মির্জা আজিজুল হায়াত ইমামঃ মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ৫নং আখাইলকুড়া ইউনিয়ন এর আসন্ন ইউপি নির্বাচনে আওয়ামীলীগ এর মনোয়ন প্রত্যাশী ৬ জন, তাদের মধ্যে একজন হচ্ছেন জনাব নুরুল হক।
আজ বিবেকের তাড়নায় কিছু কথা লিখতে বসেছি, কিন্তু সত্য কথা লিখতে গেলে’ই অনেকের কাছে অপ্রিয় মনে হবে।তবুও দু’কলম লিখছি।
পাশাপাশি জানি সত্য কথা লিখতে গেলে দুশমনের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। তার পরেও বিবেকের তাড়নায় তথা স্বচ্ছতার জন্য এসব প্রকাশ অতীব জরুরী।
আজ যারা মৌলভীবাজার সদর উপজেলার ৫নং আখাইলকুড়া ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ এর মনোয়ন প্রত্যাশী একমাত্র শ্রদ্ধেয় নুরুল হক ছাড়া সবাই নবীন এবং শহরের বাসিন্দা।শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তিত্ব নুরুল হক নব্বইয়ের দশক থেকে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ এর সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। যখন ৫নং আখাইলকুড়া ইউনিয়নে সংসদ নির্বাচনে মিছিল করার মত অবস্থা ছিল না তখন এই শ্রদ্ধাভাজন নুরুল হক ছোট বাচ্চাদের নিয়ে মিছিল করার অভিজ্ঞতা আছে।
জনাব নুরুল হককে স্থানীয় এলাকা ছাড়াও দেশ-বিদেশের অনেক’ই এই সহজ সরল ন্যায় নিষ্টাবান মানুষটিকে এক ধরণের পাগল আওয়ামীলীগার বলে আখ্যায়িত করে।
নানা সময়ে আওয়ামীলীগের জন্য বহু ত্যাগ স্বীকার করেছেন অনায়াসে।জনাব নুরুল হক দলীয় গ্রুপিং এর তোয়াক্কা না করে সব সময় বিরামহীন ভাবে নৌকা মার্কার জন্য কাজ করে গেছেন।
কর্মজীবনের শুরুতে উত্তরা ব্যাংক এ চাকুরীততে যোগদান করেন কিন্তু কিছুদিন চাকুরী করার পর কাজিরবাজার আপ্তাব উদ্দীন উচ্চ বিদ্যালয় স্থাপিত হওয়ার পর যখন আর্থিক সংকটের কারণে শিক্ষক পাওয়া যাচ্ছিল না তখন যে ক’জন অবৈতনিক শিক্ষক বিদ্যালয়ের জন্য আত্বনিয়োগ করেন তাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন এই শ্রদ্ধাভাজন নুরুল হক। সেই সময় উনি উত্তরা ব্যাংক এর চাকুরী ছেড়ে আপ্তাব উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। উনি সারা জীবন শুধু আওয়ামী রাজনীতি করে যাচ্ছেন নিঃস্বার্থ ভাবে।
আমার আশা এবং দৃঢ় বিশ্বাস মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামীলীগ, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগ অতীতকে না ভুলে জনাব নুরুল হক (নুরুল)কে দলীয় প্রার্থী হিসাবে মনোনীত করবে।
উপরোক্ত কথা গুলো ঠিক’ই আমার, কিন্তু একজন সৎ নিষ্টাবান নুরুল হক সবার।