এন.আই.মিলন, দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ দিনাজপুরের কাহারোলে ছেলেকে ফাঁস দিয়ে হত্যার পর একই রশিতে মোঃ জিন্নাত আলী (৩০) নামে বাবা আত্মহত্যা করেছে।
জিন্নাত আলী উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের পুর্ব সাদিপুর গ্রামের মৃত রম্নসত্মম আলীর ছেলে এবং তার ছেলে মোঃ মুন্না (০৮)। জিন্নাত পেশায় রিক্সা চালক এবং মোঃ মুন্না স্থানীয় সাধনা আদিবাসী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর ছাত্র।
রবিবার দুপুর ১টায় উপজেলার সুন্দরপুর ইউনিয়নের পুর্ব সাদিপুর গ্রামের নিজ শয়ন কক্ষ হতে তাদের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃত জিন্নাত আলীর চাচাতো ভাই সফর আলী জানান, জিন্নাত আলীর প্রথম স্ত্রী মোছাঃ ময়ফুল বেগম ঢাকায় গার্মেন্টেসে চাকুরী করার সময় মুন্না রেখে আরেক জনের সাথে পালিয়ে যায়। এরপর জিন্নাত আলী অনেক চেষ্টা করেও তাকে আর খুঁজে পায়নি। কিন্তু সে প্রথম স্ত্রীকে ভুলতে পারছিলেন না। সে কারণে প্রায়ই সে ঢাকায় গিয়ে রিক্সা চালাত তার সাথে যোগাযোগ করা জন্য। শেষে বিফল হয়ে ২ বছর পুর্বে রংপুরে মোছাঃ শাহিদা বানু (২৩) কে বিয়ে করে। এর মধ্যে জিন্নাত হোসেন নতুন সংসারে একটি পুত্র সন্তান আসে। তার বয়স ৭ মাস। ঈদের আগে শাহিদা বানু সন্তানকে নিয়ে বাবার বাড়ী রংপুরে যায়। তিনি এখন পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করছেন।
মৃত জিন্নাত আলীর মা তারা বানু জানান, জিন্নাত আলীর প্রথম স্ত্রী চলে যাওয়ার পর থেকে তার একমাত্র সন্তান মোঃ মুন্না আমার কাছে থাকে। আজ সকালে তাকে বাড়ীতে রেখে আমি দশমাইলে হোটেলে কাজ করতে যাই। দুপুরে বাড়ীতে ফিরে এসে দেখি বাবা এবং ছেলে একই রশিতে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলে আছে।
কাহারোল থানার এসআই মোঃ এরশাদ হোসেন জানান, জিন্নাতের আলীর শয়ন কক্ষ হতে একটি রশিতে ফাঁস দেওয়া অবস্থায় তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক তদমেত্ম ধারণা করা হচ্ছে ছেলে ফাঁস দিয়ে হত্যার পর নিজে সে রশিতে আত্মহত্যা করেছেন জিন্নাত আলী। লাশের সুরতহাল শেষে ময়না তদন্তের জন্য দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
কাহারোল থানার ওসি মোঃ মনছুর আলী সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, বিষয়টি অত্যান্ত দুঃখজনক। পারিবারিক হতাশা থেকে এ ঘটনা ঘটতে পারে। আমরা ঘটনার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনে কাজ শুরু করেছি।