নাঈম তালুকদার,দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থেকেঃ সুনামগঞ্জ সদর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান হাজী আবুল কালাম বলেছেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি করি,শেখ হাসিনার রাজনীতি করি নৌকার রাজনীতি করি। আমরা আওয়ামীলীগের হয়ে বিএনপি জামাতকে নিয়ে রাজনীতি করিনা। বিগত দিনে অনেক কষ্ট করে এম এ মান্নান কে বিজয়ী করায় আজ তিনি মূল আওয়ামীলীগ থেকে অনেক দূরে সরে গিয়েছেন। তিনি রাজনীতি করছেন জামাত বিএনপিকে নিয়ে। আজ আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের কোন মূল্যায়ন নাই,মূল্যায়ন হচ্ছে হাইব্রিডদের। তৃণমূল আওয়ামীলীগকে বাদ দিয়ে কেউ কোনদিন বিজয়ী হতে পারে নাই, তিনি ও পারবেন না। বিগত ইউপি নির্বাচনে তিনি নৌকার বিপক্ষে অবস্থান করে বিএনপি জামাতের বিদ্রোহী প্রার্থীদেরকে বিজয়ী করে সদ্য আওয়ামীলীগে যোগদান করিয়েছেন। ভোটের সময় তারা ঠিকই তাদের নিজস্ব দলের লোককে ভোট দেবে। এখন বিভিন্ন প্রকল্প লুটপাটের জন্য আওয়ামীলীগে যোগদান করে আওয়ামীলীগের অপুরনীয় ক্ষতি করছে। বর্তমান সময়ে মূল আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের মিছিল মিটিংগে পুলিশ মোতায়েন করে মিটিং মিছিল করতে বাঁধার সৃষ্টি করা হচ্ছে কেন? আমরা কি আওয়ামীলীগ করিনা আমরা কি নৌকায় ভোট দেই নাই? আজ আমরা যারা মূল আওয়ামীলীগের সাথে আছি আমাদেরকে বিভিন্ন মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে,প্রশাসন চলছে দু-এক জনের কথায়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা আকূল আবেদন করছি নৌকায় ভোট দেওয়াটা কি ছিল আমাদের অপরাধ। তৃণমূলের আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা আজ অতিষ্ট। তৃণমুল আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের সমর্থনের প্রেক্ষিতে জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে ত্যাগী ও মূল আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদেরকে ঐক্যবদ্ধ করে রাখতে আগামী সংসদ নির্বাচনে সুনামগঞ্জ-৩ আসনে আওয়ামীলীগের প্রার্থী হতে চাই। সোমবার বিকেলে উপজেলার পাগলা বাজারে তৃণমূল আওয়ামীলীগের কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন তিনি। উপজেলা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী আব্দুল হেকিমের সভাপতিত্বে ও উপজেলা আওয়ামীলীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক সুরঞ্জিত চৌধুরী টপ্পা ও ছাত্রলীগ নেতা আজাদ হোসেনের যৌথ পরিচালনায় এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জগলুল হায়দার, পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল গফুর ,উপজেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক এনামুল কবীর, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক সোহেল খাঁন,সমাজসেবা সম্পাদক ননী গোপাল দাশ,শ্রমবিষয়ক সম্পাদক তাজুদ মিয়া,উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা রাইজুল ইসলাম,জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মজিদুর রহমান,উপজেলা যুবলীগের সাবেক আহবায়ক সেলিম রেজা, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি কামরুজ্জামান জেরিন,উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা রাজন হোসেন,অসীম পাল,তানভীর আহমদ সোহান প্রমুখ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা রহিম আলী,আলী আহমদ মেম্বার,নুর উদ্দিন,লুচাই মেম্বার,ফজর আলী,সাজিদ মিয়া,আয়ুব উদ্দিন,ফজিল উদ্দিন,জামিল আহম,রজব আলী,আব্দুল কদ্দুছ,দিলু মিয়া,আতিকুর রহমান,জমির আলী,মোস্তফা মিয়া,ফয়জুল হক,নুরুল হক মেম্বার,শংকর দাশ,শফিক মিয়া,জোবায়েল আহমদ,লুতফুর রহমান,মিছবাহ উদ্দিন,আকবর আলী,অনীল ভট্রাচার্য,যুবলীগ নেতা, রিজু আহমদ,রকিব আহমদ,জহুর মিয়া,ছাত্রলীগ নেতা আনোয়ার মিয়া,মাজেদুল হক মাজেদ,রিমু আহমদ,শাহীনুর রহমান প্রমুখ। এদিকে কর্মী সভাকে কেন্দ্র করে রাস্তায় অবস্থান নেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নানের সমর্থকরা ও পশ্চিম পাগলা ইউপি চেয়ারম্যান নুরল হকের আতœীয় স্বজনরা। এ নিয়ে কর্মী সভা পরবর্তী দু-পক্ষের মধ্যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করে। কর্মী সভার শুরু থেকেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(দক্ষিণ সুনামগঞ্জ জগন্নাথপুর সার্কেল) মাহবুর রহমান,দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরীর নেতৃত্বে পাগলা বাসষ্টেন্ডে সতর্ত অবস্থান নিচ্ছিলেন দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার সকল সকল পুলিশ ও জেলা দাঙ্গা পুলিশের একটি বৃহত দল। পুলিশের এই সতর্ক অবস্থানের কারণে এই সময়ে কোন ধরণের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি। এ ব্যাপারে সদর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান হাজী আবুল কালাম জানান: আমরা আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠনের উদ্যোগে শান্তিপূর্ণভাবে তৃণমূল কর্মী সমাবেশ করেছি,যারা এই কর্মী সভাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ করতে চেয়েছিল তারা অবশ্যই নৌকার বিপক্ষের শক্তি। তারা আওয়ামীলীগের ভাল চায়না। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এ ব্যাপারে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: ইখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী জানান: কর্মী সভাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হতে পারে খবর পেয়ে আমরা আগে থেকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সতর্ক অবস্থানে ছিলাম এ কারণে কোন ধরণের সংঘর্ষ হতে পারেনি। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দক্ষিণ সুনামগঞ্জ জগন্নাথুপর সার্কেল) মাহবুবুর রহমান বলেন,আমরা সতর্ক অবস্থানে ছিলাম। কোন রকমের আপত্তিকর ঘটনা ঘটেনি।