চান মিয়া, ছাতক (সুনামগঞ্জে)ঃ সুনামগঞ্জের ছাতকে গরুর ধান খাওয়া নিয়ে দু’গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছে। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টায় উত্তর খুরমা ইউপির সেওতরপাড়াও নাদামপুর গ্রামবাসীর মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে গুরুতর আহত মনির মিয়া, শানুর আলী, বাবুল মিয়া, আশিদ আলীসহ ১০জনকে গুলিবিদ্ধ অব্স্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির খবর পাওয়া গেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রোববার বিকেলে নাাদামপুর গ্রামের রাকিব আলীর ধানের চারা সেওতরপাড়া গ্রামের আব্দুল কাইয়ূমের গরু খেয়ে ফেলে। এরজের ধরে সোমবার সকালে দু’গ্রামবাসী দেশীয় লাঠিসোটা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় ঘন্টাব্যাপী সংঘর্ষের এক পর্যায়ে একটি পক্ষ কয়েকটি এয়ারগান দিয়ে এলোপাতারি গুলি শুরু করে। দু’গ্রামবাসীর মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনায় উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়। এর মধ্যে ১০জনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্য আহত কবির মিয়া, রঞ্জিত পাল, সমর পাল, আজিজুর রহমান, রাসেল আহমদ, হাফিজুর রহমান, আতিক মিয়া, রাজ উদ্দিন, আব্দুল গয়াছ, রোবেল মিয়া, শামিম আহমদ, বদরুল ইসলামসহ অন্যান্যদের স্থানীয় ধারন-নতুনবাজার হাসপাতাল, কৈতক হাসপাতালসহ স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। সংঘর্ষের খবর পেয়ে থানা পুলিশ ও স্থানীয় মুরব্বীদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে।
উত্তর খুরমা ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নুর উদ্দিন জানান, গরুর ধান খাওয়ার বিষয় নিয়ে শনিবার বিকেলেই মুরব্বীদের নিয়ে বিষয়টি নিস্পত্তি করা হয়। সোমবার সকালে আবারও এ বিষয় নিয়ে বাক-বিতন্ডার জের ধরে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
জাউয়াবাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ এসআই নুর মিয়া ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, এ সংঘর্ষের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলা এমনকি কাউকে আটক করা হয়নি। বিষয়টি স্থানীয় মুরব্বীদের নিয়ে আপোষ নিষস্পত্তির চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।