নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মৌলভীবাজারে শিশু কামরান হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে জনপ্রতিনিধি, দিনমুজুর, সুশীল সমাজ, শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী সহ প্রায় ১০ হাজার লোকের সমাগমে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ২নং মনুমুখ ইউনিয়নের সাধুহাটি গ্রামের ওমান প্রবাসী কয়েছ মিয়ার শিশু ছেলে কামরান আহমেদ তানিম (৬) হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে ৯ জুলাই ২০১৭ ইং রোববার সকালে সরকার বাজার বাসস্ট্যান্ডে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মশিউর রহমান নয়নের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন ২নং মনুমূখ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হক সেফুল ।
এসময় মানববন্ধনে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, উদয়ন কেজি স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা আবুল বাশার, সাবেক মেম্বার আব্দুল আহাদ, সাবেক মেম্বার নজরুল ইসলাম, বিশিষ্ট মুরব্বী আলহাজ্ব মোহাম্মদ শাহাদত মিয়া, যুক্তরাজ্য প্রবাসী বায়াত উল্লাহ,বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বশির মিয়া,সানুমুন কেজি স্কুলের প্রধান শিক্ষকজুয়েল রানা,স্কলার্স কেজি এন্ড হাইস্কুলের প্রতিষ্টাতা মুজিবুর রহমান,রমিজ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মখলিছুর রহমান,২নং ওয়ার্ডের মেম্বার শাহিন আহমেদ, ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার আমির মিয়া, ৪নং ওয়ার্ডের শাহ্ মামুন পারভেজ মহসিন, কুয়েত প্রবাসী আবু সাদ কুতুব্বুদ্দিন, বাউরভাগ গ্রামের বিশিষ্ট মুরব্বী ও সাবেক মেম্বার গাজী মানিক মিয়া,দুলাল মিয়া, গাজী আবেদ,মোহাম্মদ রুবেল হাসান প্রমুখ।
মানববন্ধনে নির্মমতার শিকার ৬বছর বয়সী শিশু কামরানের খুনীদের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি দাবি করে বক্তারা বলেন, মধ্যযুগীয় বর্বরতাকেও হার মানায়, এমনই নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়েছে ৬বছর বয়সী শিশু কামরানকে।
বক্তারা বলেন, দ্রুত ও স্বচ্ছতার সঙ্গে বিচার কার্যক্রমের মাধ্যমে খুনি আলামিন ও তার সহযোগীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি আমরা শীঘ্রই দেখতে চাই।
পাশাপাশি এই বিচারকার্যে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন সহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদয় দৃষ্টি কামনা করেছেন, মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারী হাজার হাজার লোকেরা।
এদিকে মানববন্ধনে শিশু কামরানের দাদী, খোদ খুনি আলামিনের ভাইয়েরা সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও উপস্থিত থেকে প্রধান খুনি আলামিন ,জনি,ও রবির ফাঁসি দাবি করেন তারা।
উল্লখ্য যে, গত ২৯শে জুন সকাল ৯টায় কামরান নিখোঁজ হয় বাড়ি থেকে। বিকালে একটি ফোন থেকে তার চাচা রাসেলের ফোনে কল করে এক ব্যক্তি ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। এ টাকার জন্য ৭২ ঘণ্টার সময় দেয়। বিষয়টি মৌলভীবাজার মডেল থানা পুলিশকে জানানোর পর পুলিশ অনুসন্ধানে নামে।পরে কামরানের আত্মীয় লিটন মিয়া বাদী হয়ে অপহরণ মামলা করেন। পুলিশ মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে রোববার রাত সাড়ে ১২টায় অপহৃত শিশু কামরানের পিতার চাচা মৃত ছখাওত মিয়ার ছেলে আল-আমিন (২৬)কে আটক করে। তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক তারই ঘরের মাটি খুঁড়ে কামরানের
মৃতদেহ উদ্ধার করে। এ সময় লাশের মুখে ছিল স্কচটেপ আঁটা। শিশু কামরানের ঘরের এক ভিটে পরেই আল-আমিনের ঘর। এই বাড়িতে আরো ৩টি ঘর আছে।