মধ্যপ্রাচ্যে তেল প্রাচুর্যে সেরা অন্যতম দেশ কুয়েত, দেশটিতে স্থানীয় নাগরিকদের চেয়ে তিন গুণ বেশি প্রবাসীরা রয়েছেন।
বর্তমানে বৈশ্বিক মহামারী করোনাভারাইসের কারণে দেশটির অর্থনৈতিক উন্নয়ন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। এর ফলে প্রবাসী বাংলাদেশীরা সহ বিভিন্ন দেশের প্রবাসীরাও চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
২০১৯/২০২০ সালে অদৃশ্য এক শক্তির কাছে যখন গোটা বিশ্ব অসহায় ও উদ্বিগ্ন আর উৎকণ্ঠার মধ্যে অগণিত মানুষ, ওই সময়ে কুয়েতে করোনার তাণ্ডবে প্রায় লণ্ডভণ্ড হয়ে পড়ে ব্যবসা-বানিজ্য এর অবস্থা। এর পর শত চেষ্টা করে এক শ্রেণির ব্যবসায়ীরা মোটামুটি দাঁড়ানোর চেষ্টা যখন শুরু করছিলেন, ঠিক তখন করোনার দ্বিতীয় ঢেউ-এ চরম বিধি নিষেধ এর ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য গুটিয়ে নিজ দেশে নিঃস্ব হাতে যাওয়ার মতো অবস্থা অনেক প্রবাসীদের।
সুক আল-ওয়াতানিয়া মার্কেট। কুয়েত প্রবাসী বাংলাদেশীদের অত্যন্ত পছন্দের একটি মার্কেট। এখানে বিক্রেতাদের অধিকাংশ বাংলাদেশী হওয়ার ফলে বাংলাদেশী ক্রেতারাও কেনাকাটা করতে বেশ স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। কিন্তু করোনার কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যে স্থবিরতা নেমে এসেছে। নানা ধরনের সংকটে বিপর্যস্ত ব্যবসা খাত। একটা সময় ক্রেতাদের অগণিত ভিড় ছিল যে মার্কেটটিতে, এখন সেই মার্কেটে ক্রেতাশুন্য প্রায়।
বিক্রেতারা বলছেন, কয়েক মাস আগেও মোটামুটি ব্যবসা ভালো চললেও বর্তমানে খুবই খারাপ যাচ্ছে তাদের।
এদিকে সব দোকানে সামান্য কেনাকাটা হলেও রেস্তোরাঁ ব্যবসা বন্ধ প্রায়। কুয়েতের চলমান কারফিউ সন্ধ্যা ৭টা থেকে সকাল ৫টা পর্যন্ত। ফলে অনেক বাংলাদেশী মালিকানাধীন রেস্তোরাঁ গুলো রমজান মাসে খোলার সুযোগটুকুও নেই। প্রবাসী এসব ব্যবসায়ীরা মনে করছেন, যদি কারফিউ এর সময় আরেকটু শিথিল করা হয় ; তাহলে হয়তো তাদের ব্যবসাবানিজ্য মোটামুটি চলে যাবে, অন্যতায় তাদের নিশ্চিত ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।
কুয়েতের, জিলিব সুয়েখ,খাইতান, ফাহাহিল,হাওায়াল্লি, সালমিয়া,ফারওয়ানিয়া, জাহরা ও কুয়েত সিটি সহ অন্যান্য এলাকায় প্রবাসী বাংলাদেশীরা নানা পেশায় নিয়োজিত।
উপসাগরীয় এদেশটির প্রবাসীরা মনে করেন, কুয়েতে করোনা পরস্থিতি স্বাভাবিক হলে নিশ্চয় এখানকার ব্যবসা-বাণিজ্য ধীরে ধীরে গতিশীল হয়ে উঠবে।
-আ হ জুবেদ