Menu |||

‘অবশেষে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘকে মেনে নিচ্ছে মিয়ানমার’

মিয়ানমার শেষপর্যন্ত জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার বা ইউএনএইচসিআরকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় যুক্ত করতে রাজী হয়েছে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম একথা জানিয়ে বলেছেন,এতদিন মিয়ানমারের সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বাংলাদেশ চাইলেও মিয়ানমার ইউএনএইচসিআরকে যুক্ত করতে রাজী ছিল না। অন্যদিকে বাংলাদেশ প্রথম দফায় আট হাজার জনের বেশি রোহিঙ্গাকে ফেরত নেয়ার যে তালিকা দিয়েছিল, সেই তালিকার মাত্র কয়েকশ রোহিঙ্গাকে ফেরত নেয়ার ছাড়পত্র দিয়েছে মিয়ানমার। প্রত্যাবাসনেরও কোন দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি। তারপরও বাংলাদেশ দ্বিতীয় তালিকা দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

মিয়ানমারের সাথে দ্বিপাক্ষিক সব আলোচনায় বাংলাদেশ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় ইউএনএইচসিআরকে যুক্ত করার প্রস্তাব তুলেছিল।কিন্তু সেই প্রস্তাবে মিয়ানমারকে রাজী করানো সম্ভব হয়নি বলে ঢাকায় কর্মকর্তারা বলছেন।

কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো

মিয়ানমারকে রাজী করাতে ব্যর্থ হয়ে বাংলাদেশ নিজেদের প্রক্রিয়ায় ইউএনএইচসিআরকে যুক্ত করেছে। এখন এনিয়ে মিয়ানমারের সাথে সরাসরি আর কোন আলোচনা করেনি বাংলাদেশ।

তবে সম্প্রতি জেনেভায় ইউএনএইচসিআর এর প্রধানের সাথে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতি মন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

ঢাকায় ফিরে বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মি: আলম ইউএনএইচসিআর এর প্রধানের বরাত দিয়ে বলেছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমার ইউএনএইচসিআরকে যুক্ত করতে রাজী হয়েছে।

“বাংলাদেশ এককভাবে ইউএনএইচসিআর বা ইউএন এজেন্সিকে যুক্ত করতে চেয়েছিল।কিন্তু মিয়ানমারকে আমরা রাজী করাতে পারিনি।কিন্তু অতিসম্প্রতি মিয়ানমার রাজী হয়েছে।আমি জাতিসংঘে বৈঠক করেছি গত সপ্তাহে। ইউএনএইচসিআর এর প্রধান আমাকে নিশ্চিত করেছেন যে, মিয়ানমার সরকার তাদেরকে প্রস্তাব দিয়েছেন। তারা ইউএনএইচসিআরকে প্রত্যাবান প্রক্রিয়ায় যুক্ত করতে চান।এটা অনেক আশাবাদী একটা খবর।”

এসব ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। প্রত্যাবাসন চুক্তির পর তাদের ফেরত পাঠানোর পথ তৈরি হয়েছেএসব ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। প্রত্যাবাসন চুক্তির পর তাদের ফেরত পাঠানোর পথ তৈরি হয়েছে

মিয়ানমার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘকে কিভাবে যুক্ত করতে পারে, তার কোন ইঙ্গিত কি বাংলাদেশ পেয়েছে?

এই প্রশ্নে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য হচ্ছে, “এটা মিয়ানমার এবং ইউএনএইচসিআর আলোচনা করে ঠিক করবে।বাংলাদেশ এবং ইউএনএইচসিআর এর আলোকে আমি বলতে পারি, আমরা যে ফরমগুলো ফিলাপ করছি, তা ইউনএইচসিআর নিশ্চিত করলে প্রত্যাবাসনে সুবিধা হবে।আরেকটি বিষয় হচ্ছে, স্বেচ্ছায় ফেরত যাওয়ার ক্ষেত্রে একটি পরিবারের পক্ষে ঐ পরিবারটির কর্তা ফরমে স্বাক্ষর করবেন।এগুলো ইউএনএইচসিআর নিশ্চিত করলে মিয়ানমারের কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য হবে।”

এছাড়াও রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার পর তাদের অধিকারগুলো নিশ্চিত করা হচ্ছে কিনা, সে ব্যাপারেও বাংলাদেশ ইউএনএইচসিআর এর ভূমিকা চায়।

কিন্তু মিয়ানমার কোন ধরণের শর্থের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক সংস্থাটিকে যুক্ত করবে, তা এখনও পরিষ্কার নয়।

আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থা আইওএম এর সাবেক কর্মকর্তা আসিফ মুনির বলেছেন, আন্তর্জাতিক চাপের কারণে শুধু লোক দেখানো হিসেবে মিয়ানমার যদি ইউএনএইচসিআরকে যুক্ত করে, তাতে কোন লাভ হবে না।

“মনে রাখতে হবে, এই যুক্ত করাটা যেন সাইনবোর্ড সর্বস্ব না হয়।”

রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশ এখন তালিকা বিনিময় করছে।

প্রথম দফায় বাংলাদেশ যে ৮ হাজার ৩২ জনের তালিকা দিয়েছে। তারমধ্যে মাত্র সাড়ে পাঁচশ জনের মতো রোহিঙ্গাকে ফেরত নেয়ার ব্যাপারে মিয়ানমার ছাড়পত্র দিয়েছে।

মিয়ানমার ফেরত নেয়ার কোন সময় এখনও দেয়নি।

তবে আগামী মাসের শেষ সপ্তাহে ঢাকায় দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিবদের নেতৃত্বে যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সেই বৈঠকে বাংলাদেশ দ্বিতীয় দফায় দশ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা দিতে পারে।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলছিলেন, তারা রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পরই তাদের ফেরত পাঠানোর প্রশ্নে গুরুত্ব দিচ্ছেন।

“বিষয়টা কিন্তু অনেক জটিল। আমরাও চাই না, ১১ লাখ রোহিঙ্গা যারা বাংলাদেশে আছেন, এরমধ্যে অনেক তাড়াহুড়ো করে যদি এক লাখও পাঠানো হয়, তাদের দু’শ জনও নির্যাতিত হয়ে চলে আসেন বাংলাদেশে। সেটা বাকি ১০ লাখ রোহিঙ্গার উপর একটা খারাপ প্রভাব ফেলবে। এটা পুরো প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াকেই ঝুলিয়ে দেবে।”

বাংলাদেশের কর্মকর্তারা এটাও বলছেন, ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে নিয়ে এই সংকট দীর্ঘ হতে পারে, এটিও বিবেচনায় রেখে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সাহায্য নিয়ে এগুচ্ছে।

এদিকে, এখন বর্ষা মৌসুমের আগে কক্সবাজারের বালুখালী শিবিরে থাকা রোহিঙ্গাদের মধ্যে এক লাখ ভূমি ধসের ঝুঁকিতে আছে বলে তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে।

তাদের আগামী দুই মাসের আগে ঐ শিবিরেই নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

 

সুত্র,বিবিসি

Facebook Comments Box

সাম্প্রতিক খবর:

কুয়েত ফেরত প্রবাসী মো. সাদ মিয়া আর নেই

বিশেষ অনুমতি ছাড়াই পাওয়া যাবে কুয়েতের ভিসা

চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী গ্রেপ্তার

আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তী সরকারের

কুয়েতে বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

কুয়েতের কাজের ভিসার জন্য বাংলাদেশিদের অতিরিক্ত ৩০০ ডলার পর্যন্ত দিতে হচ্ছে

চুরি হওয়া টাকা'ই ঋণের জন্য ব্যবহার হয়

ক্রোধের স্রোত অত্যাচারীদের ধ্বংস করে- আহমেদ আল-জারাল্লাহ

কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশী তরুণ মকবুল হোসেনের সফলতার গল্প

কুয়েতে ঈদুল ফিতর উদযাপিত এবং রাষ্ট্রদূত এর সঙ্গে প্রবাসীদের শুভেচ্ছা বিনিময়

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



সর্বশেষ আপডেট



» কুয়েতে বিজয় দিবস কাপ-২০২৫ এর সেমিফাইনালে উঠেছে নবজাগরণ স্পোর্টিং ক্লাব

» কুয়েত ফেরত প্রবাসী মো. সাদ মিয়া আর নেই

» বাহরাইনে বাংলাদেশ দূতাবাসে বাংলা নববর্ষ উদযাপন

» ফিলিস্তিনের পক্ষে লন্ডনের রাজপথে প্রবাসী বাংলাদেশিরা

» বিশেষ অনুমতি ছাড়াই পাওয়া যাবে কুয়েতের ভিসা

» চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী গ্রেপ্তার

» আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তী সরকারের

» কুয়েতে জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশনের দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত

» কুয়েতে বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

» কুয়েতের কাজের ভিসার জন্য বাংলাদেশিদের অতিরিক্ত ৩০০ ডলার পর্যন্ত দিতে হচ্ছে

Agrodristi Media Group

Advertising,Publishing & Distribution Co.

Editor in chief & Agrodristi Media Group’s Director. AH Jubed
Legal adviser. Advocate Musharrof Hussain Setu (Supreme Court,Dhaka)
Editor in chief Health Affairs Dr. Farhana Mobin (Square Hospital, Dhaka)
Social Welfare Editor: Rukshana Islam (Runa)

Head Office

UN Commercial Complex. 1st Floor
Office No.13, Hawally. KUWAIT
Phone. 00965 65535272
Email. agrodristi@gmail.com / agrodristitv@gmail.com

Desing & Developed BY PopularITLtd.Com
,

‘অবশেষে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘকে মেনে নিচ্ছে মিয়ানমার’

মিয়ানমার শেষপর্যন্ত জাতিসংঘ শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার বা ইউএনএইচসিআরকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় যুক্ত করতে রাজী হয়েছে।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম একথা জানিয়ে বলেছেন,এতদিন মিয়ানমারের সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় বাংলাদেশ চাইলেও মিয়ানমার ইউএনএইচসিআরকে যুক্ত করতে রাজী ছিল না। অন্যদিকে বাংলাদেশ প্রথম দফায় আট হাজার জনের বেশি রোহিঙ্গাকে ফেরত নেয়ার যে তালিকা দিয়েছিল, সেই তালিকার মাত্র কয়েকশ রোহিঙ্গাকে ফেরত নেয়ার ছাড়পত্র দিয়েছে মিয়ানমার। প্রত্যাবাসনেরও কোন দিনক্ষণ এখনও ঠিক হয়নি। তারপরও বাংলাদেশ দ্বিতীয় তালিকা দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে।

মিয়ানমারের সাথে দ্বিপাক্ষিক সব আলোচনায় বাংলাদেশ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় ইউএনএইচসিআরকে যুক্ত করার প্রস্তাব তুলেছিল।কিন্তু সেই প্রস্তাবে মিয়ানমারকে রাজী করানো সম্ভব হয়নি বলে ঢাকায় কর্মকর্তারা বলছেন।

কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো

মিয়ানমারকে রাজী করাতে ব্যর্থ হয়ে বাংলাদেশ নিজেদের প্রক্রিয়ায় ইউএনএইচসিআরকে যুক্ত করেছে। এখন এনিয়ে মিয়ানমারের সাথে সরাসরি আর কোন আলোচনা করেনি বাংলাদেশ।

তবে সম্প্রতি জেনেভায় ইউএনএইচসিআর এর প্রধানের সাথে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতি মন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

ঢাকায় ফিরে বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মি: আলম ইউএনএইচসিআর এর প্রধানের বরাত দিয়ে বলেছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে মিয়ানমার ইউএনএইচসিআরকে যুক্ত করতে রাজী হয়েছে।

“বাংলাদেশ এককভাবে ইউএনএইচসিআর বা ইউএন এজেন্সিকে যুক্ত করতে চেয়েছিল।কিন্তু মিয়ানমারকে আমরা রাজী করাতে পারিনি।কিন্তু অতিসম্প্রতি মিয়ানমার রাজী হয়েছে।আমি জাতিসংঘে বৈঠক করেছি গত সপ্তাহে। ইউএনএইচসিআর এর প্রধান আমাকে নিশ্চিত করেছেন যে, মিয়ানমার সরকার তাদেরকে প্রস্তাব দিয়েছেন। তারা ইউএনএইচসিআরকে প্রত্যাবান প্রক্রিয়ায় যুক্ত করতে চান।এটা অনেক আশাবাদী একটা খবর।”

এসব ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। প্রত্যাবাসন চুক্তির পর তাদের ফেরত পাঠানোর পথ তৈরি হয়েছেএসব ক্যাম্পে আশ্রয় নিয়েছেন সাত লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। প্রত্যাবাসন চুক্তির পর তাদের ফেরত পাঠানোর পথ তৈরি হয়েছে

মিয়ানমার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ায় জাতিসংঘকে কিভাবে যুক্ত করতে পারে, তার কোন ইঙ্গিত কি বাংলাদেশ পেয়েছে?

এই প্রশ্নে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বক্তব্য হচ্ছে, “এটা মিয়ানমার এবং ইউএনএইচসিআর আলোচনা করে ঠিক করবে।বাংলাদেশ এবং ইউএনএইচসিআর এর আলোকে আমি বলতে পারি, আমরা যে ফরমগুলো ফিলাপ করছি, তা ইউনএইচসিআর নিশ্চিত করলে প্রত্যাবাসনে সুবিধা হবে।আরেকটি বিষয় হচ্ছে, স্বেচ্ছায় ফেরত যাওয়ার ক্ষেত্রে একটি পরিবারের পক্ষে ঐ পরিবারটির কর্তা ফরমে স্বাক্ষর করবেন।এগুলো ইউএনএইচসিআর নিশ্চিত করলে মিয়ানমারের কাছে বেশি গ্রহণযোগ্য হবে।”

এছাড়াও রোহিঙ্গাদের ফেরত নেয়ার পর তাদের অধিকারগুলো নিশ্চিত করা হচ্ছে কিনা, সে ব্যাপারেও বাংলাদেশ ইউএনএইচসিআর এর ভূমিকা চায়।

কিন্তু মিয়ানমার কোন ধরণের শর্থের ভিত্তিতে আন্তর্জাতিক সংস্থাটিকে যুক্ত করবে, তা এখনও পরিষ্কার নয়।

আন্তর্জাতিক অভিবাসী সংস্থা আইওএম এর সাবেক কর্মকর্তা আসিফ মুনির বলেছেন, আন্তর্জাতিক চাপের কারণে শুধু লোক দেখানো হিসেবে মিয়ানমার যদি ইউএনএইচসিআরকে যুক্ত করে, তাতে কোন লাভ হবে না।

“মনে রাখতে হবে, এই যুক্ত করাটা যেন সাইনবোর্ড সর্বস্ব না হয়।”

রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশ এখন তালিকা বিনিময় করছে।

প্রথম দফায় বাংলাদেশ যে ৮ হাজার ৩২ জনের তালিকা দিয়েছে। তারমধ্যে মাত্র সাড়ে পাঁচশ জনের মতো রোহিঙ্গাকে ফেরত নেয়ার ব্যাপারে মিয়ানমার ছাড়পত্র দিয়েছে।

মিয়ানমার ফেরত নেয়ার কোন সময় এখনও দেয়নি।

তবে আগামী মাসের শেষ সপ্তাহে ঢাকায় দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিবদের নেতৃত্বে যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। সেই বৈঠকে বাংলাদেশ দ্বিতীয় দফায় দশ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা দিতে পারে।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম বলছিলেন, তারা রোহিঙ্গাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পরই তাদের ফেরত পাঠানোর প্রশ্নে গুরুত্ব দিচ্ছেন।

“বিষয়টা কিন্তু অনেক জটিল। আমরাও চাই না, ১১ লাখ রোহিঙ্গা যারা বাংলাদেশে আছেন, এরমধ্যে অনেক তাড়াহুড়ো করে যদি এক লাখও পাঠানো হয়, তাদের দু’শ জনও নির্যাতিত হয়ে চলে আসেন বাংলাদেশে। সেটা বাকি ১০ লাখ রোহিঙ্গার উপর একটা খারাপ প্রভাব ফেলবে। এটা পুরো প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াকেই ঝুলিয়ে দেবে।”

বাংলাদেশের কর্মকর্তারা এটাও বলছেন, ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে নিয়ে এই সংকট দীর্ঘ হতে পারে, এটিও বিবেচনায় রেখে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক সাহায্য নিয়ে এগুচ্ছে।

এদিকে, এখন বর্ষা মৌসুমের আগে কক্সবাজারের বালুখালী শিবিরে থাকা রোহিঙ্গাদের মধ্যে এক লাখ ভূমি ধসের ঝুঁকিতে আছে বলে তাদের চিহ্নিত করা হয়েছে।

তাদের আগামী দুই মাসের আগে ঐ শিবিরেই নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

 

সুত্র,বিবিসি

Facebook Comments Box

সাম্প্রতিক খবর:

কুয়েত ফেরত প্রবাসী মো. সাদ মিয়া আর নেই

বিশেষ অনুমতি ছাড়াই পাওয়া যাবে কুয়েতের ভিসা

চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদের স্ত্রী গ্রেপ্তার

আওয়ামী লীগের সব কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তী সরকারের

কুয়েতে বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

কুয়েতের কাজের ভিসার জন্য বাংলাদেশিদের অতিরিক্ত ৩০০ ডলার পর্যন্ত দিতে হচ্ছে

চুরি হওয়া টাকা'ই ঋণের জন্য ব্যবহার হয়

ক্রোধের স্রোত অত্যাচারীদের ধ্বংস করে- আহমেদ আল-জারাল্লাহ

কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশী তরুণ মকবুল হোসেনের সফলতার গল্প

কুয়েতে ঈদুল ফিতর উদযাপিত এবং রাষ্ট্রদূত এর সঙ্গে প্রবাসীদের শুভেচ্ছা বিনিময়


এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ



Exchange Rate

Exchange Rate EUR: Sat, 24 May.

সর্বশেষ খবর



Agrodristi Media Group

Advertising,Publishing & Distribution Co.

Editor in chief & Agrodristi Media Group’s Director. AH Jubed
Legal adviser. Advocate Musharrof Hussain Setu (Supreme Court,Dhaka)
Editor in chief Health Affairs Dr. Farhana Mobin (Square Hospital, Dhaka)
Social Welfare Editor: Rukshana Islam (Runa)

Head Office

UN Commercial Complex. 1st Floor
Office No.13, Hawally. KUWAIT
Phone. 00965 65535272
Email. agrodristi@gmail.com / agrodristitv@gmail.com

Bangladesh Office

Director. Rumi Begum
Adviser. Advocate Koyes Ahmed
Desk Editor (Dhaka) Saiyedul Islam
44, Probal Housing (4th floor), Ring Road, Mohammadpur,
Dhaka-1207. Bangladesh
Contact: +8801733966556 /+8801316861577

Email Address

agrodristi@gmail.com, agrodristitv@gmail.com

Licence No.

MC- 00158/07      MC- 00032/13

Design & Devaloped BY Popular-IT.Com
error: দুঃখিত! অনুলিপি অনুমোদিত নয়।