
কুয়েতের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী, ভারপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনী প্রধান এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও ন্যাশনাল গার্ডের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের এর সাথে সৌজন্য সাক্ষাতকালে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যেসব দাবিদাওয়া ছিল; সেগুলো বুঝিয়ে বলা হয়েছে। পাশাপাশি কুয়েত সরকার কী ধরনের প্রত্যাশা করছে বাংলাদেশের কাছে সেটিও শুনেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, এসবিপি (বার), ওএসপি, এনডিইউ, পিএসসি, পিএইচডি।
মঙ্গলবার কুয়েতে বাংলাদেশ মিলিটারি কন্টিনজেন্ট (বিএমসি) সদর দপ্তরে গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে কুয়েত সফরের উদ্দেশ্য তুলে ধরতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সেনাপ্রধান বলেন, বাংলাদেশের কাছে কুয়েতের প্রত্যাশা অনেকাংশেই পূরণ করা হয়েছে; বাকি সব পর্যায়ক্রমে পূরণ করা হবে বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে।
তিনি বলেন,কুয়েত-বাংলাদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা ও সহযোগিতা চলছে; এর বাইরেও ক্ষেত্র বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে।
নতুন ক্ষেত্র খুঁজে পেয়েছেন উল্লেখ করে সেনাপ্রধান বলেন, নিকট ভবিষ্যতে কুয়েতের শান্তি মিশনে
বাংলাদেশ সামরিক বাহিনী থেকে লোকবল আরো বেশি বৃদ্ধি পাবে।
এছাড়াও অন্যান্য সেক্টরে দক্ষ জনশক্তি প্রেরণ তথা কিছু খাতের রপ্তানি করা নিয়ে কুয়েতের সঙ্গে সফল আলোচনা হয়েছে।
সেনাপ্রধান আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, সবমিলিয়ে বাংলাদেশ ও সশস্ত্র বাহিনীর জন্য ভালো কিছু হতে যাচ্ছে।
কুয়েত সরকার বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কাজের মূল্যায়ন কীভাবে করছে? এমন এক প্রশ্নের জবাবে জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী যে দায়িত্ব এখানে পালন করছে; এতে কুয়েতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়,স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান থেকে শুরু করে প্রত্যেকেই বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পারফর্মেন্সে অত্যন্ত খুশি।
তিনি বলেন, ২৫ আগস্ট কুয়েত থেকে এক দল ডেলিগেশন বাংলাদেশ যাবে; আশা করা হচ্ছে এই সেক্টর থেকে আরো কিছু লোক পাঠানো সম্ভব হবে।
তিনি আরো বলেন, কুয়েতের শান্তি মিশনে অন্যান্য দেশের যারা আছেন; তাদের চেয়ে বাংলাদেশিরা অনেক পরিশ্রমী, শৃঙ্খলাবদ্ধ ও অনেক বেশি মানবিক। আর এসব গুণাবলি গুলো’ই শান্তি মিশনে বাংলাদেশকে এগিয়ে রেখেছে এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনী জাতিসংঘে শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ হিসেবে এক নম্বরে অবস্থান করছে।

প্রেসব্রিফিং চলাকালে উপস্থিত ছিলেন, কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান,ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুঃ হাসান-উজ-জামানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ।
উল্লেখ্য, কুয়েতে সফররত সেনাপ্রধান মঙ্গলবার ১ আগস্ট বাংলাদেশ মিলিটারী কন্টিনজেন্টস (বিএমসি) সদর দপ্তর পরিদর্শন করেন এবং বিএমসি কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ তাজুল ইসলাম ঠাকুর, বিএসপি, এসজিপি, এনডিসি, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, জি, এমফিল তাঁকে বিএমসি এর বিভিন্ন আভিযানিক কর্মকান্ড সম্পর্কে বিস্তারিত অবগত করেন। এছাড়াও আগামী বৃহস্পতিবার ৩ আগস্ট সেনাপ্রধান উম্ম-উল-গোয়াতী মরুভুমিতে মোতায়েনকৃত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর দু’টি কন্টিনজেন্ট ওকেপি-৪ (অর্ডন্যান্স) এবং ওকেপি-৬ (পদাতিক) এর ক্যাম্প পরিদর্শন করবেন। তাঁর এই সফরের মধ্য দিয়ে উভয় দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও দৃঢ়তর হবে বলে আশা করা যায়।
সফর শেষে সেনাবাহিনী প্রধান আগামী শুক্রবার ৪ আগস্ট বাংলাদেশে পোঁছাবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।
আ হ জুবেদ