অগ্রদৃষ্টি ডেস্কঃ সিলেটে চাপাতির আঘাতে গুরুতর আহত কলেজ ছাত্রী খাদিজা বেগমের অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে উল্লেখ করে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালের চিকিৎসকেরা বলছেন, তার বেঁচে যাওয়ার আশা সামান্য বেড়েছে, তবে নিশ্চিত হওয়ার জন্য আরও অপেক্ষা করতে হবে।
সেই অপেক্ষার পরিমাণ ২ সপ্তাহ থেকে ১ মাস পর্যন্ত হতে পারে।
কিছুক্ষণ আগে খাদিজা বেগমের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করেন, স্কয়ার হাসপাতালের নিউরো সার্জারি বিভাগের কনসালট্যান্ট ড. এ এম রেজাউস সাত্তার।
তিনি বলেন, খাদিজাকে আরও পর্যবেক্ষণে রাখা প্রয়োজন।
হলপ করে বলা যাবে না, তার ভাল হয়ে উঠতে কতটা সময় প্রয়োজন।
তবে তার সচেতনতার স্তর কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
তার শরীরে ব্যথা দেয়ার পর সে শরীরের ডানপাশ ও ডান হাত নাড়াতে সক্ষম হয়েছে।
ড. সাত্তার বলেন, এতদিন তার বেঁচে ওঠার আশা খুব ক্ষীণ ছিল।
কিন্তু এখন বলা যায়, সেই আশা কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে।
“এই রকম একটি আঘাতের পর আমরা বলতে পারি না, সে এখনই উঠে দাঁড়াবে কিংবা উঠে বসবে”।
“সে হয়তো বেঁচে যাবে। তবে পুরোপুরি সুস্থ হবে কি না সেটা বলা যাচ্ছে না”, সাংবাদিকদের বলেন ড. রেজাউস সাত্তার।
খাদিজা বেগমকে এখনো ভেন্টিলেশনের মাধ্যমেই বাঁচিয়ে রাখা হয়েছে।
তার শরীরের অন্যান্য স্থানেও আঘাত রয়েছে।
এসব আঘাতের জন্য প্রয়োজন অর্থোপেডিক চিকিৎসা।
কিন্তু সেই চিকিৎসা এখনই শুরু করা যাচ্ছে না।
ড. সাত্তার বলছেন, তার জীবন শঙ্কা দূর হবার পরই শুরু হবে তার অর্থোপেডিক চিকিৎসা।
প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেয়ায় গত সোমবার বিকেলে সিলেটের এমসি কলেজের সামনে কলেজ ছাত্রী খাদিজা বেগমকে চাপাতি দিয়ে উপর্যুপুরি কুপিয়ে আহত করে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এবং ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলম।
তাকে আটক করা হয়েছে এবং আদালতে সে খাদিজাকে হত্যা চেষ্টার স্বীকারোক্তি দিয়ে জবানবন্দি দিয়েছে।
এ ঘটনায় সারা দেশে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
খাদিজার প্রতিষ্ঠান সিলেট মহিলা কলেজের ছাত্রীরা অব্যাহত ভাবে এ নিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়ে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার খাদিজাকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়।
সেখানে তার মাথায় একাধিক অস্ত্রোপচার হয়েছে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, তার মাথার আঘাত গুরুতর, চাপাতির কোপ তার খুলি ভেদ করে ভেতরে গিয়ে মস্তিষ্কে গিয়ে আঘাত করেছে।