জয়পুরহাটের রামকৃষ্ণপুর সীমান্তে বাংলাদেশের অন্তত ৪০০ গজ ভেতরে অনুপ্রবেশ করে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফ।
এতে সায়েম নামে এক বাংলাদেশী নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন আরও চারজন।
শুক্রবার দুপুরে সদর উপজেলার ধলাহার ইউনিয়নের ভুটিয়াপাড়া সীমান্তের ২৭৬/৮নম্বর সাব-পিলার সংলগ্ন পশ্চিম রামকৃষ্ণপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, বিএসএফের এলোপাতাড়ি গুলিতে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর দুই সহোদরসহ পাঁচ বাংলাদেশী গুরুতর আহত হন। আহতদের জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহতদের মধ্যে সায়েম (৩৭) নামে একজনের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় পরে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
নিহত সায়েম পশ্চিম রামকৃষ্ণপুর গ্রামের আবদুল বারিকের ছেলে।
বিএসএফের গুলিতে আহত অন্য চারজন হলেন- একই গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে আবু জাফর বিদ্যুৎ (২৯), আবদুল খালেকের ছেলে ফারুক (২৬) এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কৃষ্ট মার্ডির দুই ছেলে পরিমল মার্ডি (৩৬) ও নির্মল মার্ডি (২৯)।
ধলাহার ইউনিয়নের পরিষদের চেয়ারম্যান তোজাম্মেল হক ও বিএসএফের গুলিতে আহতরা জানান, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পশ্চিম রামকৃষ্ণপুর গ্রামে সীমান্তঘেঁষা একটি পুকুরে (নো-ম্যান্সলান্ডে) দুই ছেলে মাছ ধরতে গেলে বিএসএফ সদস্যরা তাদের ধাওয়া করে।
এ সময় গ্রামবাসী প্রতিবাদ করলে প্রায় ৩০/৩৫জন বিএসএফ সদস্য সংঘবদ্ধ হয়ে বাংলাদেশ ভূখণ্ডের অন্তত ৪০০ গজ ভেতরের ওই গ্রামে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়তে শুরু করে।
জয়পুরহাট বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি ৩ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল আবদুর রাজ্জাক তরফদার জয়পুরহাট সীমান্তের বাংলাদেশ ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ করে বিএসএফের গুলিবর্ষণের সত্যতা স্বীকার করেছেন।
এছাড়া পাঁচ বাংলাদেশী গুলিবিদ্ধ হওয়ার কথা নিশ্চিত করলেও প্রাথমিকভাবে তিনি এ ঘটনার কারণ সর্ম্পকে কোনো কিছু জানাতে অপারগতা প্রকাশ করেন।