এক্ষেত্রে গত জানুয়ারিতে বাংলাদেশ-ভারতের বাণিজ্য সচিব পর্যায়ের আলোচনার উল্লেখ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, “সেখানে বাংলাদেশ ভারতকে অনুরোধ জানিয়েছিল, ভারত যেন বাংলাদেশে নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্যের রপ্তানিতে বিধিনিষেধ আরোপ না করে এবং যদি কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করতে হয়, তাহলে বাংলাদেশকে যেন আগেই জানানো হয়।”
চিঠিতে আরও বলা হয়, গত অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরেও এমন বিধিনিষেধের বিষয় আগে জানানো নিয়ে আলোচনা হয়েছিল।
“সর্বশেষ ১৪ সেপ্টেম্বর ভারত সরকারের হঠাৎ ঘোষণা বন্ধুপ্রতীম দুই দেশের মধ্যে ২০১৯ ও ২০২০ সালে হওয়া আলোচনা এবং পারস্পরিক বোঝাপড়ায় গুরুত্ব দেওয়া হয়নি।”
দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে বিবেচনায় নিয়ে দ্রুত পেঁয়াজ রপ্তানি চালুর অনুরোধ জানানো হয় চিঠিতে।
চিঠির বিষয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের দুই দেশের মধ্যে অলিখিত কথা ছিল যে, ভারত অব্যাহতভাবে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করবে এবং এ নিয়ে যদি কোনো পরিবর্তন থাকে তবে ভারত বাংলাদেশকে আগে জানিয়ে দেবে। বন্ধুপ্রতীম দেশ দুটির মধ্যে এ রকম একটি সমাঝোতা আছে।
“আমরা খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ভারতের এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছি এবং প্রত্যাশা করছি খুব দ্রুত ভালো ফলাফল পাব।”
সূত্র, বিডিনিউজ টুয়েন্টিফোর ডটকম