নম্বর অগ্রাধিকার ছিল খেলোয়াড় ও স্টাফদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
আর সে কারণে গত এক মাস ধরে বিস্তারিতভাবে গোয়েন্দা ও ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম চালানো হয়েছে।
অস্ট্রেলিয়া ফুটবল কর্তৃপক্ষের নেয়া ব্যবস্থার মধ্যে রয়েছে খুব অল্প সময় বাংলাদেশে অবস্থান করা।
মি. গ্যালপ বলেন, ফুটবল দলের খেলোয়াড়রা সিডনি থেকে যাত্রা শুরু করে শনিবার রাতে সিঙ্গাপুরে পৌঁছুবে। এরপর তাঁরা সেখানেই অনুশীলন করবে। দলটি ঢাকায় পৌঁছুবে সোমবার রাতে এবং মঙ্গলবার ম্যাচটি খেলেই ঐদিন রাতে বাংলাদেশ ছাড়বে।
নিরাপত্তা ঝুঁকির কথা বলে শুরুতে অস্ট্রেলিয়া ফুটবল দল বাংলাদেশ সফর করতে চায়নি।
তবে মি. গ্যালপের কথা হলো, তিনটি পয়েন্ট খুব গুরুত্বপূর্ণ।
সমর্থকদের উদ্দেশ্যে ফুটবল ফেডারেশন অস্ট্রেলিয়ার প্রধান বলেন, ঢাকায় থাকার সময়ে তাঁরা যেন অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করেন এবং কিছু নির্দিষ্ট এলাকায় না যান।
যেকোনো নিরাপত্তা ঝুঁকির ক্ষেত্রে সমন্বিত পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
এর আগে টেস্ট সিরিজ খেলতে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফরের কথা থাকলেও গত মাসের শুরুতে ঐ সফর বাতিল করা হয়।
নিরাপত্তা ঝুঁকির বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য থাকার কথা জানিয়ে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া অবশ্য প্রথমে সফর স্থগিত করেছিল।
ফুটবল দলের সফর নিশ্চিত করার আগে অস্ট্রেলিয়ার নিরাপত্তা কর্মকর্তারা ঢাকা সফর করেন এবং বৈঠক করেন বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থার সঙ্গে।