বড়পুকুরিয়া কয়লাখনি দুর্নীতি মামলা বাতিলের জন্য বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার আপিল আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন উচ্চতর আদালত।
ফলে মামলার কার্যক্রম চলতে আইনগত আর কোনও বাধা থাকলো না। তাই আগামী জুলাই মাসে অভিযোগ গঠনের নির্ধারিত দিনে আদালতে হাজির হতে হবে সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল অগ্রদৃষ্টিকে বলেন, “মামলা বাতিলের জন্য তারা হাইকোর্টে গিয়েছিলেন। সেখানে আবেদনটি বাতিল হয়ে যায়। এরপর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে তারা জন্য তারা সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে লিভ টু আপিল করেন। উচ্চতর আদালত সেটি নামঞ্জুর করেছেন”।
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুদকের করা দুর্নীতির ৫টি মামলা বর্তমানে চলমান রয়েছে বলে তিনি জানান।
দিনাজপুরের বড় পুকুরিয়া কয়লা খনির উৎপাদন ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে চীনা কোম্পানির সাথে করা চুক্তির মধ্য দিয়ে, দেড়শো কোটি টাকারও বেশি রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলাটি করা হয়েছিল।
২০০৮ সালে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুদকের করা মামলায় সে বছরই ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ-পত্র দেয়া হয়।
তখন বিএনপি নেত্রী মামলাটি বাতিলের আবেদন করলে ২০০৮ সালে হাইকোর্ট মামলার কার্যক্রম স্থগিত করে। তবে ২০১৫ সালে দুদক মামলাটি সচল করার উদ্যোগ নেয়।
এরপর মামলা বাতিল করার জন্য হাইকোর্টে করা আবেদন বাতিল হলে তার বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করেন বিএনপি চেয়ারপার্সন। এরপর গত ২২ মে এ সংক্রান্ত শুনানি শেষ হয়।
রোববার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ আবেদনটি খারিজ করে দেন।