জাতীয় শোক দিবস ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাস এবং কুয়েতে জাতিসংঘ মানব বসতি কর্মসূচি (ইউএন-হ্যাবিট্যাট) যৌথভাবে শনিবার (২৬ আগস্ট) কুয়েতের জাবরিয়া সেন্ট্রাল ব্লাড ব্যাংকে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করে।
বাংলাদেশ দূতাবাস ও ইউএন-হ্যাবিট্যাট এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত রক্তদান কর্মসূচি উদ্বোধন করেন দেশটিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান এবং “ইউএনএইচ জিসিসি” আঞ্চলিক অফিসের হেড অফ মিশন আমিরা এইচ. আল হাসান।
এতে উপস্থিত ছিলেন ইন্দোনেশিয়া, তুরস্ক ও আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূতগন।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন শ্রীলঙ্কা দূতাবাসের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা, “ইউএনএইচ জিসিসি” এর আঞ্চলিক কর্মকর্তা, কুয়েতে বাংলাদেশি কমিউনিটির প্রবাসীরা এবং স্থানীয় ও বাংলাদেশি গণমাধ্যমকর্মীরা।
কুয়েতের বাংলাদেশ দূতাবাসের সাথে যৌথভাবে একটি যুগান্তকারী রক্তদান কর্মসূচি করতে পেরে আমরা গর্বিত। এটি আমাদের স্বাস্থ্যকর শহর গড়ে তোলার চলমান প্রচেষ্টার একটি অংশ।
“ইউএনএইচ জিসিসি” আঞ্চলিক অফিসের হেড অফ মিশন আমিরা এইচ. আল হাসান এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, নিঃসন্দেহে এটি একটি সুন্দর কার্যক্রম এর দ্বারা স্থানীয় নাগরিকরা সহ অনেকেই উপকৃত হবেন।
কুয়েতে এই কাজটি দেখে খুবই আনন্দিত হই যে, বিদেশী কূটনীতিকরা রক্তাদান এর কর্মসূচিতে সংশ্লিষ্ট উল্লেখ করে কুয়েতে নিযুক্ত তুরস্কের রাষ্ট্রদূত তুবা নুর সন্মেজ বলেন, রক্তাদান এটি একটি মহৎ কাজ। এই কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সহ বাংলাদেশের নাগরিকরা। ভবিষ্যতেও এই কাজ অব্যাহত রাখার পরামর্শ দেন তুরুস্কের রাষ্ট্রদূত তুবা নুর।
কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশিকুজ্জামান স্বাগত বক্তব্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ১৫ আগস্ট ১৯৭৫ সালের সকল শহীদদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, “এ বছর আমাদের জাতির পিতার ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী। ১৫ই আগস্টকে ‘জাতীয় শোক দিবস’ হিসেবে পালন করা হয় এবং পুরো আগস্ট মাসটিকে ‘শোকের মাস’ হিসেবে পালন করা হয়। অন্যান্য ইভেন্টের মধ্যে, রক্তদান ক্যাম্পেইন আমাদের জাতির পিতাকে দেশে এবং বিদেশে শ্রদ্ধা জানানোর অন্যতম প্রধান উদ্যোগ।”
পরে রাষ্ট্রদূত যৌথভাবে রক্তদান অভিযান পরিচালনায় সহায়তার জন্য জাতিসংঘ-হ্যাবিট্যাটের অফিসকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বাংলাদেশ কমিউনিটির রক্তদাতাদের অনুপ্রাণিত করার জন্য সকল রাষ্ট্রদূত ও তাদের প্রতিনিধিদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। এছাড়া কুয়েত জাবরিয়া ব্লাড ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে এবং উপস্থিত সকলকে এই আয়োজনে আন্তরিক সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান। সেই সাথে কুয়েতে অবস্থানরত সকল বাংলাদেশী নাগরিককে কুয়েত রাষ্ট্রের নিয়মকানুন মেনে চলার জন্য অনুরোধ করেন।
ক্যাম্পেইন চলাকালীন বাংলাদেশ কমিউনিটির দুই শতাধিক সদস্য স্বেচ্ছায় কুয়েত ব্লাড ব্যাংকে রক্তদান করেছেন।