খেলাধুলা ডেস্ক : দক্ষিণ আফ্রিকার তিক্ত অভিজ্ঞতায় এবার নড়েচড়ে বসেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তাই বাংলাদেশের উইকেটগুলোর পরিবর্তন আনার চিন্তা-ভাবনা শুরু করেছে ক্রিকেটের এই নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
ঘরের মাঠে সব সময় ফ্ল্যাট কিংবা টার্নিং উইকেটে খেলে থাকে বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। এখানে তাই সফলতা পেলেও বিদেশ সফরে গিয়ে ধুঁকতে হয় মাশরাফি-মুস্তাফিজদের। যেটি হারে হারে টের পেয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে।
টাইগার ক্রিকেটারদের একবারেই পাড়া মহল্লার কেরোয়াড় বানিয়ে তিন সংস্করণেই হোয়াইটওয়াশ করেছে স্বাগতিক প্রোটিয়ারা। বিষয়টি অনুধাবন করে এবার স্পোর্টিং উইকেট বানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিসিবি। খুব শিগগিরই দেশের বেশ কিছু ভেন্যুতে স্পোর্টিং উইকেট নির্মিত হবে বলে জানিয়েছেন বিসিবি’র মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান জালাল ইউনুস।
তিনি বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় বাউন্সি উইকেটে বাংলাদেশ যে কিছুটা চ্যালেঞ্জের মুখেই পড়বে সেটি ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে তেমন কোনো বাউন্সি উইকেটে খেলতে হয়নি টাইগারদের। স্পোর্টিং উইকেটই পেয়েছিল তারা। কিন্তু তাতেই খেই হারিয়েছে টাইগাররা। বিসিবি’র নব-নির্বাচিত পরিচালক জালাল ইউনুস বলেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় কোনো বাউন্সি উইকেট ছিল না। সবই ছিল স্পোর্টিং উইকেট। আপনি ওখানে ব্যাটিংও করতে পারেন, বোলিংও করতে পারেন। কোনো ফাস্ট বোলার চাইলে ওখানে বাউন্সার দিতে পারে। কিন্তু যাদের ওই সামর্থ্য নেই তারা পারবে না। ব্যাটসম্যানদেরও সুযোগ ছিল, বোলারদেরও ছিল। এই ধরনের স্পোর্টিং উইকেট জরুরি ভিত্তিতে আমাদের দুই তিনটি ভেন্যুতে তৈরির কাজ শুরু করতে হবে।’
বিসিবি’র এই মিডিয়া কমিটির এই চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমরা ওয়ানডেতে মোটামুটি একটা অবস্থানে থাকলেও টেস্ট ম্যাচে সেই ধরনের অবস্থানে নেই। সামনে আমাদের টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হবে। সেখানে অনেক টেস্ট খেলা থাকবে। এইগুলোতে আমাদের ভালো করতে হবে। সেই দিকেই আমাদের মনোযোগ দেওয়া উচিত। বড় দৈর্ঘ্যরে ম্যাচে আরও উন্নতি করতে হবে। বড় দৈর্ঘ্যে উন্নতি করতে হলে ঘরোয়া ক্রিকেটের কাঠামো আরও শক্তিশালী করা দরকার। এই কাঠামোর মধ্যে উইকেটগুলোকে স্পোর্টিং করতে হবে।’(বাসস)