আল আমিন রানা, বিশেষ প্রতিনিধি- কুয়েত::গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণমন্ত্রী তথা গরিব দুখী মেহনতি মানুষের বন্ধু, স্পষ্টবাদী, জনদরদী নেতা বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মহসিন আলী এম.পি এবং সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ এর সভাপতি আব্দুজ জহির চেীধুরীর মৃত্যুতে ১৮ সেপ্টেম্ব শুক্রবার কুয়েত সিটির রাজধানী হোটেলে শোক সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন সিলেট বিভাগ সমিতি কুয়েত। মাওলা আসাদ উজ্জামান এর পবিত্র কুরআন তেলওয়াতের মধ্যে দিয়ে সমিতির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলামের সঞ্চালনায় সমিতির সিনিয়র সহ সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ,সমাজসেবক ও সামাজিক সংগঠক এম.ডি.সেলিমের সভাপতিত্বে শোক সভায় প্রধান অতিথির আসন অলংকৃত করেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, বাংলাদেশ কমিউনিটি কুয়েত’র সভাপতি ও মর্ণিং গ্লোরি বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শহীদ ইসলাম (পাপুল)
আরো উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব রফিকুল ইসলাম ভুলু/বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ আবুল হাশেম এনাম/ আলী মদ্দীন/আওয়ামী নেতা ফয়েস কামাল/মাসুদ করিম/আওয়ামী নেতা সাদেক হুসেন/ ইউনুছ মতিন সভাপতি- বৃহত্তর সিলেট প্রবাসী সমবায় সমিতি,কুয়েত/রাহাদ আসাদ/ জাতীয় অনলাইন পত্রিকা অগ্রদৃষ্টির সম্পাদক আ.হ জুবেদ প্রমুখ।
সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলীর এই প্রয়াণে শোক ও সমবেদনা জ্ঞাপন করেছে কুয়েতে সিলেট অঞ্চলের প্রবাসী সহ বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার প্রবাসীরা।
এদিকে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন ও মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বক্ততারা বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সমাজকল্যাণমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মহসিন আলী ছিলেন সিলেটের অন্যতম একজন রাজনীতিবিদ। সিলেটের রাজনীতিতে তার অনেক অবদান রয়েছে। তার মৃত্যুতে রাজনৈতিক অঙ্গনে যে শূণ্যতার সৃষ্টি হলো তা পূরণ হওয়ার নয়। শোক সভায় কুয়েত প্রবাসী সিলেট অঞ্চলের অসংখ্য নেতৃবৃন্দ সহ সুধীজনেরা সিলেটের কৃতি সন্তান মরহুম এই দুই নেতার কর্মময় জীবনী নিয়ে আলোচনা করেন। পরিশেষে সমাজকল্যাণমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মহসিন আলী এবং সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ এর সভাপতি আব্দুজ জহির চেীধুরীর বিদেহীর আত্মার শান্তি ও রূহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া করেন মাওলানা আসাদ উজ্জামান।
মৌলভীবাজারে বাবা-মায়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় সমাহিত হলেন সমাজকল্যাণমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলী। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শহরের সৈয়দ শাহ মোস্তফা (রহ.) মাজার প্রাঙ্গণস্থ কবরস্থানে সমাহিত হন রণাঙ্গনের এই বীর মুুক্তিযোদ্ধা। এর আগে সিঙ্গাপুর, সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজা ও মৌলভীবাজার সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তার তিনদফা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। মহসিন আলীর কফিনে শ্রদ্ধা জানান প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীসহ মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা। এছাড়া, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এই বীরমুক্তিযোদ্ধার কফিনে শ্রদ্ধা জানান প্রধান বিচারপতি, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ ও নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ।
উল্লেখ্য, গত ১৪ই সেপ্টেম্বর সকালে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মহসিন আলী। ১৫ই সেপ্টেম্বর রাতে তার মরদেহ দেশে আনা হয়।