এক আওয়ামী লীগ নেতাকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় নিউ ইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ চৌধুরী ও তার ভাই আবু সাঈদ চৌধুরীকে (কুটি চৌধুরী) গ্রেপ্তার করেছে নিউ ইয়র্ক পুলিশ।
রোববার ভোর রাত আড়াইটায় তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে এনওয়াইপিডির মুখপাত্র সোফিয়া ম্যাসন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তারের পর তাকে নিকটস্থ কোর্টে নেওয়া হলে আদালতে হাজিরার শর্তে জামিন পেয়েছেন ইমদাদ চৌধুরী।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর রোববার রাতে প্রায় একই এলাকায় একটি রেস্টুরেন্টে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের নেতা ওয়ালি হোসেনকে (৪৪) পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় গ্রেপ্তরের জন্য আরও তিনজনকে খুঁজছে নিউ ইয়র্ক পুলিশ। ওয়ালি হোসেন মাথায় প্রচণ্ড আঘাত পেয়েছেন বলে এলমহার্স্ট হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান।
আহত হওয়ার পর ওয়ালিকে উদ্ধার করে পুলিশ নিয়ে যায় ওই হাসপাতালে। দুদিন চিকিৎসার পর তাকে ছাড়া হলেও সতর্কতার সাথে চলাফেরার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
ওয়ালি হোসেন বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সম্মেলনের দাবি উঠার পরই এক শ্রেণির লোক পদ-পদবির টোপ দিয়ে নগদ অর্থ আদায় করছেন। বিষয়টি নিয়ে ফেইসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। সেটিই আমার অপরাধ।“এমদাদ চৌধুরীসহ কয়েকজন আমাকে আচমকা হামলা করেছিলেন একটি শোক সভা শেষে তবারক গ্রহণের সময়। সেখানে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি সিদ্দিকুর রহমানসহ নেতারা শেখ হাসিনার সফর সূচি নিয়ে কথা বলছিলেন।”
গতবছরও দলীয় কোন্দলের কারণে সৃষ্ট সংঘাতে যুবলীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিউ ইয়র্কে পৌঁছানোর ৭২ ঘণ্টা আগে।
এবারও জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী নিউ ইয়র্কের পৌঁছানোর আগে ইমদাদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হল।
এ বিষয়ে নিউ ইয়র্ক মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকারিয়া চৌধুরী বলেন, “নেত্রীর সফর শেষে এমদাদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে প্রচলিত রীতি অনুযায়ী সাংগঠনিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আমরা এখন সকলেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাতিসংঘ সফর নিয়ে ব্যস্ত। তবে এমদাদ যে কাণ্ড করেছেন তা কোনো ভাবেই বরদাশত করার মতো নয়।”
সূত্র, বিডিনিউজ২৪