জগলুল হুদা, রাঙ্গুনিয়া : বরগুণা ও পটুয়াখালীর পর চট্টগ্রাম উপকূলে আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু। এসব এলাকায় প্রবাহিত রোয়ানুর প্রভাব পড়েছে রাঙ্গুনিয়াতেও। শনিবার (২১ মে) এই ঘূণিঝড়ের প্রভাবে উপজেলা সহ আশপাশের এলাকাজুড়ে প্রচন্ড বেগে ঝড়ো হাওয়া বইতে শুরু করে। একই সঙ্গে প্রচন্ড বৃষ্টিপাতও হয়েছে। এর ফলে রাঙ্গনিয়ার কর্ণফুলি নদী বেষ্টিত এলাকার ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে সরফভাটার ভূমিরখীল, শিলক ও ইছামতি নদী বেষ্টিত এলাকাগুলো। এছাড়াও উত্তর রাঙ্গনিয়ার রাজানগর, দক্ষিন রাজানগর, লালানগর, হোচনাবাদ, স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া, পারুয়া, বেতাগী, পোমরা, চন্দ্রঘোনা সহ বেশ কিছু এলাকায় ঘরবাড়ির বেশ ক্ষতি হয়েছে, ভেঙ্গে পড়েছে গাছপালা, নষ্ট হয়েছে ফসলাদির। এছাড়াও চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের শান্তিরহাট, নোয়াগাও, ইছাখালী এলাকা ও চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি সড়কের ঠান্ডাছড়ি এলাকায় গাছ ভেঙ্গে পরায় দীর্ঘক্ষণ যান চলাচল বন্ধ হয়ে পরে। পরে স্থানীয়দের প্রচেষ্টায় পুনরায় যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। উপজেলার পারুয়া, বেতাগী ও পদুয়া এলাকায় তীব্র ঝড়ো হাওয়ার কারণে কয়েকটি ঘরের চালে গাছ ভেঙ্গে পরেছে। এতে ঘরগুলো ভেঙ্গে দুমরে-মুছরে গেলেও ঘরের বাসিন্দাদের কোনরকম ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে জানায় স্থানীয়রা।
এদিকে প্রচন্ড ঝড়ো হাওয়া ও বৃষ্টির কারণে উপজেলায় শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে পরের দিন সকাল ১১টা পর্যন্ত প্রায় ২৫ ঘন্টা বিদ্যুৎ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। ঘূণিঝড়ের কারণে বিদ্যুৎ লাইন চালু থাকলে বিভিন্ন দুর্ঘটনা হতে পারে। তাই দুর্ঘটনা এড়াতে দুর্যোকালীন সময় লাইন বন্ধ রাখা হয়েছে বলে জানায় বিদ্যুৎ অফিস। এছাড়াও দুযোর্গপরবর্তী সময়ে তারের উপর গাছের ঢাল ভেঙ্গে পড়ায় তা সংস্কারের জন্য বিদ্যুৎ যোগাযোগ বন্ধ ছিল। পরে বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দীর্ঘ প্রচেষ্টা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বিদ্যুৎ লাইন চালু করা হয় বলে জানানো হয়।
সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত চলা দীর্ঘ ঘূণিঝড়ের প্রভাব সম্পর্কে আগাম সতর্ক থাকায় উপজেলার কোথাও কোন প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি।